বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি। ছবি: সংগৃহীত

দেশের আটটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ব্যাপারে ভর্তীচ্ছুদের সতর্ক করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন ইউজিসির পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ) ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভূইয়া।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য জানিয়ে ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর অধীনে বর্তমানে ১১৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন রয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ১০৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মামলা মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বিরাজমান, সে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা পূর্বের ধারাবাহিকতায় এবারও প্রকাশ করেছে কমিশন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের হালনাগাদ তথ্য নিয়মিতভাবে কমিশনের ওয়েবসাইটেও আপলোড করা হয়।

অবৈধ ক্যাম্পাস ও অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী বিশ্ববিদ্যালয়:

১. ইবাইস ইউনিভার্সিটি: সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোন আইনগত ভিত্তি নেই। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস ও ঠিকানা এবং চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই- তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই।

এছাড়া বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং আদালতে মামলা রয়েছে। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী ইবাইস ইউনিভার্সিটি’র একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও এর ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোনো বৈধতা নেই।

২. আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি: বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস ও ঠিকানা এবং চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এর একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও উহার ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোন বৈধতা নেই।

৩. দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা: বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা এর একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও এর ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোন বৈধতা নেই।

পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা:

১. ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ: নির্ধারিত সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষাসহ সব কার্যক্রম স্থানান্তরে ব্যর্থ হওয়ায় কমিশন কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে এবং তা এখনও বহাল রয়েছে। তবে উক্ত তারিখের পূর্বে চলমান কোর্সে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

২. সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ঢাকা): বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে রাষ্ট্রপতি বা চ্যান্সেলর কর্তৃক নিয়োগকৃত ভাইস চ্যান্সেলর নেই। ট্রেজারার নিয়োগ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অডিট ফার্ম দ্বারা অডিট করা হয়নি। এছাড়া প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ গঠন সংক্রান্ত জটিলতা, পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ও মামলা চলমান রয়েছে।

এ কারণে কমিশন কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-এর সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে এবং তা এখনও বহাল আছে। তবে এ তারিখের পূর্বে চলমান কোর্সে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

৩. সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ: এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক, একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিষয়েও তদন্ত কার্যক্রম চলমান আছে।

৪. দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়: আদালতের আদেশবলে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর সব আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ করা হয়েছে।

৫. কুইন্স ইউনিভার্সিটি: ২০০৬ সালের ২২ অক্টোবর সরকার কর্তৃক বন্ধ করা হয়। পরবর্তীতে বাতিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন শর্ত সাপেক্ষে এক বছরের জন্য প্রত্যাহার করা হয়েছিল। শর্তটি হলো- এক বছরের মধ্যে কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্পিত শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত সব শর্ত পূরণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি সব শর্ত পূরণ করতে সক্ষম না হয়, তবে শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত এ সাময়িক অনুমতি তাৎক্ষণিক বাতিল হবে। শর্তানুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কুইন্স ইউনিভার্সিটি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে সমর্থ হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অর্জিত ডিগ্রির মূল সার্টিফিকেটে স্বাক্ষরকারী হবেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রপতি তথা আচার্য কর্তৃক নিয়োগকৃত ভাইস-চ্যান্সেলর এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ১০৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত উপাচার্য রয়েছেন ৭৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.ugc.gov.bd) এ সংক্রান্ত বিষয়ে সময়ে সময়ে তালিকা আপডেট করা হয়।

এ অবস্থায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ক্যাম্পাসে এবং অনুমোদিত প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার জন্য ইউজিসির ওয়েবসাইট (www.ugc.gov.bd) থেকে তথ্য সংগ্রহপূর্বক ভর্তি হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের জন্য প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তারকা (*) চিহ্নসহ কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.ugc.gov.bd) হালনাগাদ তথ্য আপলোড বা প্রদর্শন করা হয়।

এরপরও কেউ কোনো অননুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রামে বা অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত আসনে ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে এবং পরবর্তীতে কোনো আইনগত সমস্যা সৃষ্টি হলে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষিত অথবা প্রোগ্রাম বাতিল হলে বা অনুমোদিত আসন সংখ্যার অধিক আসনে ভর্তি হয়ে সনদ বাতিল হলে তার দায়-দায়িত্ব ইউজিসির ওপর বর্তাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বব্যাপী সব ধরনের মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতিসংঘের প্রধান আন্তঃসরকারি সংস্থা হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করার জন্য বাংলাদেশ সর্বসম্মতভাবে নির্বাচিত হয়েছে।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকালে মানবাধিকার কাউন্সিলের একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বার্তায় এই তথ্য জানায়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ভাইস প্রেসিডেন্টের জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়া ২০২৪ সালের অক্টোবরে শুরু হয়েছিল। বাংলাদেশ এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রুপের (এপিজি) প্রতিনিধিত্বকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে সংস্থায় কাজ করার সময় এ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। এপিজি সর্বসম্মতিক্রমে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের জন্য বাংলাদেশের প্রার্থিতা সমর্থন করে এবং কাউন্সিলের বৃহত্তর সদস্যপদ বিবেচনার জন্য মনোনয়ন প্রদান করে। অবশেষে প্রক্রিয়াটি সফলভাবে সমাপ্ত হয় যখন বাংলাদেশ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য কাউন্সিল সদস্যদের সর্বসম্মত সমর্থন অর্জন করে।

