লঞ্চে দগ্ধ ৭২ যাত্রী বরিশালে, আশঙ্কাজনক ২০
ঝালকাঠিতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৭২ জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত ২০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৫টা থেকে ১০টার মধ্যে তাদের ভর্তি করা হয়। আহতদের বেশিরভাগই ঝালকাঠি হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেবাচিমের ইএমও ডা.আনিসুজ্জামান।
তিনি জানান, ভর্তি রোগীদের মধ্যে সাতজন শিশু রয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ শিশুকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আহত পুরুষ , নারী ও শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসার দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আহতদের বেশিরভাগেরই শরীরের বিভিন্ন স্থান দগ্ধ হয়েছে।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, ভোররাত থেকে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৭২ জনকে বরিশাল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের শরীরের ৮০ ভাগ পুড়ে গেছে। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকজনের ৫০ ভাগ পুড়েছে। ৫০ থেকে ৮০ ভাগ দগ্ধ ২০ জনের মতো রোগী রয়েছেন। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
আহত কয়েকজন যাত্রী জানান, এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিল। লঞ্চে প্রায় হাজারখানেক যাত্রী ছিলেন। রাত ৩টার দিকে সুগন্ধা নদীতে চলন্ত অবস্থায় লঞ্চটিতে আগুন লাগে। পরে লঞ্চটি দিয়াকুল গ্রামের নদীর তীরে নিয়ে আসা হয়।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আগুন নেভানোসহ উদ্ধার কাজ করছে। লঞ্চটির ইঞ্জিন কক্ষ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক বিল্লাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক যাত্রী। দগ্ধ অবস্থায় অর্ধ শতাধিক যাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে।
বিল্লাল উদ্দিন বলেন, আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদের নামপরিচয় এখনো জানা যায়নি।
এসএ/