মাদকের বিরুদ্ধে আমার জিরো টলারেন্স এখনো আছে: মাশরাফি

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেছেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে আমার জিরো টলারেন্স আগেও ছিল এখনো আছে। মাদকের বিষয়টা পুরো নিজের উপরে। কারো ইচ্ছা হলে তাকে কেউ আটকাতে পারবে না। এখানে না করলেও অন্য জায়গায় গিয়ে মাদক নিবে। তাই মাদক জিনিসটা শুধু প্রশাসন দিয়ে বা শুধু আমি আপনি চাইলে আটকাতে পারব না। সামাজিকভাবে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে আয়োজিত ‘জনতার মুখোমুখি জনতার সেবক’ শীর্ষক কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
দুর্নীতি নিয়ে এক জনতার প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি বলেন, ‘দুর্নীতিও মাদকের মতো যার যার তার তার ব্যাপার। আমি সর্বদা দুর্নীতির বিপক্ষে ছিলাম এবং থাকব। সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে নিজে দুর্নীতির বাইরে থাকা।’
নদী খননে ক্ষতিগ্রস্তদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দিঘলিয়ায় নদী খনন প্রকল্পের জন্য অনেকের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অফিস থেকে কাগজ দুই নাম্বারি করে আপনাকে এনে বুঝায় দিছে। জায়গা কেনার সময় না বুঝে না শুনে কিনেছেন। ঠিকমত পরীক্ষা-নিরিক্ষা না করে জায়গা কেনায় সমস্যা হয়েছে। সব সমস্যার সমাধান এমপি করতে পারে না। এমপিও আইনের বাইরে না। আমিও যদি অন্যায় করি আমার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা হবে। আমি তো আর অন্যায় করে ওখানে আপনাকে বসাতে পারি না। আপনাকে উপকার করতে হলে আমাকেও আইন অনুযায়ী করতে হবে। আমি জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলেছি। আপনাদের পুনর্বাসন করা যায় কিভাবে সেই চেষ্টা আমি শুরু থেকেই করে যাচ্ছি।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সী আলাউদ্দিন, উপজেলা চেয়ারম্যান শিকদার আব্দুল হান্নান রুনু, পৌর মেয়র সৈয়দ মশিউর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তারিকুল ইসলাম উজ্জ্বল, দিঘলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
