নিখোঁজের ৪ দিন পর মিলল ব্যবসায়ীর মরদেহ
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে নিখোঁজের ৪ দিন পর এক জুতা ব্যবসায়ীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জীবননগর পৌর শহরের আশতলা পাড়ার প্রবাসী কবির হোসেনের নির্মানধীন ভবন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আবু সাঈদ জীবননগর পৌর শহরের হাইস্কুল পাড়ার মো. রইচ উদ্দিনের ছেলে। সাঈদ জীবননগর বাজারের ইয়ান সু স্টোর নামের একটি জুতার দোকানের মালিক ছিলেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার (২ এপ্রিল) ভোরে নামাজ পড়তে বের হয়ে নিখোঁজ হন সাঈদ। পরে তিনি বাড়ি ফিরে না আসায় এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়ায় পরদিন ৩ এপ্রিল তারা জীবননগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে।
নিহতের বড় ভাই হাসান জানান, সাঈদ ফজরের নামাজ কোনোদিন হাইস্কুল জামে মসজিদে আবার কোনোদিন বাসস্ট্যান্ড মসজিদেও পড়ে। ওইদিন ফজরের নামাজ সম্ভবত বাসস্ট্যান্ড মসজিদে পড়েছিল। যেহেতু প্রশাসন ফোনের লাস্ট লোকেশন পায় শাপলা প্লাজার সামনে। পরে গত ৩ এপ্রিল ৪ টা ২ মিনিটে আমার ছোট ভাইয়ের ফোন
থেকে একটা কল আসে। তার আগে নেট নম্বর থেকে একটা কল আসে। আমাকে বলা হয় আপনি কি আবু সাঈদের ভাই। আমি বলি জ্বি। তখন বলা হয় ২৯ নম্বরে ফোন দে। এরপর আমি এই নম্বরে ফোন দিই। তখন আমার কাছে ১৫ হাজার টাকা দাবি করে বলে আপনার ভাইয়ের লোকেশন জানাব। তখন বলি, আমাকে আমার ভাইয়ের ছবি পাঠান না হলে কথা বলিয়ে দেন তারপর টাকা দেব। এটা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানায়। এরপর আজ সকালে আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী আমাকে ফোনে জানায় লাশ পাওয়া গেছে।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। জীবননগর থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
জীবননগর থানার (সার্কেল এসপি) আনিসুজ্জামান বলেন, গত ৩ এপ্রিল ব্যবসায়ী আবু সাঈদের পরিবার থেকে একটি মিসিং ডায়েরি করা হয় থানায়। এরপর থেকে আমরা চেষ্টায় ছিলাম তাকে জীবিত উদ্ধার করতে। কিন্তু কিন্তু ধারণা করা হচ্ছে অপহরণের পরপরই তাকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন ও খুনিদের ধরতে মাঠে নেমেছে পুলিশ। আশা করি খুব শিগগির সব ধরা পড়বে।
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সুষ্ঠু তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন।
এসজি