১৭ বছর পলাতক থাকা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
মানিকগঞ্জ থেকে মাথাবিহীন দেহ এবং টাঙ্গাইল থেকে খণ্ডিত মাথা উদ্ধারের ঘটনায় ১৭ বছর ধরে পলাতক থাকা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল কুদ্দুসকে (৪১) গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১৪)।
রবিবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর আকুয়া বাইপাসের র্যাব-১৪ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১৪ এর অধিনায়ক মহিবুল ইসলাম খান।
তিনি জানান, ২০০৪ সালে ধামরাই থানাধীন গোয়াড়ীপাড়ায় একটি অফিস ভাড়া নিয়ে 'বাংলা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা' নামক একটি সঞ্চয় ও ক্ষুদ্র ঋণদান সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে সঞ্চয়, ঋণদান এবং ফিক্সড ডিপোজিট কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল তারা। প্রতিষ্ঠানে লাভের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছিল এবং একসময় তাদের অ্যাকাউন্টে সদস্যদের সঞ্চয়ের বেশকিছু টাকা জমা হয়। সেই টাকা ও প্রতিষ্ঠানটির লোভে আসামিরা শহিদুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০০৬ সালের ২০ মে আসামি শাহিনের জন্য পাত্রীর দেখতে যাওয়ার কথা বলে বন্ধু শহিদুলকে মাইক্রোবাসে তুলে তারা। সন্ত্রাসী রাজা মিয়াসহ আসামি সাহেদ, কুদ্দুস, বিষ্ণু সুইপার শহিদুলের গলায় রশি পেঁচিয়ে ও রুমাল দিয়ে মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে গলা কেটে নিথর দেহ থেকে শহিদুলের মাথা আলাদা করে আসামিরা। মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় দেহ এবং টাঙ্গাইলের নাগরপুরে খন্ডিত মাথা ফেলে পালিয়ে যায় আসামিরা।
এ ঘটনায় ২১ মে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানার এসআই আব্দুল জলিল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ৭ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এই মামলায় বিচার শেষে মানিকগঞ্জের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২০২১ সালের ৫ ডিসেম্বর আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
মামলা দায়ের পর থেকেই আসামি আব্দুল কুদ্দুস নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকালে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বহেরার চালা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। আসামিকে টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানায় হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
এসজি