শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিক

সাতক্ষীরায় কমিউনিটি ক্লিনিকের সুফল ভোগ করছেন প্রান্তিক পর্যায়ের অবহেলিত নারী, শিশু ও কিশোরীরা। এসব ক্লিনিকের মাধ্যমে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, প্রজনন স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা সেবা, টিকাদান কর্মসূচি, পুষ্টি, স্বাস্থ্যশিক্ষা, পরামর্শসহ বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করেন প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষরা। বর্তমানে সাতক্ষীরার ৭৮টি ইউনিয়নের ২২৭ কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রতিদিন ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।

কর্মীদের নিয়মিত উপস্থিতি, ওষুধের পর্যাপ্ত সরবরাহ আর পরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে জেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। নিজ এলাকাতেই প্রাথমিক চিকিৎসা পেয়ে খুশি এলাকাবাসী।

গ্রামের হতদরিদ্র মহিলা, শিশু ও কিশোরীরা এখন হাতের কাছে স্বাস্থ্যসেবা নিচ্ছেন। হতদরিদ্র ও গরিব শ্রেণির পরিবারের নারী, কিশোরীসহ অন্যান্য সদস্যরা কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা নিতে আসেন। সেবার পাশাপাশি বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে সরকারি ওষুধ। তবে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) ছাড়া ডাক্তারদের ক্লিনিকে পাওয়া যায় না বলে জানান স্থানীয়রা। তবে কমিউনিটি ক্লিনিক যেন বন্ধ না হয় এবং চাহিদা মোতাবেক ওষুধ সরবরাহ করা হয় এজন্য সরকারের দৃষ্টি আর্কষণ করেছেন এলাকাবাসী।

সাতক্ষীরা জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরায় বর্তমানে ২২৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। আর ২টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণাধীন। প্রতিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৬ হাজার মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার কথা। একটি কার্টনে ২ মাসের জন্য ৩০ ধরনের ওষুধ নির্ধারণ করা থাকে। এসব ওষধ দিয়ে ওইসব ক্লিনিকে ছুটির দিন ব্যতীত সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সেবা দেওয়া হয়। নারী ও কিশোরীদের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনা, কৈশোর কালের সমস্যা সেবা ও ইপিআই কর্মসূচির সব কার্যক্রম এসব কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বাস্তবায়ন করা হয়।

জেলার বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিক ঘুরে জানা যায়, এখানে সার্বিক প্রজনন স্বাস্থ্য পরিচর্যার আওতায় গর্ভবর্তী মহিলাদের প্রসব পূর্ব প্রতিষেধক টিকাদানসহ প্রসব পরবর্তী নবজাতকের সেবা, সময়মতো যক্ষ্মা, ডিপথেরিয়া, হুপিং কফ, পোলিও, ধনুষ্টংকার, হাম, হেপাটাইটিস-বি, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক টিকা দেওয়াসহ শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হয়।

জনগণের জন্য বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের অপুষ্টি দূরীকরণের জন্য ফলপ্রসূ ব্যবস্থা গ্রহণ ও সেবা প্রদান করা হয় এই ক্লিনিক থেকেই। এ ছাড়া, ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা, কুষ্ঠ, কালা-জ্বর, ডায়রিয়াসহ অন্যান্য সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এবং সেগুলোর সীমিত চিকিৎসা সুবিধা রয়েছে। সাধারণ জখম, জ্বর, ব্যথা, কাটা, পোড়া, দংশন, বিষক্রিয়া, হাঁপানি, চর্মরোগ এবং চোখ, দাঁত ও কানের সাধারণ রোগের ক্ষেত্রে লক্ষণ ভিত্তিক প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অস্থায়ী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সংক্রান্ত কনডম, পিল, ইসিপিসহ বিভিন্ন উপকরণ সরবরাহ ও বিতরণ নিশ্চিত করা হয়। জটিল রোগীদের প্রয়োজনীয় প্রাথমিক সেবা প্রদান করে দ্রুত উচ্চতর পর্যায়ে রেফার করা হয়।

এদিকে কমিউনিটি ক্লিনিকের চাকরি রাজস্ব খাতে না হওয়ায় কর্মঠ ও দক্ষ সিএইসসিপিরা চাকরি ছেড়ে অন্যত্রে চলে যাচ্ছেন। এতে মেধাবী ও দক্ষ কর্মী হারাচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিক। দ্রুত চাকরি রাজস্ব খাতে না করলে প্রধানমন্ত্রীর এই প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়ার আশঙ্কা প্রবল হয়ে উঠেছে।

জেলার বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক ব্যক্তিরা জানান, এখন আর কষ্ট ও টাকা খরচ করে শহরের হাসপাতালে যেতে হয় না তাদের। প্রাথমিক রোগের চিকিৎসা সেবা তারা কমিউনিটি ক্লিনিক থেকেই নিতে পারছেন। এখান থেকে ওষুধ নিতে কোনো টাকা দিতে হয় না। তবে যদি বড় ডাক্তাররা ক্লিনিকে নিয়মিত আসতেন তাহলে চিকিৎসা সেবার মান আরও ভাল হতো।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝিটকী কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারী শরিফুন নেছা ও কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার আমিনুর রহমান বলেন, ক্লিনিকে আসা যেকোনো রোগীর নাম প্রথমে রেজিস্টার করা হয়। পরে ক্লিনিকে কর্মরত সিএইচসিপির কাছে রোগীরা তাদের সমস্যা সম্পর্কে বিস্তারিত বলার পর রোগীর অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। তবে রোগ যদি জটিল হয় তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের অপেক্ষাকৃত উচ্চতর চিকিৎসা সেবার জন্য সরকারি হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

তারা আরও বলেন, বর্তমানে ঝিটকী কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রতিমাসে কয়েক হাজার নারী ও কিশোরীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি একই ক্লিনিকের মাধ্যমে কিশোরীদের বিভিন্ন ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে মাতৃমৃত্যুর হার অনেকাংশে কমে এসেছে। তা ছাড়া সম্প্রতি ব্র্যাকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যক্ষ্মা রোগ নিয়েও কাজ করছেন বলে জানান তারা।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু বলেন, গ্রামীণ জনগণের অত্যাবশ্যকীয় চিকিৎসা সেবা বিতরণের প্রথম স্তর হলো কমিউনিটি ক্লিনিক। তৃণমূল পর্যায়ে সাধারণ মানুষের চাহিদা অনুসারে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার হিসেবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়। বর্তমানে তৃণমূল মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় কমিউনিটি ক্লিনিক এখন স্বাস্থ্যসেবার মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। মা ও শিশুর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় এক নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছে এই ক্লিনিক।

তিনি আরও বলেন, প্রথম দিকে সচেতনতার অভাবে কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা গ্রহীতাদের ভিড় না থাকলেও এখন ক্লিনিকগুলোতে রোগীর ভিড় ক্রমশ বাড়ছে। এই ক্লিনিকের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বাড়ির কাছাকাছি হওয়ায় এবং সেখানে বিনামূল্যে সাধারণ রোগের ওষুধ পাওয়া যায় বলে দিন দিন এর সেবাগ্রহীতার সংখ্যাও বাড়ছে।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ হুসাইন শাফায়াত বলেন, বর্তমানে জেলার ৭ উপজেলায় অবস্থিত ২২৭টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদের মাঝে বিনামূল্য চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোয় চিকিৎসা দেওয়া পাশাপাশি ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে রোগীদের চাপ কমেছে। সাধারণ মানুষদের চিকিৎসা সেবার আওতায় নিয়ে আসতে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর সক্ষমতা আরও বাড়াতে পারলে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর চাহিদামতো চিকিৎসা সেবা প্রদান সম্ভব হবে।

এসজি/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত