শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ | ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সোনাগাজীতে পতিত জমিতে তরমুজের চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ

যেদিকে চোখ যায় তরমুজের সবুজ ক্ষেত। সুবিশাল এ সবুজের মধ্যে শোভা পাচ্ছে রসালো তরমুজ। কেউ গাছ থেকে ফলন ছিঁড়ছেন, কেউ তরমুজের যত্ন নিচ্ছেন। সোনাগাজী উপজেলার পূর্ব, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পতিত জমি ও বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল নদীর তীরে আগে কখনো ফসল ফলেনি। পতিত জমি হিসেবে পড়ে থাকত। সামান্য কিছু জমিতে ধান আর ঢেঁড়স চাষ হতো। উপজেলার আদর্শগ্রাম, চর কৃষ্ণজয়, ফতেহপুর, মোবারকঘোণা, রঘুনাথপুর, দক্ষিণ পশ্চিম চর দরবেশ, পূর্ব বড়ধলী, দক্ষিণ চর চান্দিয়া, ও মুহুরী প্রকল্প এলাকায় শতশত কৃষক পরিবারের চেষ্টায় সে পতিত চরে ও ঢেঁড়সের জমিতে এখন সবুজের সমারোহ। তরমুজে ভরে উঠেছে সেই নিষ্ফলা জমি। ফলন আর দাম হাসি ফুটিয়েছে শতাধিক কৃষক পরিবারের সদস্যদের মুখে।

সোনাগাজীতে উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়নের পশ্চিম চর দরবেশ গ্রামের কৃষক বেলায়েত হোসেন স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে আগে গরু-মহিষ পালনসহ বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে জমি বর্গা নিয়ে ধান ও ঢেঁড়সের চাষ করতেন। গত দুই বছর উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় বেলায়েত দুই ছেলে ও ছোট ভাই ফারুক হোসেনকে নিয়ে এখন পতিত ও ঢেঁড়সের জমিতে তরমুজের চাষ করছেন। নোয়াখালীর সুবর্ণচরের কয়েকজন কৃষক তার পাশের কিছু জমিতে হঠাৎ করে ২০২০ সালে তরমুজের চাষ করে। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। তাদের দেখে উৎসাহিত হয়ে তিনি নিজেও তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ হয়ে চাষাবাদ শুরু করেন।

বেলায়েত হোসেন বলেন, এনজিও ও স্থানীয়দের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা দিয়ে ৫ হেক্টর জমিতে আগাম তরমুজের আবাদ শুরু করেন তিনি। ক্ষেতেই ছাপড়া ঘর তৈরি করে তিনিসহ ছয়জন শ্রমিক দিনরাত পরিচর্যা করেছেন। জমির পাশে একটি বড় দিঘি রয়েছে। সেখান থেকে মিষ্টি পানির সেচ দিয়েছেন তরমুজ ক্ষেতে।

তিনি আরও বলেন, ৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ করতে খরচ হয়েছে ১০ লাখ টাকা। আগাম আবাদ করায় ক্ষেতেও আগাম তরমুজ উঠেছে। এরই মধ্যে ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি হয়েছে। বেলায়েত হোসেনের মতো দক্ষিণ ও পাশ্চিম চর দরবেশ ও ছোট ফেনী নদীর তীরে এ বছর ৫০ জন কৃষক ১০০ হেক্টর জমিতে আগাম তরমুজের চাষ করেছেন বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় কৃষি অনেকটাই আমন চাষ নির্ভর। সাধারণত এলাকার কৃষক ডিসেম্বর মাসে আমন ফসল তোলার পর জানুয়ারি মাস থেকে তরমুজের আবাদ শুরু করেন। মার্চ মাসে ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলে বাজারে বিক্রি শুরু হয়। উপজেলায় এবার তরমুজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩১৭ হেক্টর। কিন্তু চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ প্রায় সাড়ে ৫০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ ছাড়িয়ে গেছে।

গত সোমবার সরেজমিনে আদর্শগ্রাম ও দক্ষিণ-পশ্চিম চর দরবেশ ও মুহুরী প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলে জড়ো করছেন কৃষকেরা। স্তূপ করে রাখছেন বিক্রির জন্য। ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও ফেনী থেকে এসে কয়েকজন ব্যবসায়ী তরমুজ কিনে গাড়িতে বোঝাই করছেন। এক ক্ষেতে সেচ দিতে দেখা গেল ফিরোজ আলম ও সামছুল আলম নামের দুই শ্রমিককে।

তারা জানান, দুজনের বাড়ির নোয়াখালীর সুবর্ণচর এলাকায় থাকা খাওয়া বাদে মাসিক ১৭ হাজার টাকা বেতনে বেলায়েত হোসেন নামে এক তরমুজ চাষীর জমিতে কাজ করছেন। এ বছর তাদের মালিক ৫ হেক্টর জামিতে তরমুজের আবাদ করেছেন। এতে তার ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। গত দেড়মাসে তরমুজ বিক্রি করে মোটামুটি পুঁজি উঠে গেছে।

