সিলেটে মাইকে ঘোষণা দিয়ে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষ, নিহত ১
ইউপি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে সিলেটের গোলাপগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন স্থানীয় জনতা। মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় তারা।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধার পর উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের বৈটিকর এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সংঘর্ষে একজন নিহত ও পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির নাম আবদুস সালাম। নিহতের বাড়ি উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের রামপা এলাকায়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল আলিম নামের এক যুবক জানান, 'রাত ৮টার দিকে ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের দুটি কেন্দ্রের ফলাফলকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান প্রার্থী জামায়াত নেতা এমরান হোসেনের লোকজন বৈটিকর বাজারে এসে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন। এসময় থানার পুলিশ এসে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে এমরান হোসেনের সমর্থকদের তুমুল সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় পুলিশ টিয়ার সেল ও গুলি নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় জামায়াত নেতার পক্ষের লোকজন বৈটিকরের মসজিদের মাইকে ঘোষণা করে জনতাকে পুলিশের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে নামার আহ্বান জানান।
সংঘর্ষকালে বৈটিকর বাজারের একটি সাইকেল-রিকশার গ্যারেজের মেকানিক আবদুস সালাম গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সালামের বুক ও পেটে ছররা গুলির অসংখ্য চিহ্ন দেখা গেছে। নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লক্ষীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোস্তাফিজুর রব।
দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত অর্ধশত মানুষ আহত হন বলে স্থানীয়রা জানান। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাবের একাধিক দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। সংঘর্ষ চলাকালে বৈটিকরের দুপাশে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের কয়েক কিলোমিটার জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক করে পুলিশ।
এদিকে, মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছেন বলে জানান গোলাপগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ। সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
টিটি/