৪ মাস ধরে বন্ধ যমুনা ফার্টিলাইজার
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ দানাদার ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিঃ (জেএফসিএল) ৪ মাস যাবত বন্ধ রয়েছে। বন্ধ থাকার মূল কারণ গ্যাস স্বল্পতা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যমুনা সার কারখানার মহাব্যবস্থাপক (উৎপাদন) আব্দুল হাকিম।
যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিঃ (জেএফসিএল) সুত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২১ জুন কারখানায় গ্যাসের চাপ কমে যায়। গ্যাসের চাপের উন্নতি না হওয়ায় যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিঃ বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে শুধুমাত্র নাইট্রোজেন উৎপাদন চালু আছে। অ্যামোনিয়া ও ইউরিয়া সার উৎপাদন শতভাগ বন্ধ।
গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোং যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিঃ কর্তৃপক্ষকে কোনো নোটিশ বা অবগত না করেই গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেন। ফলে যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিঃ এ অ্যামোনিয়া ও ইউরিয়া সার উৎপাদন শতভাগ বন্ধ রয়েছে।
সার উৎপাদন বন্ধ থাকায় দৈনিক আয়ের উপর নির্ভরশীল হাজার হাজার শ্রমিক কাজ হারিয়ে বেকার। তাই কারখানা চালুর দাবিতে একাধিকবার মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করেছে শ্রমিক-কর্মচারী ও সুধীজন। উৎপাদন বন্ধ থাকায় হাজার হাজার শ্রমিক মানবেতর জীবনযাপন করছে। তার পরেও যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিঃ (জেএফসিএল) চালু হয়নি। ফলে যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিঃ (জেএফসিএল) এর অনেক মূল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে।
কারখানার প্ল্যান্ট ম্যানেজার (অ্যামোনিয়া) ও কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী ফজলুল হক জানান, কারখানা পুরোপুরি উৎপাদনে যেতে ৪০ এমএম সিএফ গ্যাসের প্রয়োজন। উৎপাদন ছাড়াই কারখানা স্বাভাবিকভাবে সচল রাখতে ৫.৩ মিটার গ্যাস প্রয়োজন। গ্যাসের চাপ ৫.২ মিটারে নেমে আসলে অ্যামোনিয়া স্টোরেজ ট্যাংক বরফ হয়ে যাবে। ফলে ট্যাংক চিরতরে অকেজো হয়ে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ব্যাপারে কারখানার মহাব্যবস্থাপক (উৎপাদন) আব্দুল হাকিম বলেন, প্রযোজন মাফিক গ্যাস সরবরাহ না করলে উৎপাদন চালু করা সম্ভব হবে না। তবে কবে নাগাদ গ্যাস মিলবে তাও বলা যাচ্ছে না।
এএজেড