সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া ও আলোচনা সভা
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক,জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের এর চতুর্থ মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামি লীগ এর আয়োজনে জেলা আওয়ামি লীগ কার্যালয়ে ৩রা জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা আওয়ামি লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট জিল্লুর রহমান বক্তব্যে বলেন,সৈয়দ আশরাফ কিশোরগঞ্জের কৃতি সন্তান। ব্যক্তিগত জীবনে আমার থেকে চার বছরের জুনিয়র ছিলেন। আওয়ামি লীগের রাজনীতিতে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী নেতা। সততার প্রতীক ছিলেন তিনি। কিশোরগঞ্জের উন্নয়নের মূলে একমাত্র ব্যক্তি তিনিই।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামও একজন মুক্তিযোদ্ধা। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে যে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড কিশোরগঞ্জে হয়েছে তা ৫০বছরেও কারও পক্ষে করা সম্ভব নয়। সৈয়দ আশরাফের মতো দূরদর্শী নেতার অভাব কিশোরগঞ্জবাসী আজও অনুভব করে। সারা বাংলাদেশের গর্ব সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
জেলা আওয়ামি লীগ এর সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এম এ আফজল বক্তব্যে বলেন, কিশোরগঞ্জের রাজনীতিতে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ছিলেন অনন্য দৃষ্টান্ত। তিনি রাজনীতিতে অনেক ক্ষমতার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও নিজের বাড়ি গাড়ি কিছুই করেননি। তিনি সৎভাবে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। সৈয়দ নজরুল ইসলামের পুত্র হওয়ার সুবাদে যে জমিটুকু পেয়েছিলেন স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য সেই জমিটুকুও তিনি বিক্রি করেছিলেন। কিশোরগঞ্জবাসীর অনূভূতিতে সৈয়দ আশরাফ যুগ যুগ থাকবে।
এরপর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকাল ৯টায় আখড়া বাজারের ব্রীজ সংলগ্ন সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্বরে আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মুর্যালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এএজেড