রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলে বিপাকে আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দারা

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের চিলাবাড়ী আশ্রয়কেন্দ্রে ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন গৃহহীন ৪০ পরিবারের সদস্যরা। সহায় সম্বলহীন হওয়া সত্ত্বেও বিদ্যুৎ বিলের ভোগান্তির শিকার এখন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চিলাবাড়ী আশ্রয় কেন্দ্রের পরিবারগুলো। প্রতি মাসে তাদের গুণতে হচ্ছে প্রায় এক থেকে দেড় হাজার টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিদ্যুৎ বিভাগের বিরুদ্ধে এমন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন পরিবারগুলোর বাসিন্দারা। এ ছাড়াও পয়োনিষ্কাশন, জলাবদ্ধতা, যাতায়াত ব্যবস্থা, গৃহনির্মাণে ত্রুটিসহ নানা সমস্যায় দিন কাটাচ্ছেন আশ্রয়কেন্দ্রের লোকজন।

সরেজমিনে দেখা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে নির্মিত চিলাবাড়ী আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাস করছেন ৪০টি পরিবারের দেড় শতাধিক সদস্য।

চিলাবাড়ী আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাসরত গৃহিনী তিসার বৈদ্যুতিক কাস্টমার নম্বর- ৯৭০৯২৭৬৪ ও মিটার নম্বর-১৬৮০৪০। তার অভিযোগ, চলতি বছরের ২৮ আগস্ট বিদ্যুৎ বিল ১৬৭০ টাকা, সেপ্টেম্বর মাসে ১৯১৫ টাকা আর অক্টোবর মাসে বিল এসেছে ১৩৯৫ টাকা। প্রতি মাসে তার এই পরিমাণ বিল এলেও আশ্রয়কেন্দ্রের কোনো কোনো বাড়িতে বিলই দেওয়া হচ্ছে না। ভুতুড়ে ওই বিল পরিশোধ করতেই হিমশিম খাচ্ছেন তিনি।

তিনি আরও জানান, ১০ টি পরিবারের জন্য একটি টিউবওয়েলের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেই টিউবওয়েলের পানিতে আয়রন থাকায় তাদের খাওয়াসহ ব্যবহারে চরম সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়াও নেই ড্রেন ও যাতায়াতের রাস্তা। এ কারণে ব্যবহৃত পানি যাচ্ছে অন্যের জমিতে আর হাঁটাচলাও করতে হচ্ছে অন্যের জমির উপর দিয়ে। ব্যবহৃত ওই পানি আর হাঁট-চলার কারণে প্রায় প্রতিদিনই তাদের শুনতে হচ্ছে প্রতিবেশীদের কটু কথা।

গৃহিনী শাহনাজের বৈদ্যুতিক কাস্টমার নম্বর- ৯৭০৯০৫৬০ ও মিটার নম্বর- ১০৭০৩৯। চলতি বছরের ২৮ আগস্ট বিদ্যুৎ বিল ১০২৫, সেপ্টেম্বর মাসে ১২৭৮ আর অক্টোবর মাসে বিল এসেছে ১৪৭৭ টাকা। রিকশাচালক স্বামীসহ তিন সদস্যের সংসার তার। তিনি বলেন, ঘরে একটা ফ্রিজ, রাইস কুকার, ফ্যান আর লাইট ব্যবহার করি। মিটার দেখতে কেউ না এলেও প্রায় প্রতি মাসেই তাকে বিল দিতে হচ্ছে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। গরিব মানুষ বলেই তো আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছি। এরপরও আমাদের গুণতে হচ্ছে ভুতুড়ে ওই বিদ্যুৎ বিলের টাকা। এত টাকা পরিশোধ করতে চরম কষ্ট হয়।

আশ্রয়কেন্দ্রের গৃহিনী আন্না খাতুন বলেন, যারা ব্যাটারিচালিত ভ্যানসহ নানা ধরনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম চার্জ দিচ্ছেন, তাদের বিদ্যুৎ বিল এক থেকে দেড়শ টাকা বিল এলেও আমি ঘরে একটা ফ্যান আর বাল্ব ব্যবহার করি তাতেই প্রতি মাসে বিল আসছে ৭০০-৮০০ টাকা। গরিব মানুষ বলেই তো আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে থাকি। ধনী হলে তো এখানে থাকতাম না। এত বিদ্যুৎ বিল আসায় চরম কষ্টে আছি। বিদ্যুৎ অফিসে বাড়তি বিলের বিষয়ে জানানো হলেও তারা বলেন বিল যা আসবে তাই দিতে হবে। আমরা গরিব মানুষ হওয়ায় তারা আমাদের কথা শুনেন না।

গৃহিনী রাহেলা খাতুন বলেন, একটা ফ্রিজ, ফ্যান আর লাইট ব্যবহার করি তাতেই বিদ্যুৎ বিল আসছে ১৪০০-১৫০০ টাকা। এই মাসে ১৪৭৭ টাকা বিল এসেছে। আমরা গরিব মানুষ এত টাকা বিল দিলে খামু কী। এ ছাড়াও পায়খানায় ময়লা জমে গেছে। সেটি ফেলার মত কোনো জায়গা না থাকায় চরম কষ্টে আছি। এ ছাড়াও ঘরগুলো তৈরিতে রয়েছে অনেক সমস্যা। হাত দিয়ে চিমটি দিলে খসে পড়ছে ঘরের প্লাস্টার। ড্রেনের ব্যবস্থাসহ চলাচলের রাস্তা না থাকায় বেশি কষ্ট ভোগ করছেন তারা।

আইয়ুব আলী বলেন, এক বছর হলো এই আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাস করছি। বেশ কয়েকদিন ধরে পানির ট্যাংকির সমস্যায় আছি। পানি ব্যবহার করতে পারছি না। টানা বৃষ্টির কারণে ট্যাংকির নিচের মাটি সরে যাওয়ায় ট্যাংকিতে পানি উঠানো যাচ্ছে না। এ কারণে ট্যাংকির পানি ব্যবহার বন্ধ রয়েছে। ট্যাংকির পানিতে পর্যাপ্ত আয়রন। এরপরও ট্যাংকির পানি সরবরাহ ঠিক থাকলে তাদের পানি সমস্যা অনেকটা লাঘব হয়।

তিনি আরও বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রের তাদের অংশের ১৬টি ঘরের খাওয়ার পানির চাহিদা মিটাতে একটি টিউবওয়েল দেওয়া হয়েছে। মাত্র একটি টিউবওয়েল ব্যবহার কষ্টকর বলেও জানান তিনি।

আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা ঝর্না বেগম বলেন, থাকার জমি ছিল না, প্রধানমন্ত্রী থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এখানে আমরা ভালো আছি। পরিবারের সবজি খাওয়ার যোগান দিতে বাড়তি জমিতে লাউ আর বটবটি আবাদ করছি।

স্থানীয় দাইন্যা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড চিলাবাড়ী গ্রামের ইউপি সদস্য শহীদ সরকার বলেন, ড্রেন, যাতায়াতের সড়ক না থাকাসহ টিউবওয়েলের পানিতে আয়রন উঠায় চরম সমস্যায় রয়েছে বলে আশ্রয় কেন্দ্রের বাসিন্দারা তার কাছে অভিযোগ করেছেন। তবে বিষয়গুলো দেখভালের দায়িত্বে আছেন উপজেলা প্রশাসন। তিনি বলেন, এই গ্রামে টিউবওয়েলের জন্য ৬০ ফুট পাইপ গাড়লেই ভালো পানি পাওয়া যেত, সেখানে টিউবওয়েলের পাইপ গাড়া হয়েছে ২০০ ফুট। এ কারণে ওই পানিতে আয়রন উঠছে।

টাঙ্গাইল বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশল মো. শাহগির হোসেন জানান, আশ্রয়কেন্দ্রে কয়েকটি ডিজিটাল মিটার রয়েছে, এ ছাড়া বেশির ভাগই প্রিপেইড মিটার। তবে ডিজিটাল মিটারেও ভৌতিক বিল বা গড় বিল করার সুযোগ নেই। এ ছাড়াও কেউ আমাকে এমন কোনো অভিযোগ করেননি। এরপরও যদি এখন কোনো ভুক্তভোগী থেকে থাকেন, তিনি অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রানুয়ারা খাতুন জানান, নদীসংলগ্ন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর ড্রেনেজ ও পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চিলাবাড়ী আশ্রয়কেন্দ্রের আশপাশে কোনো নদী বা খাল না থাকায় ড্রেনেজ ও পয়োনিষ্কাশনের সমস্যা নিরসন সম্ভব হয়নি। তবে সমস্যা সমাধানের পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি আরও জানান, টিউবওয়েল স্থাপনের কাজ করেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ। টিউবওয়েলের পানিতে পর্যাপ্ত আয়রন থাকায় ওই পানি ব্যবহার করতে সমস্যা হচ্ছে এমন অভিযোগ পেয়েই জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। তবে কেন এখনো পানির সমস্যা নিরসন করা হয়নি বিষয়টি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারব। দ্রুতই পানির সমস্যা সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস প্রকাশ করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইবনে মায়াজ প্রামাণিক জানান, টাঙ্গাইলের পানিতে পর্যাপ্ত আয়রন। পানি ব্যবহারের উপযোগী করতে আশ্রয়কেন্দ্রের টিউবওয়েলে ফিল্টার স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুতই কার্যক্রম শুরু করা যাবে।

এসএন

Header Ad
Header Ad

আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী

বৈভব সূর্যবংশী। ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলের মেগা নিলামে দল পাওয়ার পরই হৈ-চৈ ফেলে দিয়েছিলেন বৈভব সূর্যবংশী। কারণ ওই সময়ে তার বয়স মাত্র ১৩ বছর। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটিতে অভিষেক হতে হতে যা ১৪ পূর্ণ হয়ে যায়। কিন্তু ব্যাটিংয়ে বুঝতেই দেননি অন্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে বয়সের ফারাকটা। প্রথম বলেই কাভার অঞ্চলের ওপর দিয়ে যেভাবে বলটাকে সীমানাছাড়া করলেন, তাতে চোখ জুড়ানো নেটিজেনরা বলে বসলেন ‘অ্যা স্টার ইজ বর্ন’!

বৈভব সূর্যবংশীর জন্ম হয়েছিল ২০১১ সালের ২৭ মার্চ, ততদিনে আইপিএলের দুটি আসর শেষে তৃতীয়টির অপেক্ষা। আর তার জন্মের বছরেই মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। সেই ক্রিকেটার আইপিএলের অষ্টাদশ আসরেই সুযোগ পেয়ে যাবেন এমনটা হয়তো কেউ ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করেনি। বৈভবকে আইপিএলের মেগা নিলামে ১.১ কোটি রুপিতে দলে ভিড়িয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস।

বৈভবের জন্য আরও আনন্দের বিষয় কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়ের মতো কিংবদন্তিকে পাওয়া। যদি আইপিএলের চলতি আসরে তাকে খেলানোর সম্ভাবনা কমই ছিল। কিন্তু রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের ইনজুরি তার অভিষেকের ক্ষণটা এগিয়ে আনে। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে গতকালই অভিষেক হয়ে গেল বিহারের এই বিস্ময়-বালকের। তবে ম্যাচটিতে তাকে ফিল্ডিং করতে হয়নি। ইম্প্যাক্ট ক্রিকেটার হিসেবে কেবল ব্যাটিংয়েই নামেন বৈভব, অভিষেকেই খেললেন ২০ বলে ৩৪ রানের ঝোড়ো ক্যামিও ইনিংস।

আইপিএলের প্রথম ম্যাচে বৈভবের যত রেকর্ড-

আইপিএলের মঞ্চে বয়স যে কেবল একটি সংখ্যা, সেটাই প্রমাণ করলেন ১৪ বছর বয়সী বৈভব সূর্যবংশী। ব্যাট হাতে অভিষেকেই ঝড় তুলেছেন এই কিশোর। প্রথম বলেই হাঁকালেন ছক্কা, গড়লেন একাধিক রেকর্ড—আর তাতেই ক্রিকেটবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে "অ্যা স্টার ইজ বর্ন" জ্বর!

রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছে বিহারের এই বিস্ময়বালকের। মাত্র ১৪ বছর ২৩ দিন বয়সে আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে মাঠে নামা খেলোয়াড় হিসেবে নাম লেখান বৈভব। এর আগে রেকর্ডটি ছিল প্রয়াস রায় বর্মণের (১৬ বছর ১৫৭ দিন) দখলে।

কিন্তু বৈভব এসেই যেন দেখালেন, তিনি এসেছেন ইতিহাস গড়তে। ইনিংসের প্রথম বলেই শার্দুল ঠাকুরকে কাভার দিয়ে উড়িয়ে মারেন ছক্কা—যা তাকে বানিয়েছে আইপিএলের সবচেয়ে কম বয়সে ছয় মারা ক্রিকেটার। এতোদিন রেকর্ডটি ছিল রাজস্থান রয়্যালসেরই রিয়ান পরাগের (১৭ বছর ১৬১ দিন) নামে।

শুধু এখানেই থামেননি বৈভব। আইপিএলে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকানো ক্রিকেটারদের ক্লাবে তিনিই দশম সদস্য। সেই তালিকায় আছেন আন্দ্রে রাসেল, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, মহেশ থিকশানা, রব কুইনিসহ আরও অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।

২১ মার্চ ২০১১ জন্ম নেওয়া বৈভব যখন এই ইনিংস খেলেন, তখন হয়তো অনেকেই ভুলে গিয়েছিলেন তার বয়স মাত্র ১৪। কারণ তার ব্যাটিংয়ে ছিল পরিপক্বতা, ছিল আত্মবিশ্বাস। ২০ বলে ৩ চার ও ২টি বিশাল ছক্কায় ৩৪ রানের ইনিংস খেলে স্ট্রাইক রেট ছুঁয়েছেন ১৭০।

