জেলা সম্মেলন উপলক্ষে মানিকগঞ্জে উৎসবের আমেজ
আর মাত্র সাত দিন বাদে মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। দীর্ঘ সাত বছর পরের এই সম্মেলন ঘিরে জেলায় সাজ-সাজ রব বিরাজ করছে। আগামী রবিবার (১১ ডিসেম্বর) মানিকগঞ্জ শহরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সম্মেলন ঘিরে নেতা-কর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। পদ প্রত্যাশী নেতাদের ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো শহর। মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে বড় ধরনের শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। তৃণমূলেও এমন বার্তা পাঠানো হয়েছে। সম্মেলনে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটানো হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নতুন কেউ আসছেন নাকি পুরোনো নেতৃত্ব আবার ফিরে পাবে দলটি। তবে এমন জল্পনা-কল্পনার মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। অনেকেই বলছেন নতুন নেতৃত্ব আসুক। ২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দীর্ঘ ৭ বছর অতিক্রান্ত হলেও কোনো সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি।
এরমধ্যে দলটি নানা গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন নির্বাচনে নেতারা পাল্টাপাল্টি অবস্থান নেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে এর প্রমাণ পাওয়া যায়। ইউপি নির্বাচনেও বর্তমান জেলা কমিটি তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি বলে দাবি বহু নেতা-কর্মীর। স্থানীয়রা জেলা আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্ব চায় বলে শোনা যাচ্ছে।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সভাপতি পদে প্রার্থীরা হলেন- গত সম্মেলনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মহীউদ্দিন এবং সহসভাপতি ও সাটুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ ফটো।
এ ছাড়া সম্মেলনের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী, জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও জেলা জজ কোর্টের পিপি আব্দুস সালাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌরসভার মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাদরুল ইসলাম খান বাবলু, যুগ্ম সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন টিপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, তায়েবুর রহমান টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা এবং শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক তাবারাকুল তোসাদ্দেক হোসেন খান টিটু। সাধারণ সম্পাদক পদই মূল আকর্ষণ বলে মনে করছেন নেতারা। এদের মধ্যে সুলতানুল আজম খান আপেল ও সুদেব সাহা প্রচারে এগিয়ে রয়েছেন বলে মনে করছেন অনুসারীরা।
জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এহতেশাম হোসেন খান ভুনু জানান, সম্মেলনের সব প্রস্তুতি শেষের পথে। নেতা-কর্মীরা এখন উজ্জীবিত। কেন্দ্রীয় নেতারা আগামী ১১ ডিসেম্বর যোগ্য জেলা নেতৃত্ব উপহার দেবেন এটাই প্রত্যাশা করি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম বলেন, স্মরণকালের সবচেয়ে সফল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে এটি। এই সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগ আরও ঐক্যবদ্ধ হবে। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অতীতেও দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ রেখে অপরাজনীতি প্রতিহত করেছি। সামনের দিনেও তা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, দলকে আরও সুসংগঠিত করে আগামী দিনে জামায়াত বিএনপির আগুনসন্ত্রাস ও জ্বালাও-পোড়াওয়ের রাজনীতি নস্যাৎ করা হবে।
এসএন