শেরপুরে দুই দিনব্যাপী ফাতেমা রাণীর তীর্থ উৎসব
‘মিলন, অংশগ্রহণ ও প্রেরণকর্মে মা মারিয়া’- এই মূল সূরে শেরপুরের নালিতাবাড়ীর বারোমারী সাধু লিওর খিস্ট্রান ধর্মপল্লীতে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী ফাতেমা রাণীর ২৪তম বার্ষিক তীর্থ উৎসব। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছেন তীর্থ যাত্রীরা।
আয়োজকদের তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় পাপ স্বীকারের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুই দিনের মূল উৎসব। বিকাল ৪টায় পবিত্র খ্রীস্টযাগ, রাত ৮টায় আলোক শোভাযাত্রা, ১১টায় সাক্রান্তের আরাধনা, ১২টায় নিশি জাগরণ ও নিরাময় অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে প্রথম দিনের অনুষ্ঠান।
পরদিন শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ৮টায় জীবন্ত ক্রুশের পথ ও সকাল ১০টায় মহা খ্রীস্টযাগের মাধ্যমে তীর্থোৎসবের সমাপ্তি হবে।
এদিকে তীর্থ উৎসবকে কেন্দ্র করে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এ বিষয়ে বারোমারী মিশনের ফাদার তরুণ বনোয়ারী বলেন, এখানে দেশ-বিদেশের অনেক তীর্থ যাত্রী আসবেন। তাদের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য আমরা বিভিন্ন জায়গায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছি। আমরা সবাইকে নিয়ে সুন্দরভাবে এই অনুষ্ঠান শেষ করতে চাই।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান রাসেল বলেন, তীর্থ উৎসবকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আমরা চাই খুব সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে এই অনুষ্ঠানটি যেন শেষ হয়। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকটি টিম বিভিন্ন স্থানে কাজ করছে। সবাইকে সাথে নিয়ে আমরা তীর্থ উৎসবটি শেষ করতে চাই।
উল্লেখ্য, ১৯৪২ সালে প্রায় ৪২ একর জমির উপর বারোমারী মিশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ফাদার মার্কস। ১৯৯৮ সালে বারোমারী মিশনকে ধর্মপল্লী ঘোষণা করার পর পর্তুগালের ফাতেমা নগরীর আদলে স্থাপন করা হয় ফাতেমা রাণীর তীর্থ স্থানটি। এরপর থেকে প্রতি বছরের অক্টোবর মাসের শেষ বৃহস্পতি ও শুক্রবার সেখানে তীর্থ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
এসআইএইচ