৩৫০ পাখি মুক্ত, ২ যুবক কারাগারে
ফেনীতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে অবৈধভাবে বিক্রির জন্য আটক রাখা ৩৫০টি পাখি উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। এ সময় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. আজাহার আলী শিকদার ও মো. রাসেল শিকদার।
তারা ফেনী পৌরসভার চাড়িপুর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের দুলাল মিয়ার কলোনিতে ভাড়া থাকতেন। উদ্ধার করা পাখিগুলো রবিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে কাজিরবাগ ইকোপার্কে অবমুক্ত করা হয়েছে।
সামাজিক বন বিভাগের ফেনী সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র ভৌমিক জানায়, গোপন সংবাদের ভিক্তিতে ফেনী পৌর এলাকার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের চাড়িপুর এলাকার দুলাল মিয়ার কলোনির একটি ঘরে অভিযান চালানো হয়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন ধরনের পাখি অবৈধভাবে কয়েকটি খাঁচায় আটক রাখা হয়েছে। বিভিন্ন প্রজাতির ৩৫০টি পাখি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা পাখির মধ্যে রয়েছে- ২৮০টি চন্দন টিয়া, ১৩টি মুনিয়া, ৫০টি শালিক ও ৭টি দেশি টিয়া পাখি।
এ সময় বন্য পাখি অবৈধভাবে নিজের হেফাজতে রাখার অপরাধে খুলনা জেলার সোনাডাঙা থানার হাফিজ নগর এলাকার আজাহার আলী শিকদার ও রাসেল শিকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতে উভয়কে দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের ফেনীর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দুপুর ২টার দিকে উদ্ধার করা পাখিগুলো ফেনী সদর উপজেলার কাজিরবাগ ইকোপার্কে অবমুক্ত করা হয়। এ সময় ফেনী জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা কুলসুম কলি ও সুবল চাকমা, বন বিভাগের ফেনী সদর উপজেলার রেঞ্জ কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র ভৌমিক উপস্থিত ছিলেন।
ফেনী জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা কুলসুম মনি বলেন, অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী বিক্রয় ও সংরক্ষণ আইন ২০১২ এর ৩৪ (খ) ধারায় অভিযুক্ত দুইজন তাদের অপরাধ স্বীকার করায় তাদের দুই মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে ফেনী কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এক মাস আগে তাদের বাবা আতাহার আলী সিকদার একই অপরাধে গ্রেপ্তার হয়ে ফেনী কারাগারে রয়েছেন।
এসএন