মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫ | ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘আর্থিক সহযোগিতা’ চেয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের চিঠি

ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বিরুদ্ধে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আর্থিক সহযোগিতা চেয়ে ব্যাংক-বিমাসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে।

জেলার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বিমাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ডায়াগনোস্টিক সেন্টারসহ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সহযোগিতা চেয়ে একই ধরনের চিঠি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। চিঠি পাওয়ার পর অনেকেই স্বেচ্ছায় সাধ্যমতো অর্থ প্রদান করলেও অনেকে করেছেন বিরুপ মন্তব্য।

এদিকে, জানতে চাইলে ‘আর্থিক সহযোগিতা’ প্রদান সংক্রান্ত চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

জানা যায়, গেল ১৮ মার্চ মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (নেজারত শাখা, ব্যবসা বাণিজ্য শাখা ও ট্রেজারি শাখা) ওমর শরীফ ফাহাদ স্বাক্ষরিত ওই চিঠিটি জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, এনজিও, লাইফ ইন্সুরেন্স, সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক, ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে পাঠানো হয়। চিঠি পাওয়া ও অর্থ দানের বিষয়টি নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিশ্চিত করেন একাধিক ব্যক্তি। এর মধ্যে জেলা সদরে কর্মরত একাধিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) কর্মকর্তা ও বেশ কয়েকটি ইন্সুরেন্স কোম্পানির জেলা প্রতিনিধি ও ডিজিএমও রয়েছেন।

একটি ইন্সুরেন্স কোম্পানির প্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, জেলা প্রশাসনের একজন এনডিসি আমাকে ফোন দিয়ে তার অফিসে যেতে বলেন। সেখানে গেলে তিনি বলেন, এবার আমাদের খরচ একটু বেশি। আপনি এই চিঠিটা (অর্থ সহযোগিতা প্রদান সংক্রান্ত) ইন্সুরেন্স কোম্পানির যারা রয়েছেন তাদের পৌঁছে দিয়েন। ওই কর্মকর্তার কথামতো তিনি সেই চিঠি ফারইষ্ট, সন্ধানী, মেঘনা, ডেল্টা লাইফ ও পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির প্রতিনিধিদের কাছে পৌছে দেন।

আর্থিক সহযোগিতা প্রদান সংক্রান্ত ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের জন্য জেলা প্রশাসন, মুন্সিগঞ্জ ইতোমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করেছে। এ আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করতে সকলের সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন। এমতাবস্থায়, আপনার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে অন্যান্য বছরের ন্যায় সার্বিক সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।’

জানা যায়, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবছরের মত এবারও মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিনব্যাপী কুচকাওয়াজ, জেলা ও উপজেলা সদরের যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, চিত্রাঙ্কন- সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন আয়োজন করেছে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসন। স্বাভাবিকভাবেই এসব কর্মসূচি সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থে বাস্তবায়নের কথা থাকলেও চিঠি দিয়ে অর্থ সহযোগিতার বিষয়টিকে নেতিবাচকভাবে দেখছেন অনেকে।

‘আর্থিক সহযোগিতা’ প্রদান সংক্রান্ত চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার (নেজারত শাখা, ব্যবসা বাণিজ্য শাখা ও ট্রেজারি শাখা) ওমর শরীফ ফাহাদ বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সহায়তা চেয়ে চিঠি দিয়েছি। এটা প্রতিবছরই দেয়া হয়। তবে কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চিঠি দেয়া হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের যে আয়োজন- আমরা তাদেরকে (বীর মুক্তিযোদ্ধাদের) ইফতার দিবো- চাদরের ব্যবস্থা করেছি। আমাদের বরাদ্দ তো খুবই কম থাকে। আর্থিক সহযোগিতা চেয়ে আমরা যে চিঠি দিয়েছি- যারা চায় দিবে, না দিলে না দিবে। আমাদের কোন ধরনের বাধ্যবাধকতা নাই। আমাদের প্রোগ্রাম আমরা কিভাবে কালারফুল করতে পারবো- রাষ্ট্রীয় প্রোগ্রাম। প্রোগ্রামটা আমাদের জেলা প্রশাসন আয়োজন করে কিন্তু এটি আমাদের একার না। সবাই মিলেই করি প্রোগ্রাম।’

