স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মানের অভিযোগ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের ডেকে অসম্মানের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৬ মার্চ) কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে উপজেলা প্রশাসন৷
স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে সকাল ৬টায় উপস্থিত হন উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা৷ উপজেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা৷ তবে মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান ও অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আব্দুল জব্বার৷
মুক্তিযোদ্ধারা জানান, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার জন্য সকাল ৬টায় উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় থেকে আমরা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে উপস্থিত হই৷ কিন্তু উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা হয়েছে৷
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গনি ও আবুল হোসেন জানান, পূর্ব ঘোষিত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সকালে আমরা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে উপস্থিত হই৷ সকালে শহীদ মিনারে ফুল দিই৷ তারপর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভায় অংশ নিই। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা হয়েছে। তাদের সকাল থেকে রোদের মধ্যে বসিয়ে রাখা হয়েছে। প্রচণ্ড রোদ ও গরমের মধ্যেও পর্যাপ্ত ফ্যান ও সামিয়ানার ব্যবস্থা ছিল না। চেয়ার না পেয়ে অনেক মুক্তিযোদ্ধা দাঁড়িয়ে ছিলেন। আর বিরিয়ানির প্যাকেটে দেওয়া হয়েছে পাউরুটি ও বিস্কুট। উপজেলা প্রশাসন ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন। সরকার থেকে বাজেট থাকলেও তা আমাদের পেছনে খরচ করা হয়নি। মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান ও দুর্নীতিতে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করছি।
মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী বলেন, 'স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান উদযাপন নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা খাবার ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানান অভিযোগ করেছেন৷ মুক্তিযোদ্ধারা সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন৷ রোদে তাদের অনেক কষ্ট হয়েছে৷ আর বিরিয়ানির প্যাকেট দেওয়া হয়েছে বিস্কুট, পাউরুটি ও বরই৷ আমি সে নাস্তা খাইনি, অন্য একজনকে দিয়ে দিয়েছি৷'
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, 'উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইউএনও নিজেই৷ মৌখিকভাবে আমি ভারপ্রাপ্ত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকি৷ আজকের অনুষ্ঠানে প্রায় ৬০০ মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন৷'
মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ অস্বীকার করে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল জব্বার বলেন, 'মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ সঠিক নয়, বাজেট কম৷ আমার শক্তি ও সামর্থ্য অনুযায়ী আয়োজন করেছি৷ কারো কাছে থেকে কোনো কন্ট্রিবিউশন নেওয়া হয়নি৷ সরকারিভাবে ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ পেয়েছি৷ সেই টাকা দিয়েই আয়োজন করা হয়েছে৷ আমি বাজেটের বাইরে যাব কীভাবে? তারা কী চান যে, আমি চাঁদাবাজি করি?'
এসএন