শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

গরমে রামেক হাসপাতালে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী

রাজশাহীতে শীতের আবহ শেষ হতে না হতেই ফাল্গুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। এদিকে, চৈত্র শেষ হলেও কমেনি খরতাপ। কয়দিন ধরে তীব্র দাবদাহে পুড়ছে রাজশাহী। একদিকে গরম আর অন্যদিকে মানুষের অসচেতনতায় উদ্বেগজনক হারে প্রকোপ বাড়ছে ডায়রিয়ার। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রতিদিন ৪০ এর বেশি ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হচ্ছেন। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ৬৫৫ জন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। মার্চে এ সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পায়। মার্চ মাসে ১ হাজার ৬৩৫ জন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নেন। এ ছাড়া এপ্রিলের ১২ তারিখ পর্যন্ত ১৩টি ওয়ার্ডে ১ হাজার ১২৬ জন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। আর গত আড়াই মাসে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে পানি শূন্যতায় পাঁচ রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের এ সময় ডায়রিয়ার প্রকোপ থাকে। তবে প্রকোপ এবার কিছুটা বেশি বলেই মনে হচ্ছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে এখন রমজান মাস চলছে। এ সময় বাইরের অস্বাস্থ্যকর ফাস্টফুড মানুষ বেশি খাচ্ছে। দোকানিরা ভালোভাবে না ঢেকেই খোলা জায়গায় খাবার বিক্রি করছেন। আঁখের রসসহ যেসব শরবত রাস্তা-ঘাটে বিক্রি হচ্ছে, যেগুলোও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে। শরবত তৈরিতে তারা কী পানি ব্যবহার করছেন এটা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। এসব খাবার খেয়েই মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন।

বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, মুখের মাধ্যমে জীবাণু প্রবেশ ছাড়া ডায়ারিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তাই কী খাচ্ছি, কোথায় খাচ্ছি এ বিষয়ে সচেতনতা প্রয়োজন।

রামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মাহাবুবুর রহমান বাদশাহ বলেন, হঠাৎ গরম ও আবহাওয়ার পরিবর্তন জনিত কারণে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে প্রতিদিন যে হারে বাড়ছে তা উদ্বেগজনক! ডায়রিয়ায় শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। কিডনি ফেইলর হয়ে মৃত্যুও হচ্ছে। মূলত মুখের মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কারণে ডায়রিয়া হচ্ছে। তাই বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার আমাদের পরিহার করতে হবে।

তিনি আরও জানান, ডায়রিয়া সংক্রামক রোগ। যদিও মৃত্যুঝুঁকি খুবই কম। তারপরও ডায়রিয়া হলে বাসায় অপেক্ষা না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অন্যথায় কিডনি অকেজো হয়ে মৃত্যুও হতে পারে।

এদিকে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে শনিবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত ডায়রিয়া ব্লকে ৬৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। পূর্বের রোগী সংখ্যা ছিল ১৬৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩১ জন। সর্বোশেষ ২০৭ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি ছিল। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৪৭ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছিল।

শনিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, ১০, ২৪ ও ২৬ শিশু ওয়ার্ডসহ ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৪২ ও ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রত্যেকটিতেই ডায়রিয়া রোগী আছে।

বেড না পেয়ে বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেক রোগী। অধিকাংশ ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থা সন্তোষজনক নয়। ভ্যাপসা গরমের মধ্যে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধও। ভাঙা ও অপরিচ্ছন্ন শৌচাগার এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন রোগীর স্বজনসহ চিকিৎসকরাও।

তাদের অভিযোগ, হাসপাতালের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। কোথাও শৌচাগারের দরজা ভাঙা, কোথাও ওভারলোড হয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। কোথাও আবার পানি নেই। এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে রোগী ও স্বজনদের। কখনো কখনো চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরাও এমন দুর্ভোগের মধ্যে পড়ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইন্টার্ন চিকিৎসক বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। এসব রোগীদের সাধারণত বাথরুমে যাওয়া লাগে বেশি। এর মধ্যে তাদের অতিরিক্ত স্বজনের চাপ। যারা হাসপাতালে এসে পরিচ্ছন্নতার নূন্যতম বিষয়গুলো মানছেন না।

অপরদিকে, হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাও দুর্বল। এতে সবাইকেই বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এমন পরিবেশে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে যাবে।

৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের বারান্দায় চিকিৎসা নেওয়া এক রোগীর স্বজন আশরাফ আলী জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে তার মা কে এই ওয়ার্ডে ভর্তি করেছেন। রোগীর চাপ প্রচুর। দিনে একবার করে ডাক্তার দেখে যাচ্ছেন। ওষুধের সরবরাহ থাকলেও চিকিৎসা পরিবেশটা খুবই খারাপ! একটু পরপর ভ্যাপসা গরমের সঙ্গে দুর্গন্ধ ভেসে আসছে।

শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আরেক রোগীর স্বজন নাইমুল হাসান বলেন, শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপে পা ফেলার জায়গা নেই। অধিকাংশই ডায়রিয়ার রোগী। পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা সম্পর্কে বলেও লাভ নেই। ডাক্তারদের একবারের বেশি দু’বার দেখা মেলে না। প্রয়োজন হলে বারবার নার্সদের ডাকতে হয়। তারাও তেমন গুরুত্ব দেয় না।

এ বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ডায়রিয়া রোগীর প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ওষুধসহ পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে পয়ঃনিষ্কাশন নিয়ে কিছু সমস্যা আছে। বাথরুম একটা ঠিক করতে না করতেই আরেকটা নষ্ট হচ্ছে। হাসপাতালের জনবলের অনেক সংকট আছে। ১ হাজার ২০০ বেডের হাসপাতালে যে জনবল দরকার তার থেকে অনেক কম জনবল। অথচ চিকিৎসা দিতে হচ্ছে তিন হাজারের বেশি রোগীকে।

তিনি আরও বলেন, এতো সংকটের মধ্যেও বর্তমানে অস্থায়ী ভিত্তিতে কিছু লোক নিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। তবে রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে তারা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।

এমএসপি

Header Ad

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি। ছবি: সংগৃহীত

দেশের আটটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ব্যাপারে ভর্তীচ্ছুদের সতর্ক করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন ইউজিসির পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ) ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভূইয়া।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য জানিয়ে ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর অধীনে বর্তমানে ১১৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন রয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ১০৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মামলা মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বিরাজমান, সে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা পূর্বের ধারাবাহিকতায় এবারও প্রকাশ করেছে কমিশন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের হালনাগাদ তথ্য নিয়মিতভাবে কমিশনের ওয়েবসাইটেও আপলোড করা হয়।

অবৈধ ক্যাম্পাস ও অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী বিশ্ববিদ্যালয়:

১. ইবাইস ইউনিভার্সিটি: সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোন আইনগত ভিত্তি নেই। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস ও ঠিকানা এবং চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই- তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই।

এছাড়া বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং আদালতে মামলা রয়েছে। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী ইবাইস ইউনিভার্সিটি’র একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও এর ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোনো বৈধতা নেই।

২. আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি: বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস ও ঠিকানা এবং চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এর একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও উহার ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোন বৈধতা নেই।

৩. দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা: বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা এর একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও এর ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোন বৈধতা নেই।

পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা:

১. ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ: নির্ধারিত সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষাসহ সব কার্যক্রম স্থানান্তরে ব্যর্থ হওয়ায় কমিশন কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে এবং তা এখনও বহাল রয়েছে। তবে উক্ত তারিখের পূর্বে চলমান কোর্সে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

২. সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ঢাকা): বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে রাষ্ট্রপতি বা চ্যান্সেলর কর্তৃক নিয়োগকৃত ভাইস চ্যান্সেলর নেই। ট্রেজারার নিয়োগ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অডিট ফার্ম দ্বারা অডিট করা হয়নি। এছাড়া প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ গঠন সংক্রান্ত জটিলতা, পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ও মামলা চলমান রয়েছে।

এ কারণে কমিশন কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-এর সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে এবং তা এখনও বহাল আছে। তবে এ তারিখের পূর্বে চলমান কোর্সে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

৩. সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ: এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক, একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিষয়েও তদন্ত কার্যক্রম চলমান আছে।

৪. দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়: আদালতের আদেশবলে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর সব আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ করা হয়েছে।

৫. কুইন্স ইউনিভার্সিটি: ২০০৬ সালের ২২ অক্টোবর সরকার কর্তৃক বন্ধ করা হয়। পরবর্তীতে বাতিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন শর্ত সাপেক্ষে এক বছরের জন্য প্রত্যাহার করা হয়েছিল। শর্তটি হলো- এক বছরের মধ্যে কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্পিত শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত সব শর্ত পূরণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি সব শর্ত পূরণ করতে সক্ষম না হয়, তবে শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত এ সাময়িক অনুমতি তাৎক্ষণিক বাতিল হবে। শর্তানুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কুইন্স ইউনিভার্সিটি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে সমর্থ হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অর্জিত ডিগ্রির মূল সার্টিফিকেটে স্বাক্ষরকারী হবেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রপতি তথা আচার্য কর্তৃক নিয়োগকৃত ভাইস-চ্যান্সেলর এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ১০৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত উপাচার্য রয়েছেন ৭৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.ugc.gov.bd) এ সংক্রান্ত বিষয়ে সময়ে সময়ে তালিকা আপডেট করা হয়।

এ অবস্থায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ক্যাম্পাসে এবং অনুমোদিত প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার জন্য ইউজিসির ওয়েবসাইট (www.ugc.gov.bd) থেকে তথ্য সংগ্রহপূর্বক ভর্তি হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের জন্য প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তারকা (*) চিহ্নসহ কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.ugc.gov.bd) হালনাগাদ তথ্য আপলোড বা প্রদর্শন করা হয়।

এরপরও কেউ কোনো অননুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রামে বা অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত আসনে ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে এবং পরবর্তীতে কোনো আইনগত সমস্যা সৃষ্টি হলে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষিত অথবা প্রোগ্রাম বাতিল হলে বা অনুমোদিত আসন সংখ্যার অধিক আসনে ভর্তি হয়ে সনদ বাতিল হলে তার দায়-দায়িত্ব ইউজিসির ওপর বর্তাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Header Ad

গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত

গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে সাইদুল ইসলাম (৪৫) নামের একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরো ৪ আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুম্মার নামাজের পর বেলা ২ টার দিকে উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের মালাধর উত্তরপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত সাইদুল ওই গ্রামের মৃত হাসিব উদ্দীনের পুত্র। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মালাধর গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র আব্দুল গফুর (৩৪), ফিরোজ খন্দকারের পুত্র শাকিল আহমেদ (২৭), সোহরাব খন্দকারের পুত্র সফিউল ইসলাম আহাদ (সোহাগ)কে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, নামাজের পর বেলা ২টার দিকে মসজিদের কমিটির নিয়ে আলোচনা চলছিল। এসময় মালাধর উত্তরপাড়া ও দক্ষিণ পাড়ার মধ্যে বাক-বিতণ্ডা শুরু হলে মসজিদের মধ্যেই সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে দুই গ্রামের লোকজন লাঠিশোঠা ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাতে অংশ নেয়। এতে সংঘর্ষ মসজিদের বাইরে ছড়িয়ে পরে। সংঘর্ষে উত্তরপাড়া গ্রামের সাইদুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং মতিন, শাহিন, আনিছুর ও মহব্বত নামের ৪জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ বুলবুল ইসলাম জানান, ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে ৩জন আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ তদন্ত কাজ অব্যাহত রেখেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Header Ad

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদ এবং রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুমা’র নামাজের পর টাঙ্গাইল পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে টাঙ্গাইল জেলা কওমী ওলামা পরিষদ ও টাঙ্গাইল জেলা ইমাম এবং মুয়াজ্জিন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর মিছিলটি শহীদ মিনার থেকে বের হয়ে পৌর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সামনে এসে শেষ হয়।

এ সময় সমাবেশে টাঙ্গাইল জেলা কওমী ওলামা পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুর রহমান ও টাঙ্গাইল জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি
গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল
আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের শুভসূচনা
বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার প্রচারণা ও ইসকন প্রসঙ্গে যা বলল দিল্লি
কারাগারে ডিভিশন পাননি চিন্ময়, খেতে দেওয়া হচ্ছে নিরামিষ
আওয়ামী লীগ শাসনামলে বছরে পাচার হয়েছে ১৪ বিলিয়ন ডলার
পরিবর্তন হচ্ছে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত নতুন রেলসেতুর নাম
পূর্ণিমার প্রথম স্বামী কিবরিয়াকে বিয়ে করলেন চিত্রনায়িকা কেয়া
‘আইনজীবী সাইফুলের পরিবারের জন্য কোটি টাকার ফান্ড গড়া হচ্ছে’
ইসকনের নামে আওয়ামী লীগ নতুন করে আসার চেষ্টা করছে: হেফাজতে ইসলাম
ঢাকায় আজ মঞ্চ মাতাবেন আতিফ আসলাম
বিক্ষোভের দায়ে গ্রেপ্তার আরও ৭৫ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করল আমিরাত
ভারতের দ্বিচারিতা নিন্দনীয় ও আপত্তিকর: আসিফ নজরুল
গাইবান্ধায় তিন বিএনপি নেতার পদ স্থগিত
সচিব আব্দুস সবুর মন্ডলকে বাধ্যতামূলক অবসর
চিন্ময় কৃষ্ণসহ ১৭ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ
তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ, তাপমাত্রা নেমেছে ১১.৪ ডিগ্রিতে
চুয়াডাঙ্গায় সেনা অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী মিল্টন অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
সরকার পতনের পর থেকে অনুপস্থিত কুবি কর্মকর্তা, তদন্ত কমিটি গঠন