মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪ | ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ফরিদপুরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার সঞ্জিত ‘ভারতীয় নাগরিক’ নয়

প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগে গ্রেপ্তার সঞ্জিত বিশ্বাস। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরের ভাঙ্গা বাজারের হরি মন্দির ও কালি মন্দিরে নির্মিতব্য প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগে সন্দেহভাজন হিসেবে সঞ্জিত বিশ্বাস (৪৫) নামে ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি ভারতীয় নাগরিক বলে জানা গেলেও, তার আসল পরিচয় মিলেছে।

জানা গেছে, গ্রেপ্তার ওই যুবকের প্রকৃত ঠিকানা গোপালগঞ্জের কাশিয়ানিতে। পুলিশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সঞ্জিতের বাবা নিশিকান্ত বিশ্বাস। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ফরিদপুর জেলা পুলিশ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় ‘ভারতীয় নাগরিক’ সঞ্জিত বিশ্বাসের গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশিত হলে তার বাবা ফরিদপুর জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

নিশিকান্ত বিশ্বাস পুলিশকে জানান, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি তার ছেলে এবং মানসিকভাবে অসুস্থ। তার প্রকৃত নাম সঞ্জিত বিশ্বাস (৪৫), গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার নিজামকান্দী গ্রামে তাদের বাড়ি। গ্রেপ্তার সঞ্জিত ২৫ বছর বয়সে কাজের উদ্দেশ্যে ভারতে গিয়ে অনেকদিন ছিলেন পরবর্তীতে দেশে ফিরেন। প্রায় ৪ বছর আগে হঠাৎ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এরপর আর বাড়িতে ফিরে আসেননি এবং পরিবারের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ ছিল না। এছাড়া সঞ্জিত প্রায়ই ভারতে যাতায়াত করতেন বলে জানিয়েছেন তার বাবা নিশিকান্ত বিশ্বাস।

এর আগে গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা বাজারস্থ হরি মন্দির ও কালি মন্দিরে নির্মিতব্য প্রতিমা কে বা কারা ভাঙচুর করেছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরবর্তীতে পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত সনাতন ধর্মাবলম্বীর নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে পুলিশ সুপার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।

ঘটনার বিষয়ে পুলিশের তদন্তকালে কালি মন্দিরের সামনে পরিত্যক্ত খাটের উপর শয়নরত অবস্থায় একজন ও খাটের পাশে মাটিতে আরেকজন ব্যক্তিকে দেখতে পান। জিজ্ঞাসাবাদে একজনকে (বৃদ্ধ ব্যক্তি) স্থানীয়রা পরিচিত বলে সনাক্ত করেন। অপর ব্যক্তিকে নাম-পরিচয় জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি নাম-পরিচয় না জানালে তার উপর সন্দেহ হয়। তাকে থানায় এনে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদকালে একবার বাংলা এবং একবার হিন্দি ভাষায় কথা বলে, পরে তার নাম সঞ্জিত বিশ্বাস (৪৫), পিতা-নিশি কান্ত বিশ্বাস, সাং-নদীয়া এবং ভারতীয় নাগরিক বলে জানায়।

Header Ad

এবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব

ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপ ও তার সহযোগীদের হাজার হাজার কোটি টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে এবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বরাবর অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-পরিচালক ইয়াছির আরাফাতের সই করা তলবি চিঠিতে তাদের আগামী ২০ ও ২১ নভেম্বর দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে। সোমবার সংস্থার একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

চিঠিতে কর্মকর্তাদের হাজির হওয়ার পাশাপাশি তাদের পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া চিঠিতে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের চাকতাই শাখার গ্রাহক মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজ, জুবিলী রোড শাখার গ্রাহক ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স, খাতুনগঞ্জ শাখার গ্রাহক সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টস নামীয় ঋণ পরিদর্শন ও মনিটরিং সংক্রান্ত কর্মকর্তার ভূমিকার বিষয়ের বিস্তারিত তথ্যসহ হাজির হতে বলা হয়েছে।

