অভিনব কৌশলে মুক্তিযোদ্ধার টাকা ছিনতাই

মাগুরার শালিখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইয়াসমিন মনিরার পরিচয় দিয়ে অভিনব কৌশলে বীর মুক্তিযোদ্ধা নারায়ন চন্দ্র বিশ্বাসের নিকট থেকে ৬২ হাজার ২০০ টাকা ছিনতাই করেছে প্রতারক চক্র। ভুক্তভোগী নারায়ন চন্দ্র বিশ্বাস মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার চুকিনগর গ্রামের মৃত সুবল বিশ্বাসের ছেলে ও আড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক গ্রাম
পুলিশ।
প্রতারক চক্র শনাক্তসহ কষ্টার্জিত অর্থ ফিরে পেতে গত সোমবার রাতে শালিখা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) ও শালিখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন অসহায় ওই বীর মুক্তিযোদ্ধা নারায়ন চন্দ্র বিশ্বাস। পাশাপাশি প্রতারক চক্র চিহ্নিত করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর )সন্ধ্যায় বীর মুক্তি যোদ্ধা নারায়ন চন্দ্র বিশ্বাস জানান, গত শনিবার ০১৯৯৯- ৪৩১৬১০ নাম্বার থেকে এক মহিলা ফোন করে শালিখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বলেন, আপনার ( নারায়ন চন্দ্র বিশ্বাস) নামে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা এসেছে। আপনি ওই টাকা পেতে চাইলে ভ্যাট বাবদ ৬২ হাজার ২০০ টাকা পরিশোধ করুন। তখন আমি বিষযটি নিশ্চিত হতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসায় গিয়ে জানতে পারি তিনি জরুরী কাজে ঢাকায় আছেন।
এরপর প্রতারক চক্র ০১৯৫৯০৮৫৬২৯ নাম্বারটি দিয়ে বলেন এটি সোনালী ব্যাংক আড়পাড়া শাখার ব্যাবস্থাপকের নাম্বার । তখন আমি ওই নাম্বারে ফোন দিলে তিনি বলেন আমি সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার বলছি। এসময় তিনি আমাকে বলেন আজ তো শনিবার ব্যাংক বন্ধ। আমাকে ০১৯৫৯০৮৫৬২৯ ও ০১৮২৫৭৬০৪১২ দিয়ে বলেন নগদ একাউন্টের মাধ্যমে টাকা পাঠান। আমি ওই দুই নাম্বারে প্রথমে ৩৪ হাজার ও পরে ২৮ হাজার ২০০ টাকা পাঠিয়ে দিই। এর পরই নাম্বার গুলো বন্ধ পাই। নিরূপায় হয়ে আমি আইনের সহায়তা নিই।
এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংক শালিখা আড়পাড়া শাখার ব্যবস্থাপক আলমগীর হাসানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন এ সর্ম্পকে আমি কিছুই জানিনা। তবে বিষয়টি যখন শুনেছি তখন ওই বীর মুক্তি যোদ্ধা নারায়ন চন্দ্র বিশ্বাস নামের ব্যক্তিকে আইনের সহায়তা নেওয়ার পরার্মশ দিই।
শালিখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইয়াসমিন মনিরা বলেন, জরুরী একটি কাজে আমি ঢাকায় ছিলাম। আমি কিছুই জানিনা। তবে মুক্তি যোদ্ধা নারায়ন বাবু আমার দপ্তরে একটা অভিযোগ দিয়েছেন। তবে আমার বা আমার দপ্তরের নাম ব্যবহার করে যদি কোন প্রতারক চক্র কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ চায় বা নেয় এবং ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আমাকে না জানিয়ে অর্থ লেনদেন করে তাহলে তার দায়ভার ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেই বহন করতে হবে।
এএজেড
