খুলনায় বিএনপির ৮০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে খুলনায় বিএনপির ৮০০ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (১ এপ্রিল) রাতে খুলনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অজিত কুমার দাস বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা জেলা আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, মহানগর সদস্য শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগরসহ ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮০০ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
রবিবার (২ এপ্রিল) এসআই অজিত কুমার দাস জানান, শনিবার বিকালে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের গাড়িতে হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে ৮০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীরা অনুমতি না নিয়েই অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে। তাদেরকে কর্মসূচি পালনে বাধা দেওয়ায় তারা পুলিশের উপর হামলা চালায়।
এর আগে শনিবার বিকালে মহানগরীর কেডিঘোষ রোডের বিএনপি অফিসের সামনে বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ ও ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেল ও রাবার বুলেটে ৫নং ঘাটভোগ ইউনিয়ন বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ কবির শেখ, রূপসা উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব রুবেল মীর, বটিয়াঘাটা উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব বাহাদুর মুন্সী, ডুমুরিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহিন মোল্লা, ডুমুরিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তামিম মোল্লা, খুলনা জেলা যুবদলের সাজু হাওলাদার, খুলনা জেলা ছাত্রদলের মনিরুজ্জামান নয়ন হাওলাদার, ইয়াসিন, ফিরোজ মাহমুদ, ইসমাইল হোসেন, ইবাদুল হক রুবায়েত, ইস্তিয়াক আহমেদ ইস্তিসহ ১৫-২০ নেতা-কর্মী আহত হয় বলে দাবি করেন বিএনপি নেতারা।
তাদের অভিযোগ, ১০ দফা দাবিতে শনিবার দুপুর ২টায় কেডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয় চত্বরে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি ছিল। খুলনা থানার সামনে দিয়ে একটি খণ্ড মিছিল এই কর্মসূচিতে আসার সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং লাঠিচার্জ করে। তখন পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। পুলিশের হামলায় বিএনপির ১২ জন নেতা-কর্মী আহত হন।
এসজি