চিকিৎসক না হয়েও রোগী দেখতেন ওষুধ বিক্রেতা, গুণতে হলো জরিমানা
মেসার্স লাকী ফার্মেসীর স্বত্বাধিকারী ও ওষুধ বিক্রেতা মো. বজলুর রশিদ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
টাঙ্গাইলে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক না হয়েও রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছিলেন মো. বজলুর রশিদ নামে এক ওষুধ বিক্রেতা। ভোক্তাদের এমন অভিযোগে তার ফার্মেসীতে অভিযান চালিয়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বুধবার (১৫ মে) দুপুরের দিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আওতায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সুরুজ বাজারে এই তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করেন- ভোক্তা অধিদপ্তরের টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর আলম।
জরিমানাপ্রাপ্ত বজলুর রশিদ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সুরুজ বাজারের মেসার্স লাকী ফার্মেসীর স্বত্বাধিকারী ও একজন ওষুধ বিক্রেতা। এছাড়াও তার ফার্মেসীতে প্রচুর পরিমাণে মেয়াদ উত্তীর্ণ, মূল্য বিহীন ওষুধ (ফিজিশিয়ান স্যাম্পল) সংরক্ষণ করে রাখাসহ ড্রাগ লাইসেন্সের হালনাগাদ না ছিল না।
টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শিকদার শাহীনুর আলম বলেন, ওই ফার্মেসীর মালিক মো. বজলুর রশিদ ডাক্তার না হয়েও ডাক্তার সেজে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিল ও ফার্মেসীর ড্রাগ লাইসেন্সের হালনাগাদ না থাকা এবং মূল্য বিহীন ওষুধ (ফিজিশিয়ান স্যাম্পল) সংরক্ষণ করে রাখার দায়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, তিনি ভবিষ্যতে সে আর কোনো রোগীকে সেবা দিবেন না জানিয়ে মুচলেকা দেন। এছাড়া অভিযানে সকল ব্যবসায়ীদের ক্রয়/বিক্রয় রশিদ সংরক্ষণ, মূল্য তালিকা প্রদর্শন করা, মেয়াদ উত্তীর্ণ ও মূল্য বিহীন ওষুধ , কসমেটিকস বিক্রয় না করতে অনুরোধ জানানো হয় এবং সচেতন করতে লিফলেট ও প্যামপ্লেট বিতরণ করা হয়েছে।