শিক্ষা সফরে মদপানের ভিডিও ভাইরাল: ২ শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত
ছবি: সংগৃহীত
মাদারীপুর জেলার শিবচরে শিক্ষা সফরের বাসে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মদ্যপানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির জরুরি সভায় প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত হওয়ায় দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
সন্ধ্যায় তাদের সাময়িক বরখাস্তের চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন শিকদার। বরখাস্তকৃত শিক্ষকরা হলেন উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের শিকদার হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওয়ালিদ হোসেন ও আল নোমান।
রাত ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেইসঙ্গে এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন শিকদার বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছি আমরা। শিক্ষা দফতরে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হবে।’
তবে বরখাস্ত হওয়ার পর অভিযুক্ত শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে কোনও বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে শিবচরের বন্দরখোলা ইউনিয়নের শিকদার হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে শিক্ষা সফরে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বাসে অপ্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের মদপানের অভিযোগ ওঠে। মদপানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ভাইরাল হয়। এ নিয়ে সমালোচনা চলছে।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক মো. ওয়ালিদ হোসেন মদের বোতল থেকে মদ ঢালছেন, শিক্ষার্থীদের হাতে বোতল তুলে দিচ্ছেন। আবার বিদেশি মদের বোতল থেকে শিক্ষককে মদ ঢেলে দিচ্ছে এক শিক্ষার্থী। পরে শিক্ষকদের সামনে উল্লাস করে মদপান করছে শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, শনিবার ভোরে ১৬ শিক্ষক-শিক্ষিকা ৪১ শিক্ষার্থীকে নিয়ে শিক্ষাসফরে সোনারগাঁয়ে যান। সফরে শিক্ষার্থীদের কোনও অভিভাবককে সঙ্গে নেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’