বরিশাল মেরিন একাডেমি দক্ষিণাঞ্চলে উন্নত শিক্ষার মান বৃদ্ধি করবে
বরিশাল মেরিন একাডেমি দক্ষিণাঞ্চলের উন্নত শিক্ষা এবং শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করবে। এছাড়া দক্ষ জনবল তৈরি করবে বলে মত দিয়েছেন শিক্ষাবিদরা। নগরীর কীর্তনখোলা নদীর পূর্ব তীরে কর্নকাঠী এলাকায় ১০ একর জমির উপর ১২২ কোটি টাকা ব্যয়ে মেরিন একাডেমি নির্মিত হয়েছে।
বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, বরিশাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির অর্ন্তভূক্ত হয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ২০১২ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে চলতি বছরের ২০২১ সালের ৬মে এটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানা গেছে, আগামী জানুয়ারিতে ৭০ জন শিক্ষার্থীদের নিয়ে একাডেমিক কর্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের মধ্যে একাডেমিক ভবন, হোস্টেল, কমাড্যান্ট বাংলো, মসজিদ, জিমনেশিয়াম, খেলার মাঠ ও সুইমিং পুল রয়েছে। মেরিন একাডেমিতে প্রতি ব্যাচে ৫০ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বরিশাল মেরিন একাডেমির হোস্টেলে ২৪২ জন শিক্ষার্থী থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, সমুদ্রের বুকে ভেসে বেড়ানোর রোমাঞ্চকর স্বপ্ন দেখেন অনেকে। তার ওপর এই ভেসে বেড়ানো যদি উপার্জনের ক্ষেত্র হয়, তবে এটি অনেক বড় সুযোগ। আর এই সুযোগ কখনও হাত ছাড়া করতে নেই। জাহাজে ক্যাপ্টেন বা চিফ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ শুধু মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করেই পাওয়া যায়। মেরিন একডেমি আামাদের দক্ষিণাঞ্চলের শিক্ষার মান আরও বৃদ্ধি করবে বলে মনে করি।
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক শাহ্ সাজেদা বলেন, ‘এই মেরিন একডেমি দেশের সমুদ্র খাতে দক্ষ জনবল গড়ে তুলবে। একাডেমিতে ৪ বছর মেয়াদি কোর্স করে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নৌ পথে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে জাহাজ পরিচালনা করতে পারবে। আমাদের শিক্ষার্থীবৃন্দ উন্নত শিক্ষার সুযোগ পেয়েছে বলে মনে করি। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কীর্তনখোলা নদীতীরে গড়ে ওঠা বরিশালে নবনির্মিত বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতে চাই, দক্ষিণাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের এত বড় একটি সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।’
বরিশাল মেরিন একাডেমির কমান্ডেন্ট ক্যাপ্টেন এসএম আতিকুর রহমান বলেন, ‘এই মেরিন একাডেমির শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষে চাকরির সুবাদে দেশ-বিদেশ ঘুরে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করবে। দক্ষ কর্মী তৈরির লক্ষ্যে বরিশাল মেরিন একাডেমির নিজস্ব ক্যাম্পাসে ২০২২ সালের জানুয়ারির থেকে শুরু হতে যাচ্ছে একাডেমিক কার্যক্রম। ইতোমধ্যে আমাদের এখানে ৭০জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।’
তিনি অরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যারা অন্য মেরিন একাডেমি থেকে পড়াশোনা করে বেড়িয়েছেন তারা কেউ বেকার নেই। বর্তমানে আমরা ৭০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু করছি। ধাপে ধাপে আমরা বৃদ্ধি করবো। দক্ষিণাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য এই উন্নত শিক্ষা একটি বিশাল সুযোগ।’
এসও/এএন