আগুনে পুড়িয়ে মারার হুমকির অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে
‘মামলা করার পর পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। আমরা বাঁচতে চাই। আবারো বাড়িঘর ভেঙে ফেলবে, আমাদের পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে মারবে, মাঠের ফসল কেটে নিয়ে যাবে, বিষ দিয়ে ফসল নষ্ট করবে বলে হুমকি দিচ্ছেন মেম্বার বুলবুল আহম্মদ।’
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) বিকালে নওগাঁর সাপাহার প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কথাগুলো বলছিলেন উপজেলার গোয়ালা ইউনিয়নের কৃষ্ণসদা গ্রামের বাসিন্দা মো. নুরুল ইসলাম বাবুল।
তিনি কৃষ্ণসদা গ্রামের মো. হারুন অর রশিদের ছেলে। সংবাদ সম্মেলনে বাবুলের মেজো ভাই আশরাফুল ইসলাম ও চাচাতো ভাই মো. সারওয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে নুরুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘জমিজমা সংক্রান্ত জেরে করা মামলায় হেরে গিয়ে জোর করে সেই জমি দখলে অপচেষ্টা করছেন মেম্বার বুলবুল আহম্মদ ও তার সন্ত্রাসীবাহিনী। সেই সাথে আমাদের পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন তিনি।‘
নুরুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘মাদ্রাসার কাজে আমাদের জমি ব্যবহারের অজুহাতে জোর করে জমি ভরাট করতে যায় মেম্বার বুলবুল। আমরা বাধা দিলে আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয় তিনি। কিছুদিন আগে তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে দিয়ে আমাদের বাড়ি লুটপাট করেছে। মোটরসাইকেল ছিনতাই করেছে। ঘরের দরজা ভেঙে পরিবারের সবাইকে মারপিট করে। এরপর জরুরি সেবা ৯৯৯ কল দিলে পুলিশ গিয়ে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।‘
তিনি বলেন, ‘পরে লিখিত ভাবে থানায় এজাহার দিলে তারা আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসে এবার আমাদের পুড়িয়ে মারার হুমকী দিচ্ছেন, মাঠে ফসল নষ্ট করার কথাও বলছে। আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। আমরা বাঁচতে চাই।‘
এবিষয়ে জানতে বিকেল ৫ টার দিকে গোয়ালা ইউনিয়নের ৭ নং ওর্য়াড সদস্য অভিযুক্ত বুলবুল আহম্মদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাঁর মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া য়ায়।
তবে এব্যাপারে গোয়ালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘ইউপি সদস্য বুলবুল আহম্মদের ওই জমিতে কোন মালিকানা নেই। শুনেছি জমিটি না-কি পত্তন নিয়েছেন নুরুল ইসলাম। এরআগে দুই পক্ষকে ডেকে সমাধানের চেষ্ঠা করা হয়েছিল, কিন্তু সেটা হয়নি।
তিনি বলেন,‘ইউপি সদস্য বুলবুল অভিযোগকারী নুরুল ইসলামকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে এরকম কোন কিছু আমার জানা নেই।‘
এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাপাহার থানার উপ-পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম বলেন, ওই জমি নিয়ে করা মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। মামলায় ১৭ জন আসামীর মধ্যে ১৫ জনকে জামিন দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যহত রয়েছে।
সাপাহার থানার ওসি তারেকুর রহমান সরকার বলেন, কিছু আগে জমি সংক্রান্ত জেরে হামলার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছিল। তবে নতুন করে এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ থানায় আসেনি। আমার জানাও নেই।অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমএসপি