রুমাতে ট্যুরিজম উন্নয়নে ট্যুরিস্ট পুলিশের মতবিনিময় সভা
ট্যুরিজম উন্নয়নে বান্দরবান জেলার রুমাতে ট্যুরিস্ট পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) উপজেলার ২নং রুমা ইউনিয়ন সেন্টারে দ্বিতীয় বারের মতো পর্যটন কমিউনিটি কমিটির সঙ্গে ট্যুরিস্ট পুলিশের এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ট্যুরিস্ট পুলিশ বান্দরবান রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম, বিশেষ অতিথি পর্যটন পুলিশিং কমিটির সভাপতি, হোটেল মালিক সভাপতি মো. আব্দুল জলিল।
এ ছাড়া মতবিনিময় সভায় ট্যুরিস্ট গাইড, ট্যুরিস্ট পরিবহন সমিতি, হোটেল মালিক সমিতির শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
সভায় গাইড, পরিবহন ও হোটেল মালিকদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয়। তার মধ্যে বরাবরের মতো অন্যতম দাবি ছিল- বিভিন্ন ঝর্ণার পর্যটন স্পটগুলো খুলে দেওয়া, গাইডদের প্রশিক্ষণ।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সমাপ্তের পথে থাকায় বান্দরবানের বিভিন্ন উপজেলার স্পটগুলোতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে।
বান্দরবানের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র রুমা উপজেলার পরিবহন-হোটেল মালিক ও ট্যুরিস্ট গাইডদের সুরক্ষায় কাউন্সেলিং, দিক-নির্দেশনামূলক এবং আইনশৃংখলা উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথি ট্যুরিস্ট পুলিশ বান্দরবান রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম বলেন, দেশজুড়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়াই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকদের স্পটগুলোতে যাওয়ার প্রতি নির্দেশনা দেন।
তিনি জনপ্রিয় কিছু ঝর্ণা পর্যটকদের স্বার্থে খুলে দেওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান।
গাইডদের প্রতিনিধি বান্দরবান পার্বত্য জেলার দুর্গম এলাকায় অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় পর্যটকদের সুবিধার্থে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে ট্যুরিস্ট পুলিশ নানা নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেয়ায় ধন্যবাদ দেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ ইন্সপেক্টার জাহাঙ্গীর বলেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম স্যারের নেতৃত্বে আমরা ইতোমধ্যে স্থানীয়দের নিয়ে পরিবেশবান্ধব কমিউনিটিবেজড ট্যুরিজম প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরো জানান, অনেক জায়গায় নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে পর্যটকরা লুকিয়ে যাতায়াত করায় নিরাপত্তা দিতে তারা অপারগ।
এর আগে পর্যটনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা প্রধান অতিথিকে ফুল দিয়ে বরণ করেন।
এমএসপি