আদর্শগ্রাম এলাকার তরমুজ চাষী মোজ্জামেল হক বলেন, তিনি ৪০ লাখ টাকা খরচ করে ৩৭ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩০ লাখ টাকার ফলন উত্তোলন করে বিক্রি করেছেন।

মো. ওলি উদ্দিন নামে এক তরমুজ চাষি বলেন, ৮০ একর জমিতে তারা ১০ জন কৃষক মিলে ৩৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে তরমুজের চাষাবাদ করেছিলেন। ইতিমধ্যেই ৪০ লাখ টাকার তরমুজ তারা বিক্রি করেছেন। আরও আনুমানিক ৩০ লাখ টাকার তরমুজ মাঠে আছে।

সুবর্ণচর থেকে আসা তরমুজের ব্যাপারী জসিম উদ্দিন বলেন, সোনাগাজীর চরাঞ্চলের তরমুজ অন্য এলাকার তরমুজের চাইতে গুণেমানে ভালো। তিনি এখানকার ২০ একর জমির তরমুজ কিনেছেন ২৮ লাখ টাকায়। পরিবহনসহ সব খরচ মিলিয়ে এ তরমুজ তিনি ৪০ লাখ টাকায় বিক্রি করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

চট্টগ্রাম থেকে আসা আমির হোসেন নামের আরেক ব্যাপারী জানান, তিনি ২০ একর জমির তরমুজ কিনেছেন ২৫ লাখ ৭০ হাজার টাকায়। এ তরমুজগুলো তিনি চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গিবাজার, সাতকানিয়া, লোহাগাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যাবেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কাজী শফিউল ইসলাম বলেন, এবার উপজেলায় ঢেঁড়সের জমিতে বেশি তরমুজ চাষ হয়েছে। অনেক চাষী ঢেঁড়স চাষে ব্যায়বহুল হওয়ায় কম খরচে তরমুজের চাষ করেছেন। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারাও মাঠে থেকে তাদের পরামর্শ দিয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। যার ফলে লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ তরমুজের চাষ হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন মজুমদার বলেন, উর্বর দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি তরমুজ চাষের জন্য সবচেয়ে উত্তম। এই এলাকার মাটি তরমুজ চাষের উপযোগী। সে জন্যই ভালো ফলন হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালে উপজেলায় মাত্র ৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা ব্যয়বহুল চাষাবাদ বাদ দিয়ে তরমুজ চাষে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। এরপর ২০১১ সালে ১২৫ হেক্টর, ২০২০ সালে আড়াইশ হেক্টর, গত বছর উপজেলায় ৩১৭ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হলেও এবার লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ সাড়ে ৫০০ হেক্টর ছাড়িয়ে গেছেন। গত বছর উপজেলায় প্রায় ২৬ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হয়েছে। এবার তার তিনগুণ হবে। আশা করি আগামী মৌসুমে তরমুজের চাষ আরও অনেক বাড়বে।

টিটি/

Header Ad

সরকার পতনের পর থেকে অনুপস্থিত কুবি কর্মকর্তা, তদন্ত কমিটি গঠন

মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদ। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন না। কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ মজিবুর রহমান মজুমদার।

রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ০৬ আগস্ট থেকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রায় ১০০ দিনের মত নিজ কর্মস্থলে বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত রেজিস্ট্রার দপ্তরের সেকশন অফিসার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদ। অনুপস্থিত থাকার জবাব চেয়ে গত ২৩ অক্টোবর কর্মক্ষেত্রে যোগদানের জন্য নোটিশ দেওয়া হয় তাকে। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও মাজেদ জবাব দেননি। পরবর্তীতে গত ০৩ নভেম্বর কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কোনো জবাব না পেয়ে গত ২৭ নভেম্বর তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে আছেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান, সদস্য হিসেবে আছেন ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্যাহ এবং সদস্য সচিব হিসেবে আছেন অর্থ ও হিসাব দপ্তরের উপ-পরিচালক এস. এম. মাহমুদুল হক।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৮ মে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হন মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদ। কমিটির পাওয়ার আগেও পরে অসংখ্য ছাত্রছাত্রীদের মারধরের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংগঠনের কাজে হস্তক্ষেপ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষকদের কটূক্তি, টেন্ডারবাজি, উপাচার্যের গাড়ি রোধসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। সেই সাথে ২০১৬ সালে কাজী নজরুল ইসলাম হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহর হত্যার মামলায় এজাহারেও রয়েছে তার নাম। গত ৫ আগস্টের পর সর্বশেষ গত ১৩ আগস্ট শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেখা যায় তাকে। তবে এয়ারপোর্ট পুলিশের তৎপরতায় তিনি দেশ ছেড়ে পালাতে পারেননি বলে জানা গেছে। কিন্তু এখন কোথায় আছেন এসব বিষয়ে কোন তথ্য জানা যায়নি।

