টাঙ্গাইলে আনসার সদস্যদের নির্বাচনী ডিউটি দিতে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ
আনসার সদস্যদের ক্ষোভ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
নির্বাচন আসলেই অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্যে মেতে উঠেন কিছু আনসার লিডারসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। জনপ্রতি ঘুষের পরিমাণ তিন’শ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত। এই টাকা দিলেই মিলে ডিউটি, আর না দিলে পড়ছেন বাদ। আবার টাকা দিয়েও ডিউটি না পেয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
আনসার অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগসাজশে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ওয়ার্ড লিডার, ইউনিয়ন লিডার ও পৌরসভার ওয়ার্ড লিডারদের বিরুদ্ধে। ঘুষ নেওয়ার এমন অভিযোগ করেছেন খোদ আনসার সদস্যরাই।
এদিকে, সকল অভিযোগ অস্বীকার করে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা। জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২১ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে ৯৬৮ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আনসার সদস্যরা জানান, ডিউটির জন্য তাদের চাহিদা মোতাবেক টাকা না দিতে পারলে বাদ দেওয়া হচ্ছে ডিউটির তালিকা থেকে। এছাড়াও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলেও অফিস খরচের নামে প্রতি সদস্যদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে আরও ২০০ থেকে ৩০০ টাকা।
এ ব্যাপারে উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসার মো. শরিফ হোসেন বলেন, বিভিন্ন যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে আনসার সদস্য নিয়োগ করা হয়। যদি অফিসের কোনো কর্মচারী, ওয়ার্ড বা ইউনিয়ন লিডারের বিরুদ্ধে অনৈতিক লেনদেন অভিযোগ ওঠে তাহলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।