সরকারি সহায়তা চান বাবুগঞ্জের ক্ষুদে বিজ্ঞানী ওবাইদুল
তরুণ বিজ্ঞানী মো. ওবাইদুল ইসলাম। এমআইএসটি থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং (মেকানিক্যাল) বিভাগের পড়াশুনা শেষ করেছেন। গত বছর জুন মাসে ‘অটো ড্রেন ক্লিনার’ উদ্ভাবন করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে একক প্রচেষ্টায় উদ্ভাবিত অটো ড্রেন ক্লিনারটি জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের মধ্য পাংশা গ্রামের আহমদ আলী ও আলেয়া বেগম দম্পতির সন্তান তিনি।
বাবুগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমীনুল ইসলাম ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা আর্থিক সহয়তা দিয়েছিলেন গত জুনে। সেই সঙ্গে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে স্থান করে দেওয়ার সুপারিশ করবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন।
কিন্তু ৬ মাস কেটে গেলেও জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে স্থান পায়নি ওবায়দুল ইসলামের অটো ড্রেন ক্লিনার। ফলে অনেকটা হতাশ হয়ে পড়েছেন এই ক্ষুদে বিজ্ঞানী। মো. ওবাইদুল ইসলাম এখন স্বপ্ন দেখছে তার আবিষ্কারের মূল্যায়ন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
ক্ষুদে বিজ্ঞানী ওবাইদুল বলেন, ‘অনুদানের টাকা পেয়ে কাজের দায়িত্ব ও উৎসাহ বেড়ে গিয়েছিল। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর কর্তৃপক্ষকে প্রযুক্তিটি প্রদর্শন করতে পারলে আমার বিশ্বাস জাতীয়ভাবে এ প্রযুক্তি গৃহীত হবে। কারণ উদ্ভাবিত অটো ড্রেন ক্লিনারটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে জনবল ছাড়াই ড্রেন পরিস্কার করবে। এটি ড্রেনের ময়লা ও পানি আলাদা করে রাখতে সক্ষম। অটো ড্রেন ক্লিনারটি সৌর বিদ্যুতের সাহায্যে চলে। পরিবেশ দূষণ, ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়ার মতো রোগ বালাই থেকে রক্ষা পেতে যথেষ্ট কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।’
তিনি বলেন, ‘সব কিছু ঠিক থাকলেও অর্থাভাবে আমার গবেষণা ও আবিষ্কারের কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। আমি দেশের জন্য কিছু করতে চাই। সে কারণে আমার গবেষণা ও আবিষ্কারের কাজ চালিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করছি।’
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলাম বলেন, মো. ওবায়দুল ইসলামকে জেলা প্রশাসন থেকে সর্বাত্মক সহায়তা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দারের নির্দেশে তাকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসক জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের উপ-পরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছেন। শিগগিরই মো. ওবায়দুল ইসলামের উদ্ভাবিত অটো ড্রেন ক্লিনার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের উপ-পরিচালকের কাছে পাঠানো হবে। সেখানে প্রযুক্তিটি প্রদর্শনের পর জাদুঘর কর্তৃপক্ষ পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’
/এএন