ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচন: সতর্ক অবস্থানে প্রশাসন
আগামীকাল ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যে প্রচারণা শেষ হয়েছে। জয়ের আশায় সমান তালে প্রচারণা চালিয়ে ভোটারদের নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রার্থীরা। ভোটাররাও চায়ে চুমুক দিয়ে কষছেন নানা হিসেব নিকেশ।
আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচারণায় প্রভাব বিস্তারের অভিযোগের পর ভোট কারচুপির শঙ্কা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান টানা দ্বিতীয়বারের মতো দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।
তবে ভোট নির্বিঘ্ন করতে সস্পূর্ণ প্রস্তুতির কথা জানিয়ে কড়াকড়ি অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছেছে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। থাকবে সিসি ক্যামেরাও। জেলার ১৩টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯টা থেকে ভোট শুরু হয়ে চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত।
জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন, নির্বাচন কমিশনের কড়া নির্দেশনা রয়েছে ভোট সুষ্ঠু করতে। আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রতিটি কেন্দ্রে তিনজন পুলিশ, চারজন আনসার সদস্য, একজন ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও স্ট্রাইকিং ফোর্সের পাশাপাশি থাকবে মোবাইল টিম। নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কারও কোনো জালিয়াতি করার সুযোগ নেই। আশা করছি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে ভোট।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম সরওয়ার বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রার্থীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়েছে। কেন্দ্রে-কেন্দ্রে ইভিএম পাঠানো হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা থাকবে। কেউ প্রভাব খাটাতে চাইলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ময়মনসিংহ জেলা পরিষদে চার চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাড়াও ১৩টি সাধারণ আসনে মোট ৩৭ জন সদস্য এবং ৫টি সংরক্ষিত আসনে ১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জেলার একটি সিটি করপোরেশন, ১০টি পৌরসভা ও ৩৫১টি ইউনিয়নে মোট ভোটার রয়েছেন ২ হাজার ৮৯ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৪৯১ জন।
এসজি