ঈদকে সামনে রেখে সব মার্কেটে পুলিশের টহল বৃদ্ধি
খুলনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) সুশান্ত সরকার জানান, ঈদকে সামনে রেখে খুলনা জেলার সব থানা এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট স্থাপন ও হাট-বাজার এলাকায় পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। ভূমিদস্যুতা বন্ধ ও সাধারণ মানুষকে স্বস্তিতে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
রবিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে তার সম্মেলন কক্ষে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার শেখ ইমরান বলেন, নগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উপর জোর দেওয়া প্রয়োজন। রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে যেকোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে নগরীর মার্কেটগুলোর আশপাশে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। মেট্রোপলিটন পুলিশ গত দুই মাসে বেশকিছু চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার দপ্তরের উপপরিচালক মো. ইউসুপ আলী বলেন, ভূমিদস্যুতা রোধে আইন অনুযায়ী সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। খুলনা মহানগরীতে অবৈধ থ্রি-হুইলার চলাচল নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে ভেজাল, অস্বাস্থ্যকর ও মানহীন সেমাই যেন বাজারে বিক্রি না হয় সেজন্য বাজার তদারকি বৃদ্ধি করা হবে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা সভায় বিগত মাসে খুলনা জেলা ও মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। খুলনা জেলা অধিক্ষেত্রে গত মাসে ২১৪টি মামলা দায়ের হয়েছে যা এর আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে দায়ের হওয়া মামলার চেয়ে ৫৮টি বেশি। খুলনা মহানগরী অধিক্ষেত্রে মার্চে ১৫২টি মামলা দায়ের হয়েছে যা গত ফেব্রুয়ারিতে দায়ের হওয়া মামলার চেয়ে ৩৪টি বেশি।
সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ সভায় জানান, দেশে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার কমেছে এবং মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সম্প্রতি সিসা দূষণের বিষয়টি জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি হুমকিতে পরিণত হয়েছে। এ বিষয়ে নজর দেওয়া প্রয়োজন।
সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাসহ কমিটির সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
এসজি