নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় কারাগারে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এমএ কাইয়ুমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধর ও নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার কক্ষে হামলা, ভাংচুরের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকালে এম এ কাইয়ুমকে আদালতে নেওয়া হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এম এ কাইয়ুম উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
গৌরীপুর থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে নির্বাচন কর্মকর্তা সজল চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুমসহ অজ্ঞাত ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার বরাত দিয়ে এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, ‘চতুর্থ ধাপে রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) গৌরীপুর উপজেলার দশটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ শেষে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সজল চন্দ্র সরকার ফলাফল ঘোষণা কক্ষে বসে ভোটকেন্দ্রের তথ্য সংগ্রহ করে ফলাফল ঘোষণা করছিলেন। এ সময় ডৌহাখলা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এমএ কাইয়ুম ও তার সহযোগীরা ফলাফল ঘোষণা কক্ষে এসে নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে তাঁতকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের ফলাফলের কপি চান। কিন্ত নির্বাচন কর্মকর্তা তাদের জানান ওই কেন্দ্রের ফলাফলের কপি এখনও আসেনি। তখন কাইয়ুম ও তার সহযোগীরা উত্তেজিত হয়ে নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধর ও ফলাফল ঘোষণার কক্ষে হামলা ও ভাঙচুর করেন। এ ঘটনার পর কাইয়ুমকে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
ঘটনার পর সেদিন রাতে ডৌহাখলা ইউনিয়নের ভোট গণনা শেষে এম এ কাইয়ুমকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
একে/এএন