খুলনায় ১৯২০ শিশুর কণ্ঠে ৭ মার্চের ভাষণ
খুলনায় ১ হাজার ৯২০ হাজার শিশুর কণ্ঠে ধ্বনিত হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধুর সাজে সজ্জিত হয়ে ১৯২০ শিশু বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ পরিবেশন করে।
এর আগে সকালে খুলনা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ খুলনা জেলা ও মহানগর কমান্ড, কেসিসি’র মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিভাগীয় প্রশাসন, কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা, রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হক, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, জেলা পরিষদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পেশাজীবী সংগঠন এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক-সাহিত্য সংগঠনের নেতারা।
এদিন সকালে নগরীর শহিদ হাদিস পার্ক থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে খুলনা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। র্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। সরকারি-আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে আলোকসজ্জা ও ঐতিহাসিক ৭ মার্চ সম্বলিত তোরণ স্থাপন করা হয়।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ। মহান মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা ছিল এই ভাষণ। এ ভাষণের কথামালা বাঙালির হৃদয়ের সাহস সঞ্চার করে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত দেশের মানুষের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। এজন্য তাকে ১৪ বছর কারাগারে বন্দী থাকতে হয়েছে এবং দুইবার ফাঁসির মঞ্চ পর্যন্ত যেতে হয়েছে। জাতির পিতা পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৪ বছর লড়াই-সংগ্রামকালে জেল-জুলুম অত্যাচার সহ্য করে সব আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা, অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি মো. ইকবাল, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলমগীর কবির ও সরদার মাহাবুবার রহমান প্রমুখ।
এসজি