কুড়িগ্রামে চতুর্থ বিয়েতে মত না দেওয়ায় বাবাকে হত্যা
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় চতুর্থ বিয়েতে মত না দেওয়ায় পেয়ার উদ্দিন (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন তারই ছেলে। এ ঘটনায় ছেলে আব্দুল জলিলকে (২৬) গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) কুড়িগ্রাম জেলার চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন আলী ঘাতক ছেলেকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, উপজেলার খিতাব খাঁ সলিম বাজার গ্রামের পেয়ার উদ্দিনের ছেলে আব্দুল জলিলের আগে তিনটি বিয়ে করেন। তবে এক এক করে তিন বউই জলিলকে ছেড়ে চলে যায়। এরপর থেকে জলিল প্রায়ই তার বাবাকে চতুর্থ বিয়ের জন্য চাপ দেন। কিন্তু পেয়ার উদ্দিন ছেলের চতুর্থ বিয়েতে মত দিতেন না।
গত রবিবার (৩ এপ্রিল) ইফতারির পর আব্দুল জলিল আবারো তার বাবার কাছে বিয়ের কথা বলেন। কিন্তু পেয়ার উদ্দিন ছেলের সঙ্গে দ্বিমত করলে দু’জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে জলিল তার বাবার পেটের বামপাশে ধারালো ছুরি ঢুকিয়ে দেন। এ সময় তার মা জুলেখা খাতুন (৪৫) এগিয়ে গেলে তাকেও আঘাত করে আহত করেন জলিল।
পরে স্থানীয়রা দু’জনকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সন্ধ্যায় পেয়ার উদ্দিনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া মা জুলেখা খাতুন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহতের লাশ রংপুর মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় সোমবার গভীর রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘাতক আব্দুল জলিলকে কামারপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
রাজারহাট থানা সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাতের এ ঘটনায় সোমবার থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজারহাট থানার উপ-পরিদর্শক এসআই অনিল কুমার।
রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি আরো খতিয়ে দেখতে তদন্ত চলছে।
এমএসপি