শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে দুই এমপির ভাই-ভাতিজা

বামে আলী মুনসুর বাবু এবং ডানে নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার । ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৮মে ১ম ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলায় ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন দিচ্ছেনা। আবার দল থেকেও দেওয়া হয়েছে কঠোর নির্দেশনা। নির্দেশনায় বলা হয় কোন সংসদ সদস্যের নিকটাত্মীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারবেন না। কিন্তু চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচনে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন দৃশ্য।

দলীয় সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা না করে চুয়াডাঙ্গার উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী হয়েছেন দুই সংসদ সদস্যের ভাই-ভাতিজা।
এদের একজন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরের আপন ভাই এবং দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী মুনছুর বাবু। তিনি ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী হয়ে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

অপরজন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের আপন ভাইয়ের ছেলে জেলা যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। তিনি ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। মনোনয়নপত্র বাছাইয়েও বৈধ হয়েছেন। এর আগে ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি।

আলী মুনছুর বাবু ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন। সে সময় সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ গ্রহণ না করে বিদ্রোহী প্রার্থী তার ভাইয়ের পক্ষে ভোটে  অংশ গ্রহণ করায় সে সময়কার দলীয় নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টুকে পরাজিত হতে হয়েছিল। সংসদ সদস্য টগর নিজে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে জয়ী হলেও অন্য নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে তিনি ভিন্ন আচরণ প্রদর্শন করেন। এর ফলে সেই সময় থেকে দল দ্বিধা দন্দে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলীয় নেতা-কর্মীরা জানান,সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর নৌকা প্রতীক নিয়ে চার বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার নির্দেশে চলেন তার ভাই ও আত্মীয়স্বজনরা।

অপর দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী সংসদ সদস্যের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহিদুল ইসলাম দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচন থেকে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

যা বলছেন প্রার্থীরা

এদিকে দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম। তিনি সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে। দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম বলেন,‘আমি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে। তাই দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছি।’

সংসদ সদস্য টগরের ছোট ভাই আলী মুনছুর বাবু জানান, রানিং চেয়ারম্যান আছি বলেই নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। গতবার দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছিলাম। যারা চেয়ারম্যান ছিল তারা সবাই ভোট করছে, তাই আমিও এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। শুধু নাটোরে একজন নির্বাচন থেকে সরে গেছেন। সবাইতো ভোটের মাঠে আছে ।’

চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘গতবার উপজেলা নির্বাচনে ভোট করেছিলাম, সেবার এমপি সাহেব আমার বিপক্ষে ছিল। এবারও আমার বিপক্ষে রয়েছেন। মাঠের পরিস্থিতি ও জনগনের চাপে ভোট করছি।’

চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত মৌখিক গণমাধ্যমে এসেছে। কার্যনির্বাহী কমিটির সভা আহবান করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওখানে সিদ্ধান্ত হবে। দলীয় সিদ্ধান্ত হওয়ার পর বিষয়টি বোঝা যাবে। কারা থাকবে আর কারা থাকবেনা ।’

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান আশাদুল হক বিশ্বাস, জেলা যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি আজিজুল হক ও  সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রহমান।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিন্দ্বীতা করছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মামুন-অর-রশীদ আঙ্গুর, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মিরাজুল ইসলাম কাবা, সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী শামীম হোসেন মিজি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সাহাজাদী মিলি,সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুরুন্নাহার কাকলী ও মাসুমা খাতুন।

আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯৯ টি ভোট কেন্দ্রের ৭৪০ টি কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে। এখানে ১ লাখ ৩১ হাজার  ৪৩৭ জন পুরুষ ও ১ লাখ ৩২ হাজার ৪০৮ জন মহিলা ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এস.এ.এম.জাকারিয়া আলম ও দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক এ্যাডভোকেট আবু তালেব বিশ্বাস।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে শফিউল কবির ইউসুফ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাহিদা খাতুন ও তানিয়া খাতুন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯৬ টি কেন্দ্রের ৭০০টি ভোট কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে প্রথম ধাপে ৮ মে। এখানে ১ লাখ ২৪ হাজার ৮৭৯ জন পুরুষ ভোটার ও ১ লাখ ২২ হাজার ৯৪১ জন মহিলা ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত