ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে নিন্দা প্রস্তাব, মানববন্ধন
নোয়াখালীর জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর কটূক্তির প্রতিবাদে সর্বসম্মতিক্রমে নিন্দা প্রস্তাব আনা হয়েছে।
শনিবার (১২ মার্চ) বিকালে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক খায়রুল আলম সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি।
জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করে
বলেন, লাইভে এসে এমপি একরামের দেওয়া বক্তব্যের নিন্দা প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে আনা হয়।
সভার প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপিও একরামের বক্তব্যের নিন্দা জানান। তিনি বলেন, ওনার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত আমাদের আগেই নেওয়া আছে। ওই সিদ্ধান্ত রেজুলেশন করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ওই বিষয়টা আজকের সভায় আবার কনফার্ম করা হয়েছে।
এ ছাড়াও একরামের কটূক্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রায় ৫ শতাধিক নেতা-কর্মী। মানববন্ধন থেকে নেতা-কর্মীরা এমপি একরামকে তাঁর বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।
জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে। তার আগে সকল উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সম্মেলন শেষ করার জন্য প্রত্যেকটা উপজেলায় একটা সমন্বয় কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তারাই সম্মেলনগুলো সমাপ্ত করবে।
অপরদিকে এমপি একরামুলের পক্ষে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের একাংশ জেলা আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে প্রধান সড়কে বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা এমপির পক্ষে স্লোগান দেয়। সেই সময়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দু’পক্ষকে সরিয়ে দেয়।
এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয় নেতা-কর্মীরা। পরে শহরের প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা। এক পর্যায়ে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনে মিলিত হয়। এতে শহরে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
তার আগে দুপুর ৩টায় সংসদ সদস্য একরাম সমর্থিতরা শহরে একরামুল করিম চৌধুরীর পক্ষে মিছিল করে। পরে তারা শহরের জামে মসজিদ মোড়ে জড়ো হলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এতে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে।
বর্ধিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী-১ আসনের সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম এমপি, নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ মোরশেদ আলম এমপি, নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ মামুনুর রশীদ কিরণ এমপি, নোয়াখালী- ৬ আসনের সংসদ আয়েশা ফেরদৌসী, সংরক্ষিত আসনের এমপি ফরিদুর নাহার লাইলী এমপি, কেন্দ্র্যীয় আওয়ামী লীগের বিঞ্জান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইন্জিনিয়ার আবদুস সবুর, হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী সাবেক এমপি, জেলা আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক পৌর মেয়র শহীদ উল্যা খান সোহেল, অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন।
এসআইএইচ