তলবি চিঠিতে ২০ নভেম্বর যাদের তলব করা হয়েছে- বাংলাদেশ ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক সুনির্বাণ বড়ুয়া, অনিক তালুকদার, অতিরিক্ত পরিচালক শংকর কান্তি ঘোষ, ছলিমা বেগম, উপ-পরিচালক মো. জুবাইর হোসেন ও রুবেল চৌধুরী।

অন্যদিকে ২১ নভেম্বর যাদের তলব করা হয়েছে- বাংলাদেশ ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক সৈয়দ মু: আরিফ-উন-নবী, অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, মো. শোয়েব চৌধুরী, মো. মঞ্জুর হোসেন খান ও মো. আব্দুর রউফ, উপ-পরিচালক লেনিন আজাদ পলাশ এবং পরিচালক মো. সরোয়ার হোসাইন।

একই ঘটনায় এর আগে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ২৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল সংস্থাটি।

অভিযোগ রয়েছে, মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী গোলাম সারওয়ার চৌধুরী, জুবলি রোড শাখার গ্রাহক ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স, খাতুনগঞ্জ শাখার গ্রাহক সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টসসহ অন্যরা ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা ইসলামী ব্যাংক থেকে আত্মসাৎ করেছে।
এর আগে গত ২১ আগস্ট এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম ওরফে এস আলমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের তদন্ত শুরু করে দুদক।

Header Ad

প্রকাশ্যে এল নুসরাতের প্রাক্তনের প্রেম ও প্রেমিকা

ছবি: সংগৃহীত

কথায় বলে প্রেমের খবর নাকি চাপা থাকে না, বাতাসে ভাসে। টালিগঞ্জের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত জাহানের সাবেক স্বামী নিখিলের জীবনজুড়ে এখন শুধুই সৌরসেনী! বছর খানেক ধরেই চলছিল এই ফিসফিসানি। টলিপাড়ার বাতাসে গুঞ্জন নিখিলেই মজেছেন সৌরসেনী। নিখিলের জন্মদিনে সেই গুঞ্জনের হাওয়া ফের গরম! মনের কথা সামাজিক মাধ্যমে লিখলেন সৌরসেনী।

নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে চর্চিত প্রেমিকা সৌরসেনী মৈত্রের জন্মদিনে একটি বিশেষ পোস্ট করেছেন নিখিল। আর এতেই নিখিল-সৌরসেনী নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। তাদের একাধিক ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, পার্টি থেকে শুরু করে যেকোনো উৎসব একসঙ্গেই কাটান তারা। এবার ইন্সটাগ্রামে অন্তরঙ্গ ছবি পোস্ট করে সেই গুঞ্জনেই যেন সিলমোহর দিলেন অভিনেত্রী নুসরাতের প্রাক্তন স্বামী।

গেল ১৩ এপ্রিল ছিল সৌরসেনী মৈত্রের জন্মদিন। এদিন সৌরসেনীর সঙ্গে একটি অন্তরঙ্গ ছবি নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করেছেন নিখিল। একই পোস্ট নিজের ইনস্টা স্টোরিতে রিশেয়ার করেছেন সৌরসেনী। গত বছরও সৌরসেনীর জন্মদিনে একটি বিশেষ পোস্ট করেছিলেন নুসরাতের প্রাক্তন।

জানা যায়, নিখিল জৈনের পোশাকের ব্র্যান্ডের প্রধান মডেল সৌরসেনী। পুরুষ মডেল নিখিল নিজেই। এমনকি, ব্র্যান্ডের প্রচারের জন্য বর-কনে বেশে সবার সামনেও এসেছিলেনি এই জুটি। সে সময় শুটের জন্য বারাণসী গিয়েছিলেন দুজন। শোনা যায়, সেখানে একান্তে নিখিল-সৌরসেনীর সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে।

