তালেবের ভোট গেল কোথায়!
আবু তালেব, চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ সদস্য প্রার্থী ছিলেন। বেলঘরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট প্রদান শেষে ফলাফল ঘোষণার পর তিনি পেয়েছিলেন শূণ্য ভোট। প্রশ্ন উঠেছে তার নিজের ভোটটি গেল কোথায়?
আবু তালেবের দাবি করেছেন, সব ভোটের সঙ্গে তার নিজের দেওয়া ভোটটিও চুরি করেছে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী।
জানা যায়, আবু তালেব বেলঘরিয়ার ১ নম্বর ওয়ার্ডে এর আগেও সদস্য হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। এবার তিনি মোরগ মার্কা প্রতীক নিয়ে মেম্বার পদে ভোট করছিলেন। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন রিংকু আলী। তিনি ফুটবল প্রতীক নিয়ে দাঁড়িয়ে ১ হাজার ১১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।
রবিবার সন্ধ্যায় প্রথমবার ভোট গণনায় ফলাফলে জানানো হয় আবু তালেব শূণ্য ভোট পেয়েছেন। ফলাফলের এই বার্তা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে প্রার্থীর সর্মথকরা আন্দোলন শুরু করেন এবং প্রশাসনসহ প্রিসাইডিং অফিসারদের অবরুদ্ধ করে রাখেন।
জানতে চাইলে আবু তালেব একটি মোবাইলে ভোট প্রদানের ছবি দেখিয়ে বলেন, ‘এই যে ছেলেটা মোরগ মার্কা প্রতীকে ভোট দিয়েছে, মোবাইলে ছবিও তুলেছে তার ভোটটা কোথায় গেল? যে ব্যক্তি ভোটে দাঁড়িয়েছে সে কি তার নিজের ভোটটিও নিজেকে দেননি? পৃথিবীর কোথাও কি এমন ঘটনা ঘটেছে? কোন জাতি কি এমন করে? এটি কিভাবে সম্ভব?’
আবু তালেবের সমর্থকেরা ‘চোর চোর’ বলে চিৎকার দিয়ে বলতে থাকেন, ‘বিচার চাই, বিচার চাই। ভোট চোরের বিচার চাই। আমার সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। এই নির্বাচন মানি না। বিচার চাই, বিচার চাই।’
ভোট কেন্দ্রের বাইরে এমন উত্তেজনামূলক পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে নির্বাচন অফিসের পক্ষ থেকে পুনরায় ভোট গণনা করা হয়। পরে তিনি ৮৩ ভোট পেয়েছেন বলে জানানো হয়।
বেলঘরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল জব্বারের বলেন, ‘ভোটের এক বান্ডিল ব্যালট পেপার টেবিলের নিচে পড়ে থাকায় আমাদের চোখে পড়েনি। এ ভুলের কারণে প্রথমবার গণনায় আবু তালেব শূণ্য ভোট পেয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীতে টেবিলের নিচে ব্যালট পেপার খুজে পাওয়ার পর পুনরায় ভোট গননায় তার প্রাপ্ত ফলাফল বেরিয়ে আসে।’
প্রিজাইডিং অফিসারের এমন ভুলের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রবিউল আলম বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। পরবর্তী গণনায় ভুল সংশোধন হয়েছে। প্রিজাইডিং অফিসারদের এ ব্যাপারে আরও দায়িত্বশীল হতে বলা হয়েছে।’
এসএসকে/এএন