কুড়িগ্রামে ব্রিজের ইট আত্মসাতের অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে
ব্রিজের অ্যাপ্রোচ ও গাইডওয়াল ভেঙে সরকারি ইট আত্মসাত এবং সড়কের গাছ অবৈধভাবে কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে রৌমারী উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান এসএম সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় দেলোয়ার হোসেন অভিযোগে বলেন, চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম সাইদুর রহমান শেখের বাজারের পাশে উত্তর খেদাইমারী সড়কে নির্মিত ব্রিজের অ্যাপ্রোচ ও নিচের গাইডওয়াল ভেঙে প্রায় ৫ হাজার ইট তার নিজ বাড়িতে নিয়ে গেছেন।
ওই জায়গায় একটি কাঠের ব্রিজ নির্মাণের জন্য এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় ২ লাখ টাকা বরাদ্দ পান ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান। কিন্তু বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাত করে সড়কের ১১টি তাজা ইউক্লিপটাস গাছ অবৈধভাবে কেটে ওই কাঠ দিয়ে ব্রিজের নির্মাণ কাজ করছেন ওই চেয়ারম্যান।
ব্রিজের অ্যাপ্রোচ ও গাইডওয়ালের ইট আত্মসাতের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান এসএম সাইদুর রহমান বলেন, ‘ইটগুলো মাটির নিচে পড়ে যাচ্ছিল। এজন্য আমি সেগুলো উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে জমা রেখেছি মাত্র।’
১১টি সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ অস্বীকার করে ওই চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এ কাজটা করা হয়েছে। এটা পরিষ্কার।’
রৌমারী উপজেলা এলজিইডি দপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম খোকন বলেন, এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় ২০২০-২১ অর্থ বছরে ওই জায়গায় ২৭ ফুট দৈর্ঘ একটি কাঠের ব্রিজ নির্মাণের জন্য চেয়ারম্যানকে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সড়কের গাছ কেটে ওই কাঠ দিয়ে ব্রিজ নির্মাণের জন্য চেয়ারম্যানকে বলা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আশরাফুল আলম রাসেল জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমএসপি