ভূঞাপুরে নেশার টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে মেরে ফেললো স্বামী!
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নেশার টাকা না দেওয়ায় স্ত্রী সুমাইয়া (২১) কে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী রুবেলের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) রাতে উপজেলা পৌর শহরের ঘাটান্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার (৬ এপ্রিল) সকালে সুমাইয়ার মরদেহ উদ্ধার ও তার স্বামী রুবেলকে জিজ্ঞাসাবদের জন্য আটক করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ।
রুবেল ঘাটাইল উপজেলার গোরিশ্বর গ্রামের শুক্কর আলীর ছেলে ও সুমাইয়া গোপালপুর উপজেলার বরশিলা গ্রামের ইউসুফ আলীর মেয়ে।
সুমাইয়ার বাবা ইউসুফ ঢাকার একটি সিমেন্ট কোম্পানিদে চাকরি করেন এবং ভূঞাপুর ঘাটান্দী গ্রামের সুমাইয়ার বাসার পাশেই বাসা ভাড়া করে থাকতেন।
বাসার মালিক তারা তালুকদার জানান, আমার বাসা ভাড়া নেওয়ার পর থেকেই মাঝে মধ্যে ঝগড়া করতো তারা। মঙ্গলবার রাতে আমি বাসা এসে জানতে পারি, রাত ১০টার দিকে তাদের মধ্যে আবারো ঝগড়া হয়েছিল।
পরে রাত ২টা সময় রুবেলের ডাক-চিৎকার শুনে বাহিরে বের হই। তখন রুবেল জানায় তার স্ত্রী মারা গেছে। রুবেলের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে আশপাশের লোকজনদের জানাই। তারা পুলিশকে খবর দিলে সকালে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানান, এক মাস আগে ঘাটান্দীর গ্রামের চা দোকানী তারা তালুকদারের বাসা ভাড়া নেন রুবেল। বাসায় ওঠার পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। সুমাইয়া অন্যের বাসা-বাড়িতে কাজ করতেন।
এ ছাড়া তার স্বামী রুবেল হোটেলে কাজ করতেন। তাদের দেড় বছরের একটি কন্যাশিশু রয়েছে।
সুমাইয়ার মা শারমিন বেগম বলেন, রুবেল বিভিন্ন হোটেলে কাজ করতো। সে একদিন কাজ করলে দুইদিন বসে থাকতো ও রুবেল যা রোজগার করতো তা দিয়ে সে নেশা করতো।
এদিকে, সুমাইয়া অন্যের বাসায় কাজ করে সংসার চালিয়ে আসছিল। নিয়মিত কাজ করতে বলা ও নেশা করতে বাধা দেওয়ায় সুমাইয়ার সাথে রুবেলের প্রতিদিনই ঝগড়া হতো।
তিনি জানান, পরে বুধবার নেশার টাকা না থাকায় রুবেল নেশার টাকার জন্য সুমাইয়াকে চাপ দেয়। একপর্যায়ে মারধরও করেন। টাকা না দেওয়ায় সুমাইকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে আমার ধারণা।
ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে বুধবার সকালে সুমাইয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ও তার স্বামী রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
তিনি জানান, সুমাইয়ার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়না তদন্তের রির্পোট হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
এমএসপি