অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় ফিরলেন ৭ চিকিৎসক
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অগ্নিদগ্ধরা অনেকটাই সুস্থ
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের চিকিৎসা দিতে বরিশালে যাওয়া সাত চিকিৎসক ঢাকায় ফিরে এসেছেন। অগ্নিদগ্ধরা সুস্থ হয়ে উঠায় মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে কর্মস্থলে ফিরেছেন এ বার্ন বিশেষজ্ঞরা।
এ পর্যন্ত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪৪ জন সুস্থ হয়েছেন। বাড়ি ফিরেছেন ২৮ জন। বাকিরাও দুই-একদিনের মধ্যে বাড়ি ফিরবেন বলে আশা করছেন চিকিৎসকরা।
বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৭ জন। তারাও অনেকটা সুস্থ।
শের-ই-বাংলা মেডিক্যালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩৩ জন চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে ১৬ জন ছাড়পত্র নিতে পারেন। তবে তারা যতক্ষণ এখান থেকে স্বেচ্ছায় যেতে না চাইবেন, ততক্ষণ ছাড়পত্র দেওয়া হবে না।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) গভীর রাতে সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চ থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ৮১ জনকে শের-ই-বাংলা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। এক শিশু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১৯ জনকে পাঠানো হয় ঢাকায়। তারা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
বাকি ৬১ জনের ২৮ জন সুস্থ হওয়ায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে শের-ই-বাংলা মেডিক্যালে ৩৩ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে আইসিইউতে ছিলেন তিন জন। বাকি সবাই সুস্থ বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক।
তিনি বলেন, রবিবার ১৬ জন ও সোমবার ১২ জনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। অন্যদেরও দুই-একদিনের মধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, আইসিইউতে যে তিন জন ছিলেন তাদের অস্থায়ী বার্ন ইউনিটে আনা হয়েছে। তারা পর্যবেক্ষণে আছেন। অগ্নিদগ্ধরা সুস্থ হয়ে উঠায় ঢাকা থেকে আসা চিকিৎসকরা চলে গেছেন।
শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে আসা সাত চিকিৎসক দলের প্রধান ডা. নুরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশই সুস্থ। তবে তারা আরও কিছুদিন চিকিৎসা নিতে চাচ্ছেন। হাসপাতালে সংকটাপন্ন কোনো রোগী নেই। তারা সবাই দুই-একদিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি যেতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৪৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ ৫১ জনের তালিকা দিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, ঘটনার দিন ৪০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই দিন হাসপাতালে এক শিশুর মৃত্যু হয়। গত দুই দিনে আরও তিন জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
টিটি/