বিড়িশিল্প রক্ষার দাবিতে কাস্টমস অফিস ঘেরাও!
বিড়ি শিল্প রক্ষায় নকল বিড়ি ও নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত বিড়ি বন্ধসহ ছয় দফা দাবিতে মানববন্ধন ও ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে ময়মনসিংহ জেলা বিড়ি মালিক সমিতি ও বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) ময়মনসিংহ বিভাগীয় কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। মানববন্ধন শেষে ময়মনসিংহ কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার বরাবর পাঁচ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর। এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন।
তাদের পাঁচ দফা দাবি হচ্ছে নকল বিড়ি ও নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত বিড়ি বন্ধ, শুল্ক ফাঁকি দেয়া অবৈধ বিড়ি কারখানা বন্ধে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ, বিড়ির উপর অর্পিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার, অনলাইনে লাইসেন্স দেয়া বিড়ি মালিকদের থেকে রাজস্ব আহরণে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ, শ্রমিকদের সপ্তাহে ছয় দিন কাজের ব্যবস্থা ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রির ক্ষেত্রে প্রান্তিক ও নিম্ন আয়ের ব্যবসায়ী ও দোকানীদের লাইসেন্সের আওতায় না এনে শুধুমাত্র ডিলার/পরিবেশকদের লাইসেন্সের আওতায় আনা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কতিপয় অসাধু বিড়ি ব্যবসায়ী বিড়ি শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে নকল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে প্রতি প্যাকেট ১৮ টাকা মূল্যের বিড়ি ৮ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। এতে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে। আর প্রকৃত রাজস্ব প্রদানকারী বিড়ি শিল্প মালিকরা চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
জেডএ/এএস