আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে কেনা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গেলো প্রাণ
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পরিবারকে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে কেনা মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় শেখ ফরিদুল ইসলাম (১৭) নামে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। ফরিদুল ভূঞাপুর উপজেলার সিরাজকান্দি এলাকার আব্দুল কুদ্দুছ শেখের ছেলে। সে কালিহাতী উপজেলার যমুনা কলেজের মানবিক বিভাগের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
জানা যায়, সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের উপজেলার গোহালিবাড়ীয়া ইউনিয়নের জোকারচর বাসস্ট্যান্ডে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিল ফরিদ। এ ঘটনায় তার দুই বন্ধু, এক নারী পথচারী ও তার শিশুসন্তান আহত হন।
আহতরা হলেন- উপজেলার শ্যামশৈল গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া ও বিনোদ লুহুরিয়া গ্রামের মাজহারুল ইসলাম ঠান্ডু মিয়ার ছেলে সায়েম মিয়া। এ ছাড়া নারী পথচারী হলেন- সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার কদমতলী গ্রামের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী তাহমিনা বেগম (৩৫)। এতে তার শিশুসন্তান আব্দুল্লাহও (৪) আহত হয়।
এদিকে, আহত দুই কলেজছাত্রকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত নারী ও শিশু টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহত ফরিদুলের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মোটরসাইকেল কিনে না দিলে আত্মহত্যার হুমকি দেয় ফরিদ। পরে বাধ্য হয়ে পরিবার তাকে মোটরসাইকেল কিনে দেয়। আর সেই মোটরসাইকেল চালাতে গিয়েই দুর্ঘটনায় মারা যা সে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থেকে শিশুসন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি উপজেলার বেড়িপটল যাচ্ছিলেন তাহমিনা বেগম। এ সময় বঙ্গবন্ধু সেতুর দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সামনে পড়েন তিনি। পরে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা খেলে সড়কেই পড়ে যান ওই নারী ও তার শিশুসন্তান। তিন আরোহীসহ মোটরসাইকেলটিও পড়ে যায়।
এ সময় বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বগামী একটি ট্রাক তাদের ওপর দিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ফরিদ।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম জানান, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিহত ফরিদুলের মরদেহ ময়না তদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এমএসপি