শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ | ২৯ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

কামারশিল্পীদের ব্যস্ততাই জানান দিচ্ছে ঈদ

ঈদের মাত্র কয়েক দিন বাকি। ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে ঈদের ডামাডোল। ঈদুল আজহা মানেই পশু কোরবানি। মাংস কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম চাপাতি, ছুরি, চাকু দা ও বঁটি বানাতে কামারপল্লিতে টুংটাং শব্দে ব্যস্ত সময় পার করছেন জামালপুরের কামারশিল্পীরা। কায়িক পরিশ্রমী এ পেশাজীবীদের কারখানায় চলছে হাপর টানা, পুড়ছে কয়লা ও জ্বলছে লোহা। হাতুড়ি পিটিয়ে কামার তৈরি করছেন মাংস কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম। তাদের টুংটাং শব্দেই যেন জানান দিচ্ছে আর কিছুদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস সাইজ করতে ছুরি, চাপাতি, দা ও বঁটি অত্যাবশ্যকীয়।

সেগুলো সংগ্রহ এবং প্রস্তুত রাখতে এখন সবাই ব্যস্ত। আর এ উপকরণ তৈরি ও শান বা লবণ-পানি দেওয়ার কাজে প্রয়োজন কামারদের। পশু কোরবানির দা, ছুরি, চাপাতিসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনতে এখন থেকেই মানুষ কামারপাড়ায় ঢুঁ-মারছেন। আবার কেউ কেউ পুরনো সরঞ্জাম মেরামত অথবা শান দিয়ে নিচ্ছেন।

প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব, আর্থিক সংকটসহ নানা কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প। পাশাপাশি কয়লা আর কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভের পরিমাণ কমেছে বলেও জানান কর্মকার শিল্পীরা। বর্তমান অধুনিক যন্ত্রপাতির প্রভাবে কামার শিল্পের দুর্দিন চললেও পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জমে উঠে এ শিল্প। শান দেওয়া নতুন দা, বঁটি, ছুরি ও চাকু সাজিয়ে রাখা হয়েছে দোকানের সামনে। দোকানের জ্বলন্ত আগুনের তাপে শরীর থেকে ঝরছে অবিরাম ঘাম। চোখে মুখে প্রচণ্ড ক্লান্তির ছাপ। তবু থেমে নেই তারা। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে তাদের কাজের ব্যস্ততা।

যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে বিক্রি খুব কম। সারা দিন কঠোর পরিশ্রম করলেও তাদের মুখে নেই কোনো উচ্ছ্বাস, নেই প্রাণভরা হাসি। তারপরও আসন্ন কোরবানির ঈদের কথা মাথায় রেখে নতুন আশায় বুক বেঁধে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামার শিল্পীরা। হাতুড়ি আর লোহার টুংটাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে কামার দোকানগুলো। ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত চলবে এমন কর্মব্যস্ততা। কিন্তু অনেকেই আক্ষেপ করে বলেন, বর্তমান সময়ে কয়লা, লোহাসহ সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় আগের মতো লোহার জিনিসপত্র তৈরি করলেও তেমন কোনো লাভ হয় না। অনেক সময় কয়লা একেবারেই পাওয়া যায় না। কী আর করব পূর্বপুরুষের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতেই হবে।

ইসলামপুরের পৌর এলাকার উত্তর দরিয়াবাদ, গাঁওকুড়া, মণ্ডল পাড়াসহ প্রতিটি ইউনিয়নে আছে কামারের দোকান। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে সেখানে লোহা আর হাতুড়ির শব্দে এখন আকাশ-বাতাস মুখরিত। এ পেশার মানুষ সারা বছর কমবেশি লোহার কাজ করলেও কোরবানি ঈদে বৃদ্ধি পায় তাদের কর্মব্যস্ততা। সরিষাবাড়ীর জগন্নাথগঞ্জ বাজারে বসেন কামার মলিন মিয়া। তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবছরই কোরবানির ঈদে দা, বঁটি, ছুরি, চাপাতিসহ লোহার বিভিন্ন জিনিসের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এ মৌসুম ঘিরে ভালো আয় উপার্জন করে থাকেন তারা।

