নদীর খনন কাজের উদ্বোধনী ব্যয় আড়াই লক্ষ টাকা!
নদীর খনন কাজ শুরু হয়নি। শুধু উদ্বোধনেই ব্যয় হয়েছে আড়াই লক্ষ টাকা৷ এতে চরম ক্ষুব্ধ হয়েছেন দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা৷ ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে হিসনা নদী খনন প্রকল্পে৷
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের অতিথি আপ্যায়ন ও গণমাধ্যমকর্মীদের ম্যানেজ করা বাবদ আড়াই লাখ টাকা খরচের হিসাব দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল জব্বারকে জানান হিসনা নদী খনন কাজের ঠিকাদার আনোয়ার হোসেন৷ এ কথা শুনে ওই কর্মকর্তা চরম ক্ষুব্ধ হোন ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷ শুধু উদ্বোধন ব্যয় আড়াই লক্ষ টাকা হলে খনন কাজ কেমন হবে, এ নিয়েও তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন৷
এর আগে বুধবার (৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় দৌলতপুর উপজেলার মহিষকুন্ডি বাঁধবাজার এলাকায় নদী খনন কাজের উদ্বোধন করেন কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের এমপি অ্যাডভোকেট আ. কা. ম. সরওয়ার জাহান বাদশাহ্৷
ওইদিন নদী খনন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আফসার উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া (পওর সার্কেল) পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ, দৌলতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এজাজ আহমেদ মামুন ও দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল জব্বার৷ এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাক্কীর আহমেদ, দৌলতপুর থানার ওসি এস এম জাবীদ হাসানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা৷
প্রসঙ্গত, ৬৪ জেলার অভ্যন্তরস্থ ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনর্খনন (১ম পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় দৌলতপুর উপজেলার মহিষকুন্ডি বাঁধবাজার হতে হিসনাপাড়া পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার হিসনা নদী খননে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি টাকা৷ বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়া এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে৷ তবে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নদী খনন কাজ সুষ্ঠুভাবে হবে কি না তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা ও হিসনা নদীপাড়ের সাধারণ মানুষ৷ নামমাত্র কাজ করে অর্থ ভাগ বাটোয়ারা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তাদের অভিমত৷
এ বিষয়ে উক্ত খনন প্রকল্পের ঠিকাদার আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি৷
এ ব্যাপারে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল জব্বারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, হিসনা নদী খনন প্রকল্পের খনন কাজ এখনও শুরু করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের খরচ বাবদ আড়াই লক্ষ টাকা হিসাব দেখানো হলে আমি এতে বিস্ময় প্রকাশ করেছি৷ উন্নয়ন কাজ যাতে সুষ্ঠুভাবে যথাসময়ে সম্পন্ন হয় সে ব্যাপারেও নির্দেশনা দিয়েছি৷
টিটি/