২০০৬ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকার কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের এই মর্যাদাপূর্ণ মানবাধিকার সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের আন্তঃসরকার এই সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার জোরদার ও সুরক্ষার জন্য কাজ করে। মানবাধিকার কাউন্সিলের কার্যালয়ে একজন প্রেসিডেন্ট এবং চারজন ভাইস প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘের পাঁচটি আঞ্চলিক গ্রুপের প্রতিনিধিত্ব করেন।

Header Ad
Header Ad

‘সি ইউ নট ফর মাইন্ড’ খ্যাত শ্যামল চন্দ্র গ্রেপ্তার

‘সি ইউ নট ফর মাইন্ড’ খ্যাত শ্যামল গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘সি ইউ নট ফর মাইন্ড’ বলে ভাইরাল শ্যামল চন্দ্রকে (৩৮) একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা স্টেশন বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শ্যামল চন্দ্র বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মনমথ গ্রামের মৃত নেপাল চন্দ্রের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার জামায়াত কর্মী শাহাবুল ইসলামকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার বামনডাঙ্গা স্টেশন বাজার এলাকা থেকে শ্যামল চন্দ্রকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি জামায়াত কর্মী শাহাবুল হত্যা মামলার এজহারনামীয় ৩৪ নম্বর আসামি।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বামনডাঙ্গার মনমথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে শাহাবুল ইসলাম নামের এক জামায়াত কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় সাড়ে ১০ বছর পর তার ছোট ভাই এসএম শাহজাহান কবির বাদী হয়ে গত ২২ অক্টোবর মামলা করেন। এতে সাবেক এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের স্ত্রী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতিকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ৭৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনকেও এতে আসামি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে এক কনটেন্ট ক্রিয়েটরের সঙ্গে আলাপে ‘সি ইউ নট ফর মাইন্ড’ ও ‘হ্যাভ অ্যা রিল্যাক্স’ বাক্য ব্যবহার করে আলোচনায় এসেছিলেন শ্যামল।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের বিষয়ে ভারতের 'খবরদারি' চলবে না: গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের খবরদারি চলবে না বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দেশের মানুষ বন্ধুত্ব চায় কিন্তু প্রভুত্ব চায় না।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দীর্ঘ সময় সুইডেন থেকে দেশে এসে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গয়েশ্বর রায় গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সাম্প্রতিক ঢাকা সফর প্রসঙ্গে গয়েশ্বর রায় বলেন, মুরুব্বিয়ানা অথবা আমাদের ওপরে খবরদারি, এটা ভারতকে পরিহার করতে হবে। এতদিন দেখা গেছে, দিল্লির সংকেত ছাড়া একটা ব্যাংকের এমডিও নিয়োগ হয়নি। কে কোথায় বিচারপতি হবেন, কে কোথায় বড় বড় পদে থাকবেন, কে মন্ত্রী হবেন- সেটাও তারা (ভারত) সিদ্ধান্ত দিত। আমরা মনে করি, এগুলো শুধু নয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিয়ন্ত্রণ করার যে প্রবণতা, সেটাও ভারতকে পরিহার করতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণই ঠিক করবে, কাকে কোথায় বসাতে হবে। এর জন্য অন্য দেশের পরামর্শের দরকার নেই। নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ কোনো স্বাধীন দেশের জনগণের কাম্য নয়।

গয়েশ্বর রায় বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব নতুন সম্পর্কের কথা বলেছেন। তাহলে বোঝা যাচ্ছে, পুরোনো সম্পর্কের মধ্যে কোনো না কোনো ফাঁক-ফোকর ছিল। একজন ব্যক্তি বা দলের সঙ্গে থেকে দীর্ঘ ১৬ বছর তারা বাংলাদেশের ভোটাধিকার বিনষ্ট করার চেষ্টা করেছে। সুতরাং আজ যদি এই কথা উপলব্ধি করতে পারে, তাহলে তারা নিশ্চয়ই সঠিক পথে বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখবে এবং অব্যাহত রাখবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ
‘সি ইউ নট ফর মাইন্ড’ খ্যাত শ্যামল চন্দ্র গ্রেপ্তার
বাংলাদেশের বিষয়ে ভারতের 'খবরদারি' চলবে না: গয়েশ্বর
আওয়ামী লীগ পুলিশকে টিস্যু পেপারের মতো ব্যবহার করেছে: সারজিস আলম
নওগাঁয় ট্রাক-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বাংলাদেশ ট্যুরের উদ্বোধন করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
দেশের মানুষ এখন বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে: তারেক রহমান
শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী- দাবি শুভেন্দুর (ভিডিও)
আমি প্রেমে পড়ি না, প্রেম আমার ওপর পড়ে: পরীমণি
ভারতীয় বিছানার চাদর পোড়ালেন রিজভী, বিক্রি করলেন দেশি কাপড়
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে ১০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে বিজিবি
মাশরাফি ও তার বাবাসহ ২৯৫ জনের নামে মামলা
রাহাত ফাতেহ আলীর কনসার্টের টিকিট বিক্রি শুরু, সর্বোচ্চ মূল্য ১০ হাজার
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে চাকরির সুযোগ: ৬৫৮ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
সিরিয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরিকল্পনা, কে হবেন প্রধান?
নেচার সাময়িকীর সেরা ১০ ব্যক্তিত্বের তালিকায় ড. ইউনূস
৪ জাহাজে ৫২ হাজার টন তেল আমদানি, দাবি সংকট কাটবে
স্ত্রীর নামে পুরুষ নির্যাতন মামলা, সমন জারি আদালতের
দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন অভিমুখে আরএসএসের মিছিল
ঋণের অর্থ ফেরত চেয়ে এস আলমের বাড়ির সামনে ব্যাংক কর্মকর্তাদের অবস্থান কর্মসূচি