বালিয়াডাঙ্গীতে খোলা বাজারে টিসিবির সয়াবিন তেল
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী হাটের বিভিন্ন দোকানে খোলা বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে টিসিবির সয়াবিন তেল।
নিম্ন আয়ের মানুষের জন্যে সরকারি বরাদ্দকৃত এই পণ্যগুলো খোলাবাজারে বিক্রি হচ্ছে হরহামেশাই।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী হাটে গিয়ে দেখা যায়, একটি দোকানের রেকে সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে টিসিবির পণ্য- বসুন্ধরা সয়াবিন তেল। কিনতে চাইলে ২ লিটার সয়াবিন তেলের দাম চায় ৩৪০ টাকা।
কিন্তু বোতলের গায়ের স্টিকার ছেড়া থাকার কারণে মূল্য লেখা ছিল না। দোকানের পিছনে তাকাতেই দেখা যায় থরে থরে সাজানো টিসিবির মনোগ্রামসহ আরও এক বক্স সয়াবিন তেল।
দোকানে রাখা সয়াবিন তেলগুলো টিসিবির পণ্য কি না জানতে চাইলে দোকানদার আকরাম আলী বলেন, 'দোকানের ছেলেরা লাইনে দাঁড়িয়ে একটি একটি করে কিনেছিল বাসার জন্য। তারা এগুলো ভুলে এখানে রেখেছে।'
ক্রেতারা তেল চাইলে দোকানের ছেলটা ভুলে এগুলো বিক্রি করতে চেয়েছিল। তবে দোকানে পাওয়া টিসিবির বক্সের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাশের এক দোকানদার বলেন, 'আপনারা ধরতে চাইলে বাজারের প্রায় প্রতিটি দোকানে এ রকম টিসিবির তেল, ডাল ও চিনি পাওয়া যাবে।'
এখানে অনেক দোকানদারই প্রায় খোলামেলাভাবেই এগুলো বিক্রি করছে। কিন্তু প্রশাসনকে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখছি না।
এসময় টের পেয়ে আশপাশের অনেক মুদি দোকানদের তাড়াহুড়া করে দোকান বন্ধ করে দেওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ে। উপস্থিত এক তেল ক্রেতা জানান, এই দোকান থেকে এর আগে অনেকবার তেল কিনেছি কিন্তু আমি জানতাম না এই দোকানদার আমাকে ঠকাচ্ছে। এই দোকানদার ও তাদের যারা সহযোগিতা করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রসাশনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এই বিষয়ে উপজেলা টিসিবির ডিলার শিমুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ সম্পর্কে কিছুই জানি না। ওই দোকানে পাওয়া টিসিবির তেল কোথা থেকে এসেছে আমার জানা নেই। আমি প্রতিদিন টিসিবির পণ্য বিক্রি করে সঙ্গে সঙ্গে ইউএনওকে হিসাব বুঝিয়ে দিয়ে থাকি।
এ বিষয়ে জেলা ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শেখ মো. সাদী জানান, আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। উপজেলার প্রত্যন্ত বাজারগুলোতে একটু কম যাওয়া হচ্ছে এ বিষয়ে দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।
টিটি/