এই ব্যাপারে মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদের নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান বলেন, 'গতকাল তদন্ত কমিটি সম্পর্কে জানতে পেয়েছি। ইতিমধ্যে সদস্য সচিবকে দায়িত্ব দিয়েছি অভিযুক্তের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য। সম্ভাব্য আগামী রবিবার কমিটির সবাই মিলে মিটিং করা হবে।'

এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার মো: মজিবুর রহমান মুজদার বলেন, 'এর আগে তাকে কর্মস্থলে যোগদানের জন্য চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরও কর্মস্থলে যোগদান না দেওয়ায় তাকে কারণ দরশানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার পরও কোন জবাব না আসায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

Header Ad

জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমে হেফাজতের বিক্ষোভ

জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমে হেফাজতের বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসাসনেস বা ইসকন নিষিদ্ধের দাবি এবং চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যার প্রতিবাদে আজ শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকেছে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) জামিয়া রাহমিয়া আরাবিয়া মোহাম্মদপুরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব।

এ সময় মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, মাওলানা জালালুদ্দীন, মুফতি বশিরুল্লাহ, মুফতি মুনির হুসাইন কাসেমী, মুফতি কেফায়াতুল্লাহ আজহারী, মাওলানা লোকমান মাজহারী, মাওলানা মহিউদ্দিন মাসুম, মাওলানা জুবায়ের আহমাদ, মুফতি আজহারুল ইসলাম, মাওলানা ফয়সাল আহমদ, মাওলানা এনামুল হক মুসা, মুফতী কামাল উদ্দীন, মাওলানা আফসার মাহমুদ, মাওলানা আব্দুল মালেক, মাওলানা শরিফ উল্লাহ, মুফতী আমিনুল ইসলাম কাসেমী, মাওলানা সানাউল্লাহ খান, মাওলানা শরিফ হোসাইন, মাওলানা বশিরুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ২৫ নভেম্বর রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে ২৬ নভেম্বর তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয়। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালতে পাঠানোর পথে তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আটকে দেয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীরা। তাদের সরিয়ে দিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণকে কারাগারে নেয়ার পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন।

আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি চলমান। এসব কর্মসূচি থেকে ইসকনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে।

Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৪২ ফিলিস্তিনি

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় হামলার পরিমাণ বাড়িয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। মেডিকেল সূত্রের বরাত দিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত একদিনে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) উপত্যকার বিভিন্ন এলাকাজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনী এ হামলা চালায়। খবর আলজাজিরার।

গাজার মেডিকেল সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) মধ্যরাতেও উপত্যকাটিতে মুহুর্মুহু বিমান হামলা চালায় দখলদাররা। এতে অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া উপত্যকার উত্তর ও দক্ষিণের গভীরে ইসরায়েলি বাহিনীর ট্যাঙ্কগুলো অগ্রসর হচ্ছে।

এ নিয়ে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ৩৩০ জনে ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৪ হাজার ৯৩৩ জন।

এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েল প্রস্তুত বলে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে যুদ্ধ শেষ হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দেশটির সংবাদমাধ্যমে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু আরও বলেন, হামাস যতদিন ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেবে না ততদিন পর্যন্ত গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে তারা।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সরকার পতনের পর থেকে অনুপস্থিত কুবি কর্মকর্তা, তদন্ত কমিটি গঠন
জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমে হেফাজতের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৪২ ফিলিস্তিনি
যুগ্মসচিব নিশাত রাসুলকে ওএসডি
সমন্বয়কদের ওপর হামলা হালকাভাবে দেখছে না সরকার: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
এক সপ্তাহ পর বেনাপোল থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু
আমাকে রংপুরের একজন উপদেষ্টা ভাববেন: ড. ইউনূস
দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে, এখন গড়ার পালা: তারেক রহমান
রেলের নতুন মহাপরিচালক হলেন আফজাল হোসেন
২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে ৬ ব্যাংককে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
বিচারককে ডিম ছুড়ে মারা আইনজীবীদের সনদ বাতিল হবে: খোকন
নাম থেকে ‘বচ্চন’ উপাধি ফেলে দিলেন ঐশ্বরিয়া, তবে কি বিচ্ছেদ চূড়ান্ত
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের পক্ষে নেই বিএনপি: মাহমুদুর রহমান মান্না
সংসদ সদস্য হিসেবে প্রথমবার সংসদে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, নিলেন শপথ
ইউক্রেনকে লক্ষ্য করে ১৮৮ মিসাইল-ড্রোন ছুড়ল রাশিয়া
৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, ক্যাডার পদ ৩ হাজার ৪৮৭
রাষ্ট্র সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ইসকন নিষিদ্ধের বিষয়টি দেখছে
৯ দফা দাবিতে সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের দায় নিতে অস্বীকার ইসকনের
ঝাঁটাপেটা খেয়ে পালিয়ে দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে: সোহেল তাজ