কুড়িগ্রামে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব থামাতে গিয়ে মধ্যস্থতাকারী খুন
কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নে ধরলা আবাসন প্রকল্পে দুই পরিবারের দ্বন্দ মিটাতে গিয়ে খুন হয়েছেন বকুল মিয়া (৩৯) নামে এক ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উত্তর নওয়াবশ গ্রামের ধরলা আবাসন প্রকল্পে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বকুল মিয়া উত্তর নওয়াবশ গ্রামের প্রয়াত বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাত্তারের ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, ধরলা আবাসন প্রকল্পের ১০ নম্বর ঘরের মোরশেদের মেয়ের সঙ্গে ১১ নম্বর ঘরের রাশেদার ছেলে রাশেদুলের প্রেমের সম্পর্কে গড়ে উঠে। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া ও বিবাদের সৃষ্টি হয়।
পরে সন্ধ্যায় বিষয়টি মিমাংসার সময় নির্ধারণ করেন স্থানীয়রা। এর মধ্যে মোরশেদ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধরলা সেতুর পূর্বপাড়ের সওদাগর পাড়া (সান্ডার পাড়া) থেকে অটোরিকশায় করে বেশ কিছু লোকজন নিয়ে আবাসন প্রকল্পে প্রবেশ করে। দুই পরিবারের বিবাদ নিরসনে আবাসনের পাশের বাসিন্দা বকুল মিয়া মধ্যস্থতার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে মোরশেদের পক্ষের লোকজনের মধ্য থেকে এক যুবক আকস্মিক বকুলের পেটে ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় বকুল মিয়াকে উদ্ধার করে প্রথমে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আবাসন প্রকল্প এলাকার এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মোরশেদ ও তার স্ত্রী চুরি ফিতা ফেরি করেন। তারা আগে সান্ডার পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। সেখান থেকে আনা লোকদের মধ্য থেকে কেউ একজন বকুল মিয়ার পেটে ছুরি মেরেছে বলে জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গে কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাঁন মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত হত্যাকারীকে চিহ্নিত করা যায়নি। মোরশেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। হত্যাকারীকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এসএন