২০১৯ সালের ১৯ জুন বয়ফ্রেন্ড, ব্যবসায়ী নিখিল জৈনের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন নুসরাত জাহান। তুরস্কে বসেছিল তাদের বিয়ের রাজকীয় অনুষ্ঠান। এরপর কলকাতায় এসেও হয় গ্র্যান্ড রিসেপশন পার্টি। নিখিলের সঙ্গে বিয়ের পর থেকেই হিন্দু ও মুসলিম সম্পর্ক নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়তে হয় তৃণমূলের সংসদ সদস্য নুসরাতকে।

Header Ad

নামের আগে উপাধি ব্যবহার না করার অনুরোধ তারেক রহমানের

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজের নামের আগে ‘দেশনায়ক’ ও ‘রাষ্ট্রনায়ক’ উপাধি ব্যবহার না করার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বিএনপি আয়োজিত একটি কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই অনুরোধ জানান।

তারেক রহমান বলেন, “আমার নামের আগে দেশনায়ক ও রাষ্ট্রনায়ক বলে সম্বোধন করবেন না।"

দেশে ষড়যন্ত্র চলছে বলে উল্লেখ করে তিনি জনগণকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “কোথাও একটা ষড়যন্ত্র চলছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে।”

স্বাধীন ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারকে বিএনপির অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হিসেবে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, “জনগণের রাজনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিএনপি যে কোনো মূল্যে ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনবে।”

আওয়ামী লীগের জবাবদিহির অভাব নিয়ে সমালোচনা করে তিনি বলেন, “নির্বাচনের জবাবদিহি নিশ্চিত না থাকলে স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠা হয়। রাজনীতি ও অর্থনীতির দুর্বলতা সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করাই হবে আমাদের মূল কাজ।”

তারেক রহমান জানান, বিএনপির ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবকে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। তিনি বলেন, “যদি ভালো কোনো সংস্কার প্রস্তাব আসে, তা গ্রহণ করা হবে। ক্ষমতায় গেলে এসব প্রস্তাব বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। উঠান বৈঠকের সংস্কৃতি ফিরিয়ে এনে সংস্কারের বার্তা সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।”

তারেক রহমানের এই বক্তব্যে বিএনপির রাজনৈতিক অগ্রাধিকার ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার প্রতিফলন দেখা যায়, যেখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব
প্রকাশ্যে এল নুসরাতের প্রাক্তনের প্রেম ও প্রেমিকা
নামের আগে উপাধি ব্যবহার না করার অনুরোধ তারেক রহমানের
হাসান মুরাদের হ্যাটট্রিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশের দাপট
টাকার সংকটে বেক্সিমকোর ২৪ কারখানা বন্ধ: শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ অনিশ্চিত
হাতে হাত রাখা সেই যুবককে প্রকাশ্যে আনলেন পরীমণি
এবার ৬৫৪ কোটি টাকায় দুবাইয়ে বাড়ি কিনলেন নেইমার
৩ দিনের মধ্যে ঢাকা মহানগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী নেতা তিতুমীরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণে আপত্তি নেই: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
কুবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি-সেক্রেটারির আত্মপ্রকাশ
কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি অযৌক্তিক: আইন উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ব্যাংক বন্ধ করবে না: অর্থ উপদেষ্টা
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করে অধ্যাদেশ জারি
বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, আবেদন ফি ২০০ টাকা
শেখ হাসিনা রাজনৈতিক দলগুলোর দুর্বলতার সুযোগে ফ্যাসিষ্ট হয়েছিলেন: মির্জা ফখরুল
ভারতে পালানোর সময় গাজীপুরের সাবেক প্যানেল মেয়র কিরণ আটক
বিদ্যুৎ নিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি পুনর্মূল্যায়নে কমিটি গঠনের নির্দেশ
আজ বিশ্ব পুরুষ দিবস, প্রিয় পুরুষকে দিতে পারেন উপহার
রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে শেষ মুহূর্তের গোলে সুইজারল্যান্ডকে হারালো স্পেন