শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কে হচ্ছেন সিলেট জেলা পরিষদের প্রশাসক

সবার কৌতুহল এখন জেলা পরিষদকে ঘিরে। কে হচ্ছেন প্রশাসক ? এই তালিকায় একাধিক নাম যুক্ত হলেও বারবার উঠে আসছে শফিকুর রহমান চৌধুরীর নাম। শফিকুর রহমান চৌধুরী বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। গেল দুইবার সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ থেকে প্রশাসক মনোনীত করা হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, তৃতীয়বারও এর ব্যত্যয় ঘটবে না এবং জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতিই হতে পারেন সিলেট জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক।  

১৭ এপ্রিল মেয়াদোত্তীর্ণের পর জেলা পরিষদে প্রশাসক বসানোর সুযোগ সৃষ্টি করে সরকার। সব ধাপ শেষ করে সংশোধিত জেলা পরিষদ আইনের গেজেট গত ১৩ এপ্রিল প্রকাশ করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৬১টি জেলা পরিষদের মেয়াদ প্রথম সভার তারিখ থেকে পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ায় পরিষদগুলো বিলুপ্ত করা হয়েছে।

জেলা পরিষদে প্রশাসক নিয়োগের আগে প্রত্যেক জেলা পরিষদের প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা পরিচালনার জন্য প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। ওইদিনই সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দিপ কুমার সিংহকে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। একইসঙ্গে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে জেলা পরিষদের প্রশাসক নিয়োগের ঘোষণা দেওয়া হয়। নির্বাচন পূর্ববর্তী সরকার মনোনীত প্রশাসক দায়িত্ব পালন করবেন জেলা পরিষদের। তবে প্রশাসকের মেয়াদ ১৮০ দিনের বেশি হবে না। একইসঙ্গে একাধিকবার কেউ প্রশাসক থাকতে পারবেন না বলেও বিধান রাখা হয়েছে।

গত ১৮ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

এদিকে স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রীর এই ঘোষণার পর চলে গেছে তিন দিন। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাকী চার দিনের মধ্যেই সিলেট জেলা পরিষদ পাচ্ছে নতুন প্রশাসক। এ নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সচেতন মানুষের মধ্যে কমতি নেই উৎসাহের। এ ছাড়াও নিজেদের মতো করে অনেকেই প্রশাসক পদে নাম বলছেন বিভিন্নজনের। এ বিষয়ে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে অন্তত চারজনের নাম পাওয়া গেছে। আলোচনায় উঠে আসা এই চারজন হলেন-জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ ও বিজিত চৌধুরী।

সিলেট জেলা পরিষদের প্রথম প্রশাসক মনোনীত হন জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি আব্দুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ান। তিনি ২০১১ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব লাভ করেন। ২০১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করলে ২০১৬ সালের ১৯ জুলাই সিলেট জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসকের দায়িত্ব লাভ করেন জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান। পরবর্তীতে শুন্য পদে ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান সিলেট জেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।

এদিকে প্রশাসক পদে শফিকুর রহমান চৌধুরীর পর বেশি করে নাম উচ্চারিত হচ্ছে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিনের। আসাদ উদ্দিন আহমদ এর আগে সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রশাসক পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালের ৯ জুন সিলেট চেম্বার অব কমার্সের প্রশাসক পদে নিয়োগ লাভ করেন তিনি। বর্তমানে তিনি সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এই আলোচনায় নাম রয়েছে অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের নাম। অনেকের ধারণা, ত্যাগী এবং কর্মঠ বিবেচনায় প্রশাসক হিসেবে স্থান পেতে পারেন তিনি। মহানগর সহ-সভাপতি বিজিত চৌধুরীও রয়েছেন এই আলোচনায়। তিনিও সিলেট চেম্বারের নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন সফলতার সঙ্গে। ডাকসাইটে এবং আপোসহীন হিসেবে তাঁর সুনাম ছাত্রজীবন থেকে। গেল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নে সংখ্যালঘুদের যথাযথ মূল্যায়ন করেছে সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে সরকারি বিবেচেনায় তিনিও প্রশাসক পদের দাবিদার।

জেলা পরিষদের বিদ্যমান আইনে ৮২ নম্বর ধারা সংশোধন করে বলা হয়েছে-এতে কোনও জেলা পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে এবং পরবর্তী পরিষদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত পরিষদের কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য সরকার একজন উপযুক্ত ব্যক্তিকে বা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত কোনো কর্মকর্তাকে প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে। তবে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগপ্রাপ্ত কাউকে প্রশাসক পদে বসানো হচ্ছে না-এমনটিও বলছেন সমাজকর্মীরা। তাদের মতে, সরকার যেকোনো মূল্যে জেলা পরিষদের মতো প্রতিষ্ঠানটিতে নিজেদের পছন্দমতো লোককেই নিয়োগ দিতে স্বাচ্ছন্দবোধ করবে।

সিলেট জেলা বারের আইনজীবী মোহাম্মদ মনির উদ্দিন বলেন, জেলা পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে এবং পরবর্তী পরিষদ গঠন না হওয়া পর্যন্ত সরকার একজন উপযুক্ত ব্যক্তিকে বা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত কোনো কর্মকর্তাকে প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে। জেলা পরিষদ আইনের ৮২ ধারার ০২ উপধারায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। ফলে সরকার যেকোনও ব্যক্তিকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করতে পারবে। এই ব্যক্তি যে দলীয় হতে হবে তা-আইনে নেই। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যখন যে সরকার আসে, সেই সরকার তাঁর অনুগত লোককেই প্রশাসক নিয়োগ করে থাকে। সে অদক্ষ, অযোগ্য বা দুর্নীতিবাজ হলেও প্রশাসক পদে নিয়োগ পেয়ে যায়। অথচ সরকার চাইলে দক্ষ, সৎ ও প্রজ্ঞাবান লোককে এক্ষেত্রে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারে। কিন্তু বাস্তবে তা দেখা যায় না। সাধারণ নাগরিকের জন্য সাধারণ নাগরিক থেকে গ্রহণযোগ্য, সৎ, নিষ্ঠাবান ও দক্ষ ব্যক্তিদের প্রশাসক হিশেবে নিয়োগ করলে সরকার এবং জনগণের জন্য অধিকতর কল্যাণকর হতো বলে মনে করেন তিনি।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জেলা পরিষদের মাধ্যমে কি কাজ করা উচিত এবং বিগত দিনে কি কি কাজ করা হয়েছে-তার একটি তথ্য উপস্থাপন করা ছিল জরুরি। পরিষদ আছে, তাকে কাজে লাগাতে হবে। আর কাজ করতে হলে দলীয় লোকের বাহিরেও অনেক যোগ্য মানুষ রয়েছেন। সুতরাং দলকেন্দ্রিক না করে পরিষদ এবং তার কার্যক্রম তুলে ধরতে হলে গ্রহণযোগ্য এবং বিচক্ষণ ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে পারে সরকার।

সিলেট মহানগর আওয়ামী সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ বলেন, বিষয়টি একান্তই সরকারের। ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আওয়ামী লীগ প্রধানই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্বান্ত গ্রহণ করবেন। জেলা পরিষদে দল যাকে যোগ্য এবং গ্রহণযোগ্য বিবেচনা করবে তাকেই প্রশাসক পদে আসীন করা হবে।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো প্রত্যাশাও নেই। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, প্রত্যেক জেলায় একজন চেয়ারম্যান, ১৫ সদস্য ও ৫ নারী সদস্য অর্থাৎ মোট ২১ সদস্যের পরিষদ রয়েছে। আইন অনুযায়ী জেলার অন্তর্গত সিটি করপোরেশনের (যদি থাকে) মেয়র ও কাউন্সিলররা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা জেলা পরিষদের ভোটার।

এসআইএইচ

Header Ad

আইনজীবী আলিফ হত্যার ঘটনায় ৩১ জনের নামে মামলা

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে সাবেক ইস্কন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের নিহতের ঘটনায় ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ ১০ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) নগরের কোতোয়ালি থানায় নিহত আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন এ মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন—নগরের কোতোয়ালী থানার বান্ডেল রোড সেবক কলোনি এলাকার বাসিন্দা চন্দন, আমান দাস, শ্রী শুভ কান্তি দাস, বুঞ্জা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত, রুমিত দাস, নয়ন দাস, গগন দাস, বিশাল দাস, ওমকার দাস, বিশাল, রাজকাপুর, লালা, সামির, সোহেল, শিব কুমার, বিগলাল, পরাশ, শ্রী গণেশ, ওম দাস, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, জয়, দুর্লভ দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য।

এ ছাড়াও আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের ওপর হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগ ১১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪ থেকে ৫শ’ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করেছেন হত্যাকাণ্ডের শিকার আইনজীবী আলিফের বড় ভাই খানে আলম।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ মামলা দুটির বিষয় নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের ওপর হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগে আরও একটি মামলা দায়ের করেন আলিফের ভাই খানে আলম।

এদিকে এ ঘটনায় পুলিশের সংগ্রহ করা ৫২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপান ওম দাশ, চন্দন ও রনব। সাইফুলের নিথর দেহ রাস্তায় পড়ে থাকলেও লাঠিসোঁটা দিয়ে পেটাতে থাকেন অন্যরা। ঘটনাস্থলে আরও ২৫ থেকে ৩০ জন উপস্থিত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে রমিত দাস, সুমিত দাস, গগন দাস, নয়ন দাস, বিশাল দাস, আমান দাস, মনু মেথর ও রাজীব ভট্টাচার্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বেশির ভাগই পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও একজন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী।

এর আগে, গত ২৫ নভেম্বর রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে ২৬ নভেম্বর তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয়। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালতে পাঠানোর পথে তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আটকে দেয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীরা। তাদের সরিয়ে দিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণকে কারাগারে নেয়ার পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন।

Header Ad

লোডশেডিংয়ে ২০ মিনিট বন্ধ ছিল আতিফ আসলামের কনসার্ট

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকায় মঞ্চ মাতাতে এসেছিলেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম। তবে কনসার্টের স্টেজে ওঠার মাত্র ১০ সেকেন্ডের মাথায় লোডশেডিংয়ের কারণে কনসার্ট বন্ধ হয়ে যায়।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাতে আর্মি স্টেডিয়ামে ‘ম্যাজিক্যাল নাইট ২.০’ কনসার্টে এ ঘটনা ঘটেছ।

জানা গেছে, এদিন দর্শকদের গান শোনাতে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে স্টেজে ওঠেন আতিফ আসলাম। এরপর সংগীত পরিবেশন শুরুর মাত্র ১০ সেকেন্ডের মাথায় বিদ্যুৎ চলে গিয়ে কনসার্ট বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনার প্রায় ২০ মিনিট পর ফের কনসার্ট শুরু হয়।

এর আগে ‘ম্যাজিকেল নাইট ২.০’ কনসার্টে অংশ নিতে উপলক্ষ্যে গত ২৮ নভেম্বর বিকেলে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন আতিফ আসলাম।

কনসার্টে আতিফ ছাড়াও আরও পারফর্ম করবেন পাকিস্তানি তরুণ শিল্পী আবদুল হান্নান, বাংলাদেশের তাহসান খান ও ব্যান্ড কাকতাল। এ ছাড়া এই কনসার্টে বিশেষ চমক থাকবে, যা এখনই প্রকাশ করছে না আয়োজক কমিটি।

Header Ad

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৯ বস্তা টাকা, চলছে গণনা

ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের আলোচিত পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার ২৯ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এই মুহূর্তে টাকা গণনার কাজ চলছে। মসজিদে ১১টি লোহার দানবাক্স রয়েছে। ৩ মাস ১৪ দিন পর শনিবার সকাল ৭টায় এ দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে।

মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৩৫০ জনের একটি দল এই ২৯ বস্তা টাকা গণনার কাজে অংশ নিয়েছে। এবার দানবাক্স খোলার সময় পার হয়ে যাওয়ার অতিরিক্ত একটি টিনের বাক্স বাড়ানো হয়েছে।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক মিজাবে রহমত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এ ছাড়াও এ সময় বিপুলসংখ্যক সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান জানান, এবার তিন মাস ১৪ দিন পর শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের ১১টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। এতে ২৯ লক্ষ টাকা পাওয়া গেছে। পরে মসজিদের দোতালায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়েছে। তিন মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার তিন মাস ১৪ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। এবারও তাই একটি টিনের ট্রাঙ্ক বাড়ানো হয়েছিল। আশা করা যাচ্ছে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে।

টাকা গণনার কাজে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এটিএম ফরহাদ চৌধুরি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষক ও আইসিটি) মহুয়া মমতাজ, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজ প্রমুখ অংশ নিয়েছেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আইনজীবী আলিফ হত্যার ঘটনায় ৩১ জনের নামে মামলা
লোডশেডিংয়ে ২০ মিনিট বন্ধ ছিল আতিফ আসলামের কনসার্ট
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৯ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
বাংলাদেশী রোগীর চিকিৎসা বন্ধ করলো কলকাতা
যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন বিএনপি মহাসচিব
‘সাইফুলকে ইসকনের ব্যানারে আওয়ামী লীগের দোষররাই হত্যা করেছে’
শাহজালাল বিমানবন্দরে ১২ টি স্বর্ণের বারসহ মালয়েশিয়ার নাগরিক আটক
সিরিজ রক্ষার মিশনে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ
৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি
গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল
আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের শুভসূচনা
বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার প্রচারণা ও ইসকন প্রসঙ্গে যা বলল দিল্লি
কারাগারে ডিভিশন পাননি চিন্ময়, খেতে দেওয়া হচ্ছে নিরামিষ
আওয়ামী লীগ শাসনামলে বছরে পাচার হয়েছে ১৪ বিলিয়ন ডলার
পরিবর্তন হচ্ছে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত নতুন রেলসেতুর নাম
পূর্ণিমার প্রথম স্বামী কিবরিয়াকে বিয়ে করলেন চিত্রনায়িকা কেয়া
‘আইনজীবী সাইফুলের পরিবারের জন্য কোটি টাকার ফান্ড গড়া হচ্ছে’
ইসকনের নামে আওয়ামী লীগ নতুন করে আসার চেষ্টা করছে: হেফাজতে ইসলাম
ঢাকায় আজ মঞ্চ মাতাবেন আতিফ আসলাম