আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমিতে বালু ফেলে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মির্জাগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেও কোনো সুরহা হয়নি বলে ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ। পুলিশ বলেন আদালতের নিষেধাজ্ঞা দিলে জমিতে কোনো কাজ করতে পারবে না।
মির্জাগঞ্জ উপজেলায় মাজার মোড়ে মাদব চন্দ্র বেপারি, আনছার, ফিরোজ ও মাসুদসহ একাধিক ব্যক্তি বালু দিয়ে ভরাট করে জমি দখলের চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী পুলিশ সুপারের নিকট দখল দারদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মির্জাগঞ্জ গ্রামের মানষ চন্দ্র বেপারি।
অভিযোগে উল্লেখ থাকে, উপজেলার মির্জাগঞ্জ মৌজার ৩৬ নং-জে.এল, ২২নং খতিয়ান, ও ১১৮৫ নং দাগের উত্তর অংশ দিয়া ৬ শতাংশ জমি মানষ চন্দ্রের পৈত্রিক সম্পত্তি। এ সম্পত্তি নিয়ে একই বাড়ির ননী গোপাল বেপারি, মাদব বেপারিদের সাথে মির্জাগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
মামলা নং-১৩৭/২০১৭। এমনকি গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই সম্পত্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত। কিন্তু দখলদার আদলতের নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে গায়ের জোরে বালু ভরাট করে জমি দখলের চেষ্টা চালায়। ওই জমিতে ঘর তোলার পায়তারা করছে তারা।
ভুক্তভোগী মানষ চন্দ্র বেপারি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বিষয়টি মির্জাগঞ্জ থানার ওসিকে লিখিতভাবে জানলে তিনি বলেন, ‘বালু ফেলালে কী হয়? পরে সরেজমি এসে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে তিনি চলে যান।’
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ বছর ধরে মানষ চন্দ্ররা জমিটা ভোগ দখল করে আসছে। কিন্তু হঠাৎ রাতের আঁধারে একদল লোক বালু দিয়ে জমিটি ভরাট করে।
অভিযুক্ত মাদব চন্দ্র বেপারি বলেন, আমার চাচা ননী গোপাল ফিরোজ উকিলের কাছে জমি বিক্রি করেছে তারাই বালি ফেলেছে।
অ্যাডভোকেট ফিরোজ আলম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, এটা আমার ক্রয় সূত্রে জমি। যখন ক্রয় করছি তখন ওই জমিতে নিষেধাজ্ঞা ছিলো না।
মির্জাগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা জমিতে কেউ কোনো রকম কাজ করতে পারে না। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু ভরাট বন্ধ করা হয়েছে।
পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, অভিযোগটি তদন্তাধীন আছে। তবে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আদালত ফয়সালা দিবে।
এমএসপি