উদ্বোধনের আগেই দেবে যায় সেতু, মেয়রকে নোটিশ

টাঙ্গাইল পৌর শহরের বেড়াডোমা এলাকায় লৌহজং নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতু দেবে যাওয়ার ঘটনায় টাঙ্গাইল পৌরসভার ৩ প্রকৌশলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে টাঙ্গাইল পৌরসভা মেয়রকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পৌর মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর।
সাময়িক বরখাস্ত প্রকৌশলীরা হলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী শিব্বির আহমেদ আজমী, সহকারী প্রকৌশলী রাজীব গুহ ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী জিন্নাতুল হক। এদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করে দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও অসদাচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এরআগে রবিবার (২০ নভেম্বর) পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ পৌর-১ শাখার উপ-সচিব মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নির্মাণাধীন সেতুটির ঢালাই কাজের পূর্বে সেন্টারিং ও সাটারিংয়ের সময় ঠিকাদার ড্রয়িং ও ডিজাইন অনুসরণ না করে বল্লি ও বাঁশের খুঁটি ব্যবহার করা হয়।
এ বিষয়ে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া প্রকৌশলীরা শুধু চিঠির মাধ্যমে তাদের নিষেধ করেন। তারা ঢালাইয়ের কাজ বন্ধ করার কোনো ব্যবস্থা নেননি। বরং ঢালাইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন। এটিকে দায়িত্বে চরম অবহেলা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে গত ১৪ নভেম্বর টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। ১০ কার্য দিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও সেতুটি নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ব্রিকস অ্যান্ড বিল্ডিং লিমিটেড ও দ্যা নির্মিতিকে (জেভি) সেতু নির্মাণে ডিজাইন ও প্রাক্কলন যথাযথ অনুসরণ না করায় ওই কালো তালিকাভুক্ত করাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ ব্যারে টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র সিরাজুল হক বলেন, মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত চিঠি পেয়েছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই চিঠির জবাব দেওয়া হবে। এছাড়া তিন প্রকৌশলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৬ জুন রাতে টাঙ্গাইল পৌর শহরের বেড়াডোমা এলাকায় লৌহজং নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতু দেবে যায়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীন টাঙ্গাইল পৌরসভা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছিল। ৮ মিটার প্রস্ত এবং ৪০ মিটার দীর্ঘ সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
এএজেড
