নড়াইলে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী প্রার্থীরা’ পাচ্ছেন সাধারণ ক্ষমা
নড়াইলের ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের 'বিদ্রোহী প্রার্থীরা পাচ্ছেন সাধারণ ক্ষমা। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক খসরুল আলম পলাশ স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, অনুতপ্তবোধের কারণে যারা পুনরায় দলীয় শৃঙ্খলার প্রতি আনুগত্য প্রকাশের সুযোগ প্রার্থনা করেছেন, তাদের ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা ও ভবিষ্যতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে লিখিত আবেদন প্রেরণের অনুরোধ করা হচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, নড়াইল আওয়ামী লীগের পরবর্তী সভায় ওই আবেদনগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণপূর্বক সুপারিশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে পাঠানো হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদের সভায় বহিষ্কৃতদের দলে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে সাধারণ ক্ষমা পাচ্ছেন নড়াইল জেলা আওয়মী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ২৯ নেতা-কর্মী। তবে দলে ফিরলেও তারা সংগঠনের দায়িত্ব এখনই পাচ্ছেন না বলে এই তালিকায় রয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক, ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যান। আবার বহিষ্কৃতদের অনেকেই নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দাউদ হোসেন বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল সালাম, সহ-সভাপতি কামরান শিকদার ও সাংগঠনিক সম্পাদক জামিরুল ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি শিকদার কামরান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি সাধারণ ক্ষমা চেয়ে দলের কাছে আবেদন করবেন।
সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাকে নির্বাচনের সময় দল থেকে বহিস্কার করা হলেও তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
লোহাগড়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শিকদার নজরুল ইসলাম বলেন, শুনেছি আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তবে আমাকে অফিশিয়াল চিঠি দেওয়া হয়নি। আমি লোহাগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলাম। আমাকে দলীয় মনোনয়ন না দিয়ে অন্য একজনকে দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হই। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়ে থাকলে অবশ্যই আমি আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর ক্ষমা প্রার্থনা করে আবেদন করব।
বহিষ্কৃত লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়জুল আমীর লিটু বলেন,আমি আর দলদারি করব না।
নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু বলেন, বহিষ্কৃতদের কাছ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করে লিখিত দরখাস্ত আহ্বান করা হয়। লিখিত আবেদন পাওয়ার পর সভায় এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এসআইএইচ