কিভাবে এই অর্থ সংগ্রহ করা হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যার ইচ্ছা। বেশিরভাগই মনে করেন যে আসে, কেউ লোক পাঠিয়ে দেয়। যে যেরকম দিতে পারে নগদ আমাদের কাছে পৌছে দেয়।’

স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজনে সরকারের বরাদ্দ রয়েছে কি না জানতে চাইলে ‘ আমি এ বিষয়ে এসাইন অফিসার না’ ও চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে ‘বিষয়টি আমার নলেজে নেই’ বলে জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাকির হোসেন।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. আবুজাফর রিপনের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন সংক্রান্ত একটি কমিটির দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আশরাফুল আলম বলেন, ‘লুকোছাপা যেটা সেটা হচ্ছে কাগজছাড়া। চেয়ে চেয়ে নেয়ার বিষয় আছে। এটা হচ্ছে- কেউ চেক দেয়- কেউ আবার একটা জিনিস কিনে দেয়। সবাই যে নগদ দেয় বিষয়টা এরকম না। সরকার যে বরাদ্দ দেয় সরকার নিজেও জানে এতে হয় না। কিন্তু ফোন দিয়ে দিয়ে বলা- ভাই আপনি সহযোগিতা করেন। অ্যাজ এ অফিসার এটা হয় না। হ্যা ভাই চিঠি দিলাম- দিলে ভালো না দিলেও ওয়েল।’

এসময় তিনি পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘আপনি কি বিষয়টা প্রথম জানলেন?’

গ্রহণকৃত এসব অর্থ সরকারি নিয়মে (লোকাল রিলেশন্স- এলআর ফান্ড) নেয়া হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যাংকে গিয়ে সবাই হয়তো টাকা জমা দেয় না তবে এটার একটা হিসাব হবে- কত টাকা উঠলো কত ব্যায় হলো।’

স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনের মত এ ধরনের অনুষ্ঠানে সরকারি বরাদ্দ কত থাকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগে ৫০ হাজার টাকা ছিলো। এখন সেটা বেড়ে ১ লাখ টাকা হতে পারে।’

Header Ad
Header Ad

সাভারের পাওয়ার গ্রিডের আগুন ২ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

সাভারের পাওয়ার গ্রিডের আগুন ২ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার সাভারের আমিন বাজার পাওয়ার গ্রিডে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের চেষ্টায় প্রায় ২ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা স্টেশন অফিসার মো. তালহা বিন জসিম।

জানা যায়, সকাল সোয়া ৭টার দিকে লাগা ওই আগুন সকাল সোয়া ৯টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, আনসার ও র‍্যাবের সদস্যরা সহযোগিতা করেন।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা স্টেশন অফিসার মো. তালহা বিন জসিম বলেন, সকাল সোয়া ৭টার দিকে ওই পাওয়ার গ্রিডে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ৭টা ২০ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট। সকাল সোয়া ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে সাভার ও ট্যানারি ফায়ার স্টেশন থেকে মোট ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আগুনের তীব্রতা বেশি থাকায় আশপাশের স্টেশন থেকে আরও ৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়।

Header Ad
Header Ad

সীমান্তে দশ বছরে ৩০৫ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে বিএসএফ: এইচআরএসএস

ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গত ১০ বছরে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ৩০৫ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

এইচআরএসএস’র তথ্য মতে, ২০১৫ সালে ৪৩ জন, ২০১৬ সালে ২৮, ২০১৭ সালে ৩০, ২০১৮ সালে ১৫, ২০১৯ সালে ৪২, ২০২০ সালে ৫১, ২০২১ সালে ১৭, ২০২২ সালে ২৩, ২০২৩ সালে ৩০ ও ২০২৪ সালে ২৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক বিএসএফ’র গুলিতে নিহত হয়েছে। এছাড়া এই দশ বছরে সীমান্তে সংঘর্ষের ঘটনায় ২৮২ বাংলাদেশি আহত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক শুধু ২০২৪ সালে ৫৭টি হামলার ঘটনায় ঘটে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত বিএসএফ কর্তৃক ১৫টি হামলার ঘটনায় ৪ জন বাংলাদেশি নিহত, ১০ জন আহত, ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক ও খাসিয়াদের হামলায় ৩ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানিয়ে মানবাধিকার সংস্থাটি জানিয়েছে, বিভিন্ন সময়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার ব্যাপারে বাংলাদেশ ও ভারত সিদ্ধান্ত নিলেও এই ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। আমরা উভয় দেশের কর্তৃপক্ষকে এই সংকটের স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে গঠনমূলক সংলাপ এবং কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়ে সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা প্রকৃতপক্ষে শূন্যে নিয়ে আসার বিষয়ে আহ্বান জানাই।

এছাড়া সীমান্তে পূর্ববর্তী সব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার নিশ্চিত করতে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

Header Ad
Header Ad

হাসিনার সময়ে মানুষের নামাজ পড়ারও অধিকার ছিল না: আব্দুস সালাম পিন্টু

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু বলেছেন, শেখ হাসিনার সময় এ দেশে কথা বলার অধিকার ছিল না, নামাজ পড়ারও অধিকার অনেকের ছিল না। মানুষের বিপদের কথাটাও মানুষের কাছে বলতে দিতো না। একটা ভয়াবহ অস্থিরতার মধ্যে দেশ চলছিল। এই দেশকে হাসিনার হাত মুক্ত করেছে পরম করুণাময় আল্লাহ তাআলা। তবুও ষড়যন্ত্র থেমে থাকে না। যেদিন স্বাধীন হয়েছে, স্বাধীন হওয়ার পরের দিন থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র চলছে।

সোমবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে মাটিকাটা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু বলেছেন- মৃত্যুর মুখে থেকে ফিরে এসেছি। আমি একটা মৃত মানুষ, জীবিত অবস্থায় ফিরে এসেছি। আমার জীবন তো শেষ হয়ে যেতো। এখন শেখ হাসিনা থাকলে আমি আর কথা বলতে পারতাম না। যেহেতু মুক্ত হয়েছি জালিমের কারাগার থেকে সেই জালিমের কারাগারে রিমান্ডের নামে অত্যাচার, জুলম, নির্যাতন যেভাবে আমি ভোগ করেছি সেইভাবে আপনারাও বাইরে থেকে অনেকে ভোগ করেছেন।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন- শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী দেশ গড়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থা উন্নত করা, সঙ্গে সঙ্গে বেকার সমস্যা সমাধান পাশাপাশি শিল্প বিপ্লবের ডাক দিলেন। একদিকে কৃষি উৎপাদন, আরেক দিকে শিল্প বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশকে শক্তিশালী অর্থনীতির দাঁড় করানোর জন্য চেষ্টা করলেন।

পিন্টু বলেন- এই দেশ যখন উন্নতি হবে, সামনের দিকে এগিয়ে যাবে, বিশ্বের বুকে একটি নেতৃত্ব স্থানীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে সেই সময় চক্রান্তের পর চক্রান্ত, ষড়যন্ত্রের পর ষড়যন্ত্র করে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছি। জিয়াউর রহমানকে হত্যা করার পর এই দেশে কি হয়েছিল আপনারা জানেন। আপনারা জানেন, জিয়াউর রহমান এই দেশে গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিল। বহুদলীয় গণতন্ত্রের কথা বলেছিলেন, সবাইকে নির্বাচন করার কথা বলেছিলেন, শেখ হাসিনাকে বিদেশ থেকে ফেরত এনেছিলেন।

টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, দীর্ঘ ১৭ টি বছর এ দেশের মানুষ আন্দোলন করেছে, সংগ্রাম করেছে যার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের সমস্ত সম্পদ লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমাদের সম্পদ দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশকে সাহায্য সহযোগিতা করা হয়েছে। আমি অন্যায়ের কাছে মাথানত করিনি। ভারতের দালালি করিনি। ভারতের কাছে বাংলাদেশকে বিক্রি করে দেয়ার ষড়যন্ত্রের জালে লিপ্ত হয়নি। বর্তমানে চক্রান্ত হচ্ছে, ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

এ নেতা আরও বলেন, এ দেশে শুধু ছাত্ররা জীবন দেয়নি। রিকশাওয়ালা, শ্রমিক, এ দেশের খেটে খাওয়া মানুষ প্রাণ দিয়েছে। যারা প্রাণ দিয়েছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। যারা প্রাণ দিয়েছে কী কারণে দিয়েছে? এ দেশের মানুষের ভোটাধিকারের জন্য দিয়েছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাণ দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যতদিন বেঁচে থাকব সাধারণ মানুষের পাশে থাকব, মানুষের সেবা করব। আমার জন্য আপনারা নামাজ পড়ে, তাহাজ্জুদ পড়ে দোয়া করেছেন এ জন্য আল্লাহর রহমতে মুক্তি পেয়েছি। কোনোদিন অন্যায় করিনি আর অন্যায়ের কাছে মাথানত করিনি। আপনারা অন্যায়ভাবে যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করবেন না। সততার সঙ্গে ব্যবসা করবেন। অন্যায় করা যাবে না দুর্নীতি করা যাবে না। নিজেদের মধ্যে দলাদলি ভালো না। ভালো কিছু বয়ে আনবে না।

এ সময় নিকরাইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মণ্ডলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান গিয়াসসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এরআগে উপজেলা ও আশপাশের বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা ইফতারে অংশ নেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাভারের পাওয়ার গ্রিডের আগুন ২ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে
সীমান্তে দশ বছরে ৩০৫ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে বিএসএফ: এইচআরএসএস
হাসিনার সময়ে মানুষের নামাজ পড়ারও অধিকার ছিল না: আব্দুস সালাম পিন্টু
বিএনপির সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন মারা গেছেন
এমবিবিএস-বিডিএস ছাড়া ডাক্তার পদবি নয়: এনডিএফ
সাভারে পাওয়ার গ্রিডে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট
সালমান এফ রহমানের লন্ডনের সম্পদ জব্দ, দুটি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ
পাগল বেশে নারীদের উত্ত্যক্ত করা সেই কন্টেন্ট ক্রিয়েটর খালিদ গ্রেপ্তার
একাকিত্বের কষ্টে ভুগছেন পরীমণি, জানালেন আবেগঘন অনুভূতির কথা
বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি ঘোষণা: কে কত বেতন পাবেন
ভারতকে ব্যবহার করে শেখ হাসিনার প্রচারণা চালানো বিপজ্জনক: গার্ডিয়ানকে ড. ইউনূস
বাড়ি ফেরার পথে টাঙ্গাইলে গাড়ি চাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা মানে ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মাদের সহযোগিতা করা: টুকু
বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নাম প্রত্যাহার রিয়াদের
আগামী ৮ বছর বিশ্বকে শাসন করতে প্রস্তুত ভারত: কোহলি
এনআইডিতে ডাকনাম-একাধিক স্ত্রীর নাম যুক্তের নীতিগত সিদ্ধান্ত
হাতের ইশারায় পলকের সালাম, বললেন মুখ খুললেই বাড়ে মামলা
দলীয় নেতাকে খুনের অভিযোগে চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির তিন নেতা বহিষ্কার
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী
কাফির বাড়িতে আগুনের ঘটনায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ২ কর্মী গ্রেপ্তার