অকিল চন্দ্র কর্মকার বলেন, 'আর কিছুদিন পর ঈদ। ঈদের আগে কাস্টমার বৃদ্ধি পাবে। অন্যবার এই সময়ে জমে ওঠে দা-বঁটির বাজার। এবার এখনো পুরোদমে বিক্রি শুরু হয়নি। দুই দিনের মধ্যে পুরোদমে বিক্রি শুরু হবে'।

কামারশিল্পী খোকন চন্দ্র কর্মকার, সঞ্জিত কর্মকার ও আবুল হোসেন বলেন, 'বছরের কোরবানি ঈদে আমাদের মূল টার্গেট থাকে। বছরের কয়েকটা দিন ভালো টাকা, ভালো উপার্জন করার চিন্তা করলে এই দিনগুলো ঘিরেই করা হয়। কোরবানি কেন্দ্র করে বেশি অর্ডার আসে।'

অন্যান্য কামার ব্যবসায়ীরাও একই রকম কথা জানান, দক্ষিণ কিসমতজাল্লার হাজী আ. মোতালেব খান ও পশ্চিম ভেঙ্গুড়ার জালাল শেখ জানান, কিছুদিন পরেই ঈদ। গরু ও ছাগল জবাই দিতে এবং মাংস কাটতে প্রয়োজন চাকু ও ছুরির। সে কারণে বাজারে এসেছি দা, বঁটি ও ছুরি কিনতে। তবে গত বছরে এসব জিনিসের যে দাম ছিল তার চেয়ে এবারে দাম অনেকাংশে বেশি। বর্তমানে ভালো মানের প্রতিটি দা তৈরিতে মজুরি নেওয়া হচ্ছে ২৫০-৬০০ টাকা পর্যন্ত। চাকু তৈরিতে ১২০, বড় ছুড়ি তৈরিতে ৫০০-৭০০, বঁটি তৈরিতে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। এখনো ঈদের বেশ কিছু বাকি রয়েছে। জেলার কামার শিল্পীদের প্রত্যাশা ঈদের যেহেতু আরও কিছুদিন বাকি রয়েছে বেচাকেনা আরও বাড়বে।

এদিকে দামের বিষয়ে এনামুল কামার জানান, বর্তমানে প্রতিটি দা বিক্রি হচ্ছে ৩০০, হাঁসুয়া ১৫০, ছোট ছুরি ৫০, বঁটি ২০০, কাটারি ২৫০-৩০০ টাকা করে এবং কুড়াল বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকায়। সরিষাবাড়ীর সামাদ কর্মকার, বাউসী হাটের আজিজ কর্মকার ও বয়ড়া বাজারের সুরুজ কর্মকার জানান, সারা বছর কাজ খুব কম থাকে, কোরবানি এলে কাজ বেড়ে যায়। কিন্তু এবারের ঈদের আগে বন্যা হওয়ার কারণে বেচাকেনা এখনো শুরু হয়নি।

বয়ড়া বাজারে পশু জবাইয়ের ছুরি কিনতে আসা আব্দুল মজিদ, সাইদুল, আলিমুদ্দীনসহ কয়েকজন ক্রেতা জানান, কোরবানির ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি তাই আগেই পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কেনার কাজটি সেরে ফেলছেন। তবে অন্য বছরের চেয়ে এবার ছুরি, চাকু, কাটারির দাম একটু বেশি বলে জানান তারা।

এ ছাড়া জেলা সদরের নান্দিনা, নরুন্দি, লাহেড়িকান্দা, তুলসীপুর, দিগপাইত, জামতলি, সরিষাবাড়ীর আরামনগর, শিমলা বাজার, তারাকান্দি, পিংনা, বয়ড়া, ভাটারা বাজার, মাদারগঞ্জ, জোনাইল, মিলন বাজার, শ্যামগঞ্জ কালিবাড়ি, মেলান্দহ বাজার, চরপলিশা, শ্যামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, সানন্দবাড়ি, বকশীগঞ্জের হাটবাজারে একই অবস্থা। সাধ্য অনুযায়ী কোরবানির কাজে ব্যবহৃত ছুরি, চাকু ও দা-বঁটি ক্রয় করছেন ক্রেতারা।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

পিএসএল না খেলেই দেশে ফিরছেন লিটন

ছবি: সংগৃহীত

লিটন দাস এবারের পাকিস্তান সুপার লিগে খেলার কথা ছিল করাচি কিংসের হয়ে। বাংলাদেশি এই ব্যাটারের আজ মাঠে নামার সম্ভাবনা ছিল। প্রথম ম্যাচে আজ তার দল করাচি কিংস মাঠে নামবে মুলতান সুলতান্সের বিপক্ষে।

তবে লিটনকে অভিষেকের আগেই দেশে ফিরে আসতে হচ্ছে। কারণ তার আঙুলে চোট পেয়েছেন তিনি। যার ফলে এবারের পিএসএল যাত্রা শেষ হয়ে গেছে তার। সেটাও আবার অভিষেকের আগেই।

ম্যাচের আগে গতকাল অনুশীলনে নেমেছিলেন লিটন। কিন্তু সে সময় তিনি তার আঙুলে চোট পান। সেটাও এক আঙুলে নয়, একাধিক আঙুলে। আঙুলগুলোতে হেয়ারলাইন ফ্র্যাকচার ধরা পড়েছে। এ থেকে সেরে উঠতে তার অন্তত দুই সপ্তাহের মতো সময় প্রয়োজন। মূলত এ কারণে তার পিএসএল শেষ হয়ে গেছে।

লিটন ইতোমধ্যেই করাচির ক্যাম্প ছেড়ে গেছেন। দেশে ফেরার বিমানেও চেপে বসবেন শিগগিরই। বিষয়টি তিনি নিজেই সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

৩০ বছর বয়সী লিটন এর আগে এলপিএল, আইপিএল ও সিপিএলে খেলেছেন। তবে পিএসএলে যাত্রা এবারই প্রথম হয়েছিল তার।

করাচির হয়ে খেলতে বিসিবির কাছ পুরো মৌসুমের জন্য অনাপত্তিপত্রও পেয়ে গিয়েছিলেন। তবে তার পথ আগলে দাঁড়াল চোট।

‘আমি নিজেকে আনলাকি প্লেয়ার ভাবি’ – আজই প্রকাশিত একটা সাক্ষাতকারে এ কথা বলেছেন লিটন। সে দিনই তাকে ফিরতে হলো পিএসএল অভিষেকের আগেই, অনুশীলনে চোট পেয়ে। দুর্ভাগ্য যেন পিছুই ছাড়ছে না তার।

Header Ad
Header Ad

পাগলা মসজিদের অ্যাকাউন্টে জমেছে ৮০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা

ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জ শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের অ্যাকাউন্টে এ পর্যন্ত জমা হয়েছে মোট ৮০ কোটি ৭৫ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭৬ টাকা। শনিবার (১২ এপ্রিল) কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয় মোট ১১ বার। এই ১১ বারে দানবাক্স থেকেই পাওয়া যায় ৫৬ কোটি ৩৮ লাখ ৫২ হাজার ৬৬০ টাকা। টাকার পাশাপাশি হীরা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ।

২০২৪ সালের ৩০ নভেম্বর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে রেকর্ড ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা পাওয়া যায়। এর আগে একই বছরের ১৭ আগস্ট পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে পাওয়া যায় ৭ কোটি ২২লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা। একই বছরের ২০ এপ্রিল পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া যায়। ২০২৪ সালে মোট তিনবারে ২৩ কোটি ২২ লাখ ১৪ হাজার ৮৮৭ টাকা পাওয়া যায়। টাকার পাশাপাশি হীরা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া যায় বিপুল পরিমাণ।

এর আগে ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে পাওয়া যায় ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা। একই বছরের ১৯ আগস্ট মসজিদের দানবাক্স খুলে ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা পাওয়া যায়। তার আগে ৬ মে পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা পাওয়া যায়। একই বছরের ৭ জানুয়ারি পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে পাওয়া যায় ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা। ২০২৩ সালে চারবার খোলা হয়েছিল কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স। চারবারে মোট ২১ কোটি ৮৭ লাখ ৮৫ হাজার ১৮১ টাকা পাওয়া যায়। টাকার পাশাপাশি হীরা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ।

এছাড়া ২০২২ সালে তিনবার খোলা হয়েছিল কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স। ২০২২ সালের ১২ মার্চ দানবাক্স খুলে পাওয়া যায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫ টাকা। পরের বার ২ জুলাই পাগলা দানবাক্স খুলে ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার ৪১৫ টাকা পাওয়া যায়। একই বছর শেষবার ১ অক্টোবর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে পাওয়া যায় ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা। তিনবারে মোট ১১ কোটি ২৮ লাখ ৫২ হাজার ৫৯২ টাকা পাওয়া যায়। টাকার পাশাপাশি হীরা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ।

মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়।

মসজিদটিকে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। যার নামকরণ হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৬০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।

এদিকে ৪ মাস ১২ দিন পর শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৭টায় পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো খুলে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। এখন চলছে টাকা গণনার কাজ। প্রায় চার শতাধিক মানুষের একটি দল এসব বস্তাভর্তি টাকা গণনার কাজে অংশ নিয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

ভারী বর্ষণ-বজ্রপাতে ভারত ও নেপালে প্রায় ১০০ জনের প্রাণহানি

ছবি: সংগৃহীত

ভারত ও নেপালের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টিপাত ও বজ্রঝড়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০০ জন। বুধবার (৯ এপ্রিল) থেকে শুরু হওয়া এ দুর্যোগে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বহু প্রাণহানির ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা ও গণমাধ্যম। খবর, রয়টার্সের।

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বুধবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাতে সেখানে অন্তত ৮২ জন নিহত হয়েছে।

অন্যদিকে, দেশটির সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশেও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সেখানে ১৮ জনেরও বেশি মানুষ বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।

দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর (আইএমডি) পশ্চিমাঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে বজ্রঝড় ও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে শনিবার (১২ এপ্রিল) পর্যন্ত একটি সতর্কতা জারি করেছে।

ভারতের প্রতিবেশী দেশ নেপালেও ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে বজ্রপাত ও ভারী বৃষ্টির কারণে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ গত সপ্তাহে জানিয়েছিল, এপ্রিল মাসজুড়ে অধিকাংশ অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি গরম পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে এবং সরকারের পক্ষ থেকে উদ্ধার ও সহায়তা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল-পাকিস্তানে বর্ষা মৌসুম শুরু হয় জুন মাসে থেকে। শীতের শেষে মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত সাধারণত শুষ্ক আবহাওয়া থাকে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পিএসএল না খেলেই দেশে ফিরছেন লিটন
পাগলা মসজিদের অ্যাকাউন্টে জমেছে ৮০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা
ভারী বর্ষণ-বজ্রপাতে ভারত ও নেপালে প্রায় ১০০ জনের প্রাণহানি
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৮ বস্তা টাকা, গণনা চলছে
অবশেষে জানা গেল কলকাতার কোথায় আছেন ওবায়দুল কাদের
স্বাধীন ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ
মার্চ ফর গাজা: প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী, আসছে মানুষ-জনসমুদ্রের অপেক্ষা
চারুকলায় আগুন, নববর্ষের দুদিন আগে পুড়ে গেল ‘ফ্যাসিবাদের মোটিফ’
কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ মিরাজ, দর্শক পছন্দে সেরা ঋতুপর্ণা
রাজধানীর ওয়াসার পানিতে কিলবিল করছে পোকা, মগবাজার-মধুবাগে তীব্র ভোগান্তি
বিদেশি আইনের আওতায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ: গভর্নর
মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদল নয়, বরং ঐতিহ্যে ফেরত: ঢাবি উপাচার্য
তৃতীয় বিয়ের ইতি, রোশন সিংয়ের সঙ্গে আইনিভাবে বিচ্ছিন্ন শ্রাবন্তী
৬৪ জেলা নিয়ে তৃণমূল ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার
আগামীকাল শনিবার রাজধানীতে “মার্চ ফর গাজা”, পাঁচটি স্থান থেকে শোভাযাত্রা শুরু
অবশেষে নতুন চুক্তি সালাহর, লিভারপুলে থাকছেন ২০২৭ পর্যন্ত
পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রায় হাসিনার মুখাবয়ব
ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করল ওপেনএআই
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মৃদু ভূমিকম্প
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নাগরিক কমিটির নেত্রী দিলশাদ আফরিন আটক