‘আইনজীবী সাইফুলের পরিবারের জন্য কোটি টাকার ফান্ড গড়া হচ্ছে’
আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ এবং ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
ইসকনের অনুসারীদের হামলায় শহীদ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের পরিবারের জন্য কোটি টাকার ফান্ড গড়ে তোলা হচ্ছে। ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের তত্ত্বাবধানে এ ফান্ড সংগ্রহের দায়িত্বে আছে মানবিক সংগঠন শামসুল হক ফাউন্ডেশন।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার পানত্রিশা গ্রামে শহিদ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত ও মোনাজাত শেষে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন সাংবাদিকদেরকে এ তথ্য জানান।
ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনে বলেন, সাইফুল ইসলাম আলিফ আইনের শাসন, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে দেশ ও জাতিকে অনেক কিছু দিতে পারতেন। কিন্তু তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। অপরাধীদের প্রচলিত আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবে সরকার।
উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্যপূর্ণ একটি রাষ্ট্র। এই সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য বিনষ্ট করতে দেশি-বিদেশি নানা প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী চক্রান্ত চালাচ্ছে। একটি বৈষম্যহীন দেশ গঠনের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে অপচেষ্টা চলছে। কোনোভাবেই এই চক্রান্তের ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না।
ইসকন নিষিদ্ধের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. খালিদ বলেন, এ বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। সুতরাং এ বিষয়ে মন্তব্য করা সমীচীন হবে না।
হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনতে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেখানে উপস্থিত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, সন্দেহজনক অনেককে ইতোমধ্যে ধরা হয়েছে। সরকার এ বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত হবে, সুষ্ঠু বিচার হবে এবং অপরাধীরা উপযুক্ত শাস্তি পাবে।
এ বিষয়কে কেন্দ্র করে উসকানিমূলক ঘটনা যেন না ঘটে এবং দেশে-বিদেশে আমাদের ভাবমূর্তি যেন নষ্ট না হয় সে দিকে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান তিনি।
পরে উপদেষ্টারা আইনজীবী সাইফুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। ধর্ম উপদেষ্টা হত্যাকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের ভরণপোষণ, চিকিৎসা ও পড়ালেখার জন্য সাইফুলের বাবার হাতে আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা সহায়তা প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে নগদ ১ লাখ টাকা, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ৫ লাখ টাকার চেক এবং আল মানাহিল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আরও ১ লাখ টাকা তুলে দেন।
এ সময় লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইনামুল হাসানসহ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।