যদিও ইনিংসের শেষ দিকে একটি ভুল শটে স্টাম্পড হয়ে বিদায় নেন এই কিশোর তারকা। ফেরার সময় চোখে জল লেগে ছিল—যা তার খেলায় আবেগ ও দায়বদ্ধতার পরিচয় দেয়।

রাজস্থানের ইনিংস থেমেছে ১৭৮ রানে, ১৮০ রানের লক্ষ্যে। ২ রানের হার সঙ্গী হলেও, এই ম্যাচে আলো ছড়িয়েছেন বৈভবই।

Header Ad
Header Ad

৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের

হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৩ মে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও মুসলিম উম্মাহর বিভিন্ন ইস্যু সামনে রেখে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে।

রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী পরিষদের এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান।

বৈঠকে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বেশকিছু দাবির কথা বেলেন। তিনি ব‌লেন, ফ্যা‌সিবা‌দী আম‌লে হেফাজ‌তের বিরু‌দ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ২০১৩ সা‌লে শাপলা চত্বরে গণগত্যার বিচার করতে হবে। নারী সংষ্কার ক‌মিশ‌নের ধর্মীয় বিধান, ইসলামী উত্তরা‌ধিকার আইন ও পা‌রিবা‌রিক বৈষম্য প্রস্তাব ও ক‌মিশন বা‌তিল করতে হবে। তা না হলে ৩ মে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এ ছাড়া ভারতীয় ওয়াকফ আইন ও ফি‌লিস্তান‌রে গণহত্যার প্র‌তিবাদে আগামী মঙ্গলবার থে‌কে ১ সপ্তাহ গণসং‌যোগ ও আগামী ২৫ এপ্রিল বাদ জুমআ প্রতি জেলা উপ‌জেলায় বি‌ক্ষোভ করবে বলে ঘোষণা দেয় দলটি।

Header Ad
Header Ad

আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন

প্রতীকী ছবি

প্রতি বছর এপ্রিলের তৃতীয় শনিবার বিশ্বজুড়ে উদযাপন করা হয় ‘হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ বা স্বামী প্রশংসা দিবস। স্বামীর প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য দিনটি পালন করা হয়—যার মূল উদ্দেশ্য পারিবারিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করা।

স্বামীদের অবদানকে সম্মান জানাতেই এই বিশেষ দিনের প্রচলন। যদিও দিবসটির সূচনা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে পারিবারিক জীবনে স্বামীর ত্যাগ, দায়িত্ব ও ভালোবাসা স্বীকার করতেই দিনটি উপলক্ষ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বিশেষ করে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে, যেখানে স্বামীরা শুধু উপার্জনের দায়িত্বই পালন করছেন না, পাশাপাশি ঘরের কাজ, সন্তান লালন-পালনসহ পারিবারিক নানা দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন—তাদের জন্য এমন একটি দিন আয়োজনের যৌক্তিকতাও বাড়ছে।

মনোবিজ্ঞানীদের মতে, কাউকে সামান্যভাবে প্রশংসা করলেও তার ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং পারস্পরিক সম্পর্ক হয় আরও মজবুত। বিশেষ করে দাম্পত্য সম্পর্কে এটি অত্যন্ত কার্যকরী।

এই দিনে স্বামীকে একটি চিরকুট, শুভেচ্ছা বার্তা বা ছোট্ট কোনো উপহার দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানানো যেতে পারে। এমনকি শুধু মৌখিকভাবে “তুমি অনেক ভালো করছো” বলাটাও হতে পারে প্রশংসার অনন্য উপায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিবার গঠনের পথে যেমন স্ত্রীর অবদান রয়েছে, তেমনি স্বামীদের ভূমিকাও কম নয়। কাজেই সম্পর্কের ভারসাম্য ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে এমন দিনে সামান্য ভালোবাসা ও স্বীকৃতিই হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের ভিত্তি।

প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জানানো কোনো বিলাসিতা নয়, বরং সম্পর্ক রক্ষার এক চমৎকার অভ্যাস। তাই আজকের দিনটি হতে পারে আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে বিশেষভাবে জানানোর এক দারুণ সুযোগ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: ট্রাইব্যুনালে সালমান, আনিসুল, দীপু মনি, পলকসহ ১৯ জন
বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
হাতিরঝিলে যুবদল নেতার ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে
আপিল বিভাগে নতুন দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা
বিয়ের আসরে কনের বেশে শাশুড়ি, থানায় হাজির বর
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, রাস্তায় হাজারো মানুষ
সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা, বাড়বে তাপমাত্রাও
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত
গাজায় আরও ৫২ জন নিহত, হামলা জোরদারের নির্দেশ নেতানিয়াহুর
উত্তরায় প্রকাশ্যে যুবককে তুলে নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক অপু