প্রধানমন্ত্রীর ‘বীর নিবাস’ পেতে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেওয়া ‘বীর নিবাস’র ঘর পেতে ঘুষ দিতে হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। এতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা ‘বীর নিবাস’ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে।
শনিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে আয়োজিত শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে উপজেলা সাবেক কমান্ডার আজিজুল হক আজিজ বীর নিবাসের ঘর পেতে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেন।
বক্তব্যকালে সাবেক কমান্ডার আজিজুল হক আজিজ বলেন, ‘উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দ বীর নিবাস পেতে ঘুষ দিতে হয়েছে। এতে যার টাকা আছে শুধু তারাই ঘর পেয়েছে। এতে প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধারা ঘর পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে। টাকা লেনদেনের প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে’।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জহুরুল ইসলাম বলেন, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার বক্তব্য সঠিক নয়। উপজেলায় বীর নিবাস নির্মাণে একটি কমিটি রয়েছে। কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর বীর নিবাস নির্মাণ করা হচ্ছে। উপজেলায় ১১টি বীর নিবাসের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া আরো ৪৭টি ঘর টেন্ডার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোছা: ইশরাত জাহান বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর নির্মাণে টাকা লেনদেনের কোন প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংসদ ছোট মনির বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর বীর নিবাস নিতে কোন টাকা লেনদেনের কোন প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ সময় ঘর নির্মাণে কোনো টাকা লেনদেন হলে তার প্রমাণ চাওয়া হয় সাবেক কমান্ডার আজিজুল হক আজিজের কাছে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের সাংসদ ছোট মনি, উপজেলা চেয়ারম্যান মোছা: নার্গিস আক্তার, ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বাবু, মহিলা আলিফ নূর মিনি, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ড. হুমায়ূন কবীর, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শহিদুজ্জামান মাহমুদ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম ও উপজেলা সাবেক কমান্ডার এম.এ আব্দুল মজিদ মিঞা প্রমুখ